সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী

ইউটিভি বাংলাদেশ ডেস্ক।। প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৭ এম
ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী

সারা দেশে আগামী ২ মাস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-

ধারা ৬৪ : ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।

ধারা ৬৫ : গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা যার জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

ধারা ৮৩/৮৪/৮৬ : ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।

ধারা ৯৫(২) : নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।

ধারা ১০০ : ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।

ধারা ১০৫ : সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

ধারা ১০৭ : শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯ : ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীর ক্ষমতা।

ধারা ১১০ : ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১২৬ : জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা।

ধারা ১২৭ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা।

ধারা ১২৮ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩০ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩৩ : স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

ধারা ১৪২ : জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

এ ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না।

ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:২৫ পিএম
ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

ইং ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইনচার্জ, ৩ নং পুলিশ ফাড়ির নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ নাহিদ পারভেজ, এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা, এএসআই(নিঃ) রাসেল ইয়ার খান, এটিএসআই/২২১ কবিরুল হাসান, কং/৫৩৯ শাহজাহান, কং/৯৫৫ আনিছুর রহমান, কং/১০০৯ আরিক এবং নারী বং/১৬৬৩ ইয়াসমিন আক্তার খানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি পরিচালনাকালে রাত ২৩:৪৫ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মাসকান্দা ফিসারী এলাকায় ময়মনসিংহ টু ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে আকস্মিক চেকপোষ্ট ডিউটি করাকালে ০৩ জন মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের চেকপোষ্ট দেখিয়া মোটরসাইকেল রাস্তায় ফেলিয়া মাসকান্দা মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াল টপকাইয়া ভিতরে ঢুকে যায়। তখন আভিযানিক দলের সন্দেহ হইলে মাসকান্দা মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে ঢুকে তাহাদের অবস্থান নির্ণয় করাকালে মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের পূর্ব দক্ষিনে স্টাফদের থাকার কামরা হইতে ০৪ জন ব্যক্তিকে দৌড়াইয়া পালাইয়া যাইতে দেখা যায়। তখন পার্শ্ববর্তী রুমের অস্থায়ী গার্ড হৃদয় এর স্ত্রী ফারজানা শান্তা (২২) কে ধৃত করা হয়। ঘটনাস্থলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামী ফারজানা শান্তা (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, তাহার স্বামী হৃদয়, তন্ময় সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ১/২ জন মিল স্টাফদের রুমে ঢুকেছিল।

 

তখন ধৃত ফারজানা শান্তা (২২) কে সাথে নিয়ে স্টাফদের থাকার রুম এবং তার নিজের কামরা তল্লাশী করিয়া ১। একটি 9MM বিদেশী পিঞ্জল, যার বডিতে M19911A U.S.ARMY এবং NO 87107, MADE IN JAPAN লেখা, ২। একটি 32 কাঠের বাটযুক্ত বিদেশী পুরাতন পিস্তল এবং একটি পুরাতন ম্যাগজিন, যার বডিতে অস্পষ্ট লেখা, ৩। একটি NITRO NY200 Athena এয়ারগান, যাহার সিরিয়াল নং-BCO7461A1 সহ সীসা গুলি ১৩০ রাউন্ড, ৪। একটি টেলিস্কোপ, যাহার গায়ে Leveling position লেখা, ৫। একটি সামুরাই, যাহা কালো কভারযুক্ত লম্বায় ১৭ ইঞ্চি, ৬। একটি স্টীলের সুইচ গিয়ার চাকু, যাহা লম্বায় ১০ ইঞ্চি সহ বিভিন্ন সাইজের সর্ব মোট ০৬টি চাকু,৭। ০২টি কালো হলুদ রংয়ের বাটযুক্ত চাইনিজ কুড়াল, যা লম্বায় ১৪ ইঞ্চি, ৮। ০২টি কাঠের হাতলযুক্ত চাপাতি দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৫ ইঞ্চি ও ১২ ইঞ্চি, ৯। ১০ টি রামদা যা বাটসহ লম্বায় যথাক্রমে ৩৪,৩০,২৭,৩০,৩১,২৯,২৯,৪২,৩০ ও ২৬ ইঞ্চি, ১০। ০১টি বড় ছুরি যা বাটসহ লম্বায় ২৯ ইঞ্চি, ১১। একটি ঢেগার, যা লম্বায় ৩০ ইঞ্চি, ১২। ০৩ টি দেশীয় তৈরী চাইনিজ কুড়াল যা বাটসহ লম্বায় ২৩,২৬ ও ২৬ ইঞ্চি, ১৩। ০৬টি IICE BARE ITALL VODKA, প্রতিটি ৭৫০ মিলি, সর্ব মোট (৭৫০X৬)=৪৫০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৬১৫০০০) =৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ১৪। ০৪টি ROYAL STAG DELUXE WHISKY, যাহা প্রতিটি ৭৫০ মিলি, সর্ব মোট (৭৫০X৪)=৩০০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৪X৪০০০) =১৬,০০০/-(ষোল হাজার) টাকা, ১৫। ০৭টি ROYAL STAG DELUXE WHISKY, যা প্রতিটি ৩৭৫ মিলি, সর্ব মোট (৩৭৫X৭)=২৬২৫ মিলি, মূল্য অনুমান (৭১২০০০) =১৪,০০০/-(চৌদ্দ হাজার) টাকা, ১৬। ০৮টি officer’s choice BLUE PURE GRAN WHISKY, যা প্রতিটি ৩৭৫ মিলি, সর্ব মোট (৩৭৫১৮)=৩০০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৮১২০০০) =১৬,০০০/-(ষোলহাজার) টাকা, ১৭। ৩৫টি ROYAL STAG DELUXE WHISKY, প্রতিটি ১৮০ মিলি, সর্ব মোট (১৮০X৩৫)=৬৩০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৩৫X১০০০)=৩৫,০০০/-(পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা, ১৮। ০৫ পিস PHENSEDYL, যার গায়ে ইংরেজীতে Triprolidine Hydrochloride & codei phosphate Cough syrup লেখা, যা প্রতিটি ১০০ মিলি, সর্ব মোট (৫X১০০)=৫০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৫১৩০০০) =১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা পাওয়া যায় যা সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক অদ্য ২৩ ডিসেম্বর ০১: ২৫ ঘটিকায় জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদক দ্রব্যের সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ১,২৬,০০০/- (এক লক্ষ ছাব্বিশ হাজার) টাকা।

