সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ‘ডাক’ রিজভীর

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:১৫ পিএম
স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ‘ডাক’ রিজভীর

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমননা এবং আগরতলায় উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনে’র আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী নিজের স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের দেওয়া ভারতীয় শাড়ি নিজের হাতে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে নেতাকর্মীরা সেই শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। রিজভী বলেন, ‘যারা আমার দেশের পতাকাকে নেমে ছিঁড়ে দেয়… আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। আমরা তাদের দেশের যে শাড়ি কিনতো আমাদের মা-বোন-স্ত্রীরা; তারা আর ভারতীয় শাড়ি কিনবে না। তারা ভারতের সাবান কিনবে না, তারা ভারতের টুথপেস্ট কিনবে না, তারা ভারতের কোনো কিছু কিনবে না।’ ‘আমার দেশ আমরা স্বনির্ভর। আমার এখানে পেঁয়াজ হয়… ভারতের পেঁয়াজের চাইতে আমাদের পেঁয়াজের ঝাঁজ অনেক বেশি, ভারতের মরিচের চাইতে আমাদের মরিচের ঝাল অনেক বেশি… আমাদের যদি জায়গা না থাকে আমরা ছাদের ওপরে মরিচ লাগাব, আমরা বাড়ির উঠানের মধ্যে পেঁপে গাছ লাগাব… তাই আমরা এদের (ভারত) মুখাপেক্ষী হবো না… আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব ‘

 

ইন্ডিয়ার শাড়ি ছুড়ে ফেলে দিলেন রিজভী

 

রিজভী বলেন, ‘একটি পুরনো শাড়ি আমার বাসায় আমার স্ত্রীর ছিলো… আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটি ইন্ডিয়ান শাড়ি… আমি বলেছি আজকে এটা দিয়ে দাও.. সে এটা দিয়ে দিয়েছে। এই সেই ইন্ডিয়ান শাড়ি আমার স্ত্রী সে নিজেই এই শাড়ি দিয়েছে এটা আজকে আপনাদের সামনে আমি ছুড়ে ফেললাম (ছুড়ে ফেলে দিলে কর্মীরা ভারতবিরোধী শ্লোগান দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন)… আর কোনো ভারতীয় শাড়ি নয়।’

 

‘আমরা টাঙ্গাইলের শাড়ি পড়ব, আমরা রাজশাহীর সিল্ক পড়ব, আমরা কুমিল্লার খদ্দর পড়ব,’ বলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা।

 

এ সময় কর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন, ‘বয়কট বয়কট, ভারতীয় পণ্য বয়কট’।

 

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশী পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

রিজভী বলেন, ‘আপনারা একটু দেবেন… আপনাদের ওপর মুখাপেক্ষী থাকব এটা ভাবার কারণ নাই। যে আপনারা একটু দেবেন আর বলবেন তা শুনতে হবে… এটা দুই-একজন হাসিনার মতো লোক বলতে পারে… কিন্তু কোটি কোটি বাংলাদেশের মানুষ এটা করবে না।’

 

‘তবে আমার দেশের জনগণকে বলব, ওরা যে বাংলাদেশের লুণ্ঠন করার চেষ্টা করেছে, ওরা যে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে, আমাদের মর্যাদাহানি করার চেষ্টা করেছে… আমরা ভারতের পতাকাকে লাঞ্ছিত করব না, আমরা আরেকটা স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে ছোট করব না… আমরা প্রত্যেক জাতির যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সেটিকে আমরা অসন্মান করব না… আমরা ওদের মতো ছোটলোকি করব না। আমরা ওদের দেশের পতাকাকে সন্মান করব কিন্তু ওদের পণ্য বর্জন করব।’একবেলা খেয়ে থাকব, আর মাথানত নয়

 

ভারতীয়দের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছো… তোমরা আমাদেরকে পছন্দ করো না। তারপরও তোমাদের জিনিস আমাদের কিনতে হবে?’

 

‘বাংলাদেশের মানুষ তো মাথানত করার মানুষ না। আমরা এক বেলা খেয়ে থাকব… তারপরও আমরা মাথানত করবো না।’

 

আপনারা কি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন?

 

রিজভী বলেন, ‘তারা নাকি বলে ভারতের অনেক সাংবাদিক, অনেক রাজনৈতিক নেতা তারা বলেন যে, আমাদের (ভারতে) এখানে না আসলে আপনাদের (বাংলাদেশের মানুষের) চিকিৎসা হয় না। আমি প্রশ্ন করি, আরে আপনারা কি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন… আপনারা কি বিনা টাকায় এক কাপ চা খাওয়ান… এই নজির তো নাই আপনাদের।’

 

‘বাংলাদেশের লোক ডলার খরচ করে ওখানে গিয়ে। এখন কলকাতার নিউ মার্কেট বন্ধ, দোকান পাট বন্ধ সেখানে আর কোনো খরিদদার নাই… আমাদের ডলারে বাজার সদাই কেনা হতো।’তিনি বলেন, ‘ওখানের একজন ডাক্তার নাকি বলেছেন, এবার বাংলাদেশের রোগী আসলে সেখানে ভারতীয় পতাকা এমনভাবে রাখা হবে যেন তারা মাথা নিচু করে ঢুকে। আপনারা বাংলাদেশের মানুষকে চিনেন না… আপনারা অনেক জাতিকে সেখানে (ভারতে) পদানত করে রেখেছেন যারা স্বাধীনতা চায়.. এগুলো আপনাদের বিষয় আমরা কিছু বলতে চাই না।’