ধৃত ফারজানা শান্তা (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তার স্বামী পলাতক মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪), পিতা-মোঃ কাজল মিয়া, মাতা-রানী বেগম, সাং-চর বাঘাদাইরা বেপারী বাড়ী, ডাকঘর-সেনবাড়ী, থানা-ত্রিশাল, এপি/সাং-মাসকান্দা মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্র, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ এবং পলাতক মোঃ তন্ময় (২৫), পিতা-সোহরাব উদ্দিন, মাতা-রানী বেগম, সাং-বলাশপুর নয়াপড়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয় এবং অজ্ঞাতনামা ১/২ জান আসামীদের নিয়া মৎস খামারে চাকুরীর পাশাপাশি অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় সহ নেশাজাতীয় মাদক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করিনা থাকে। ধৃত এবং পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজোসে অবৈধভাবে বিদেশী/দেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং সামুরাই সুইচগিয়ার চাকু, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, রামদা, ছুড়ি, ঢেগার, দেশীয় চাইনিজ কুড়াল হেফাজতে রাখিয়া ১৮৭ সনের Arms Act এর 19-A/19-(F) ধারায় এবং অবৈধভাবে মাদক দ্রব্য হেফাজতে রাখিয়া ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ২৪ (খ)/১৪(খ)/৩৮/৪১ ধারায় অপরাধ করায় আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা দুইটি তদন্তাধীন।

ময়মনসিংহে শম্ভুগঞ্জে প্রতারক চক্রের কবলে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব : থানায় মামলা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:২১ এম
ময়মনসিংহে শম্ভুগঞ্জে প্রতারক চক্রের কবলে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব : থানায় মামলা

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ীর ২৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে প্রতারক সানি গংরা।

 

মালামাল লুটের অভিযোগে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের পক্ষে তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার নিপু বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা অভিযোগ দায়ের করেছে। কোতোয়ালী থানা মামলা নং ৩২ তাং ১১-১২-২০২৪ ইং।

 

বাদীর অভিযোগে দুইজনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত নামা ৫ জন সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় আসামীরা হলেন, ১/ বদরুদ্দোহা সানি (৩২), পিতা-মোঃ নুরুল হক, মাতামৃত-বিলকিস আক্তার, সাং- দুয়াইন, খানা ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-মযমনসিংহ, এপি/সাং-গজারিয়া পাড়া, থানা-গাজীপুর সদর, জেলা-গাজীপুর এর নেতৃত্বে ২/ মোছাঃ রিংকী আক্তার (৩০), পিতা-আব্দুল সামাদ, স্বামী মোঃ বদরুদোহা সানি, সাং-সাফরভা উয়াশী পাইকপাড়া, খানা-মির্জাপুর, জেলা-টাংগাইল, এপি/সাং-দুম্বাইল, খানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ।

 

মামলার বাদী জানান, আমার স্বামী আহসান হাবিব (৪০) একজন ব্যবসায়ী। তিনি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল খানাধীন শম্ভুগঞ্জ নতুন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন নিজস্ব বিল্ডিং এ বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারশিপ নিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। ০১নং বিবাদী বিগত ৩ বছর পূর্বে আমাদের ডিলার পয়েন্টে ম্যানেজার হিসাবে যোগদান করেন এবং আমার স্বামীর ব্যবসায়িক নিয়ম মোতাবেক প্রতিমাসের হিসাব সম্পন্ন করেন। বিবাদীদ্বয় আমাদের ডিলারশিপের একটি রুমে ভাড়ায় বসবাস করেন। আমার স্বামী নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হইয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নভেম্বর মাসে ব্যবসার কোন খোজখবর নিতে পারননি।

 

এরই সুযোগে গত ০১/১২/২০১৪ ইং তারিখ রবিবার সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমাদের নিজেস্ব বিল্ডিং এর সামনে দিয়া আমার প্রতিবেশী মোঃ আবুল কালাম (৪৫), পিতামৃত-মতি মেম্বার, সাং-রাঘবপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ যাওয়ার সময় দেখতে পায় যে, আমাদের ডিলারশিপ পয়েন্টের সামনে ০১নং ও ০২নং বিবাদীদ্বয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় ট্রাক গাড়ীতে ডিলারশিপের মালামাল উঠাইতেছে। তখন আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম আগাইয়া গেলে ০১নং ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা জনৈক আবুল কালামকে দেখিয়া ট্রাক গাড়ী সহ মালামাল নিয়া দ্রুত চলিয়া যায়। তখন আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম আমার স্বামীকে জানাইলে আমার স্বামী সহ সাক্ষীরা ডিলারশিপ পয়েন্টে যাইয়া দেখে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন আমার স্বামী ডিলারশিদ পয়েন্ট ভাল ভাবে পর্যাবেক্ষন করিয়া দেখে ৭০ কাটুন ওরস্যালাইন, যাহার মূল্য ১,৭৮,৫০০/- (এক লক্ষ আটাত্তর। হাজার পাঁচশ টাকা, ৪০ কার্টুন চকলেট, যাহার মূলা ৭২,০০০/- (বাহাত্তর হাজার) টাকা, ০১টি ফ্রিজ ও ০১টি বক্স খাট, যাহার মূল্য ৮৫,০০০/- (পচাশি হাজার) টাকা এবং নভেম্বর মাসের আমদানীর নগদ ২৫,০০,০০০/ (পঁচিশ লক্ষ) টাকা সহ সর্ব মোট ২৮.৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা নাই। তখন আমার স্বামী ০১নং বিবাদীর মোবাইলে ফোন করিলে তাহার ফোন নম্বরটি বন্ধ পায়। ০১নং বিবাদী আমাদের ডিলারশিপের কর্মচারী হয়েও ০২নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় আমার স্বামীর সরলতা সুযোগ নিয়া অসাধুভাবে সর্ব মোট ২৮,৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা আত্মসাৎ করতঃ প্রতারনা করিয়াছে। আমি উল্লেখিত ঘটনার আমার স্বামী সহ পরিবারের লোকজনদের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করেছি।

 

এব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ জানান, অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পেয়েছি। এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৩২ তাং ১১-১২-২০২৪ ইং রুজু করা হয়েছে।

মাদক ও চোরাচালান দমনে ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে গ্রেপ্তার-০২ 

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৫২ এম
মাদক ও চোরাচালান দমনে ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে গ্রেপ্তার-০২ 

ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান কারবারিদের দমনে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অভিযানে ২০ বোতল ভারতীয় মদ সহ ২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ সহিদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় এসআই মোঃ ফারুক আহম্মেদ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন কালিবাড়ী পুরাতন গোদারাঘাট বেড়ী বাঁধ এলাকা থেকে আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ২০ টি বোতল ভারতীয় মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ ফারুক হোসেন (২৯), পিতা মৃতঃ-আঃ হামিদ, সাং-কড়ইতলী, থানা-হালুয়াঘাট, ২। মোঃ হৃদয় মিয়া (২৬), পিতা-আঃ করিম, সাং-চরঈশ্বরদিয়া, থানা-কোতোয়ালী মডেল, উভয় জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেপ্তার করেন।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ও চোরাচালান কারবারির সাথে জড়িত এবং এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ ফারুক হোসেন (২৯)এর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে ডিবি সুত্র জানান।

 

উদ্ধারকৃত ২০বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় মদ উদ্ধারের বিষয়ে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে আসামী কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।