 

‘কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চিনেন না। ওই পশ্চিম পাকিস্তানি পাঞ্জাবিরাও কিন্তু এদেশের মানুষকে… লুঙ্গি পরা মানুষ হাতে স্ট্যান্ড গান নিয়ে নদী সাঁতরে ওই পাকিস্তানিতে পরাভূত করেছে। নদীনালার দেশ, খাল-বিলের দেশ, বন্যা-খরার দেশ আমরা কি করে এই অবস্থায় শত্রুদের প্রতিরোধ করতে হয় সেটা আমরা জানি।’

 

তারা নিষ্ঠুর হাসিনাকে পছন্দ করে, বাংলাদেশকে নয়

 

রিজভী বলেন, ‘তারা(ভারত) নিষ্ঠুর হাসিনাকে পছন্দ করে, বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশ টিকে থাকুক এটা তারা চায় না। আজকে তারা নানা ধরনের উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে.. বাংলাদেশের ভেতরে।’‘কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের উস্কানিতে পা দেয়নি। দুই-একটা গোষ্ঠী থাকতে পারে…তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে… পার্শ্ববর্তী দেশ যে আমাদের এখানে উস্কানি দিতে পারে এটা গোটা জাতি ধরে ফেলেছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর যে ঐক্য এটা ইস্পাত কঠিন ঐক্য; এই ঐক্যকে কেউ ভাঙতে পারবে না।’

 

‘আগরতলায় উপ-হাইকমিশন প্রসঙ্গে

 

রিজভী বলেন, ‘সেখানে একদল উগ্রবাদী মানুষ জোরপূর্বক বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন তার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমাদের কর্মচারীকে আঘাত করেছে, আমাদের জাতীয় পতাকা যেটা পত পত করে উড়ছিলো সেটার স্ট্যান্ড ভেঙে আমাদের পতাকাকে তারা ছিঁড়েছে। কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজে-বাজে বলেছে… বোম্বের ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে তারা বলেছে… আমরা তাদের নানাবিধ বাংলাদেশবিরোধী প্রচার আমরা দেখছি।’

 

‘বাংলাদেশ সরকার আগরতলায় ভিসা বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে… এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।’

 

ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুর রহমান আউয়ালও বক্তব্য রাখেন।

পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:২৫ এম
পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ৪নং পরানগঞ্জ বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আব্দুর রহিম জালাও-পোড়াও দমন, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর নিরলস দায়িত্বশীলতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক আচরণে তিনি ইতিমধ্যেই জনপ্রশংসিত হয়ে উঠেছেন।

সরেজমিনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন মহল জানান, এসআই আ: রহিম একজন দায়িত্বশীল, চৌকস ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা। অপরাধ দমনের পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছেন।

জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশনা এবং কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এসআই আ: রহিম পরানগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতা দমনে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অভিযানে তিনি সাফল্য দেখিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, সাধারণ নালিশ, জমি-জমা বিরোধ থেকে শুরু করে সামাজিক সংকট- এসব ক্ষেত্রেও তিনি কোনো সংঘাত ছাড়াই সমাধান এনে দিয়েছেন। এ কারণে এলাকাবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি।

এসআই আ: রহিম বলেন, “পরানগঞ্জের মানুষ সহযোগিতা করায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে। চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে কাজ করছি। কিশোর গ্যাং দমনে আমাদের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপদ সমাজ গড়তে সবাইকে সঙ্গে চাই।”

তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও ও রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। তাঁর ও সহকারী অফিসার সপন আকন্দের তৎপরতায় এখন পরানগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহল জানান, “এসআই আব্দুল রহিমের প্রচেষ্টায় পরানগঞ্জ এখন সন্ত্রাসমুক্ত ও নিরাপদ। তাঁর কাজ মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে।”

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার খিলগাতী গ্রামের এক দরিদ্র রিক্সাচালকের একমাত্র পুত্র (৭)সালমান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ওয়ার্ড নং:২১০,সিট নং:১২) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। শিশুটির জীবন বাঁচাতে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপা সুলতানা মিলি।

অভাব-অনটনের মধ্যেও রিপা সুলতানা নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু ব্যয় করছেন সালমানের চিকিৎসায়।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি সালমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

সালমানের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তার বৃদ্ধা দাদি ও রিক্সাচালক পিতা। তাদের খাদ্য, ওষুধ, থাকা খাওয়াসহ সব ব্যয়ের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই ত্যাগী শিক্ষিকা।

রিপা সুলতানা মিলি বলেন, “সালমান আমার ছাত্র, আমার সন্তানের মতো। ওর ছোট্ট জীবনের হাসিটা আমি নিভে যেতে দিতে পারি না। আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিচ্ছি, কিন্তু এখন মানুষের সাহায্য ছাড়া ওর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”

চিকিৎসকদের মতে, সালমানকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দিতে হবে। এর ব্যয় মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত গড়ে ওঠে, যা তার দরিদ্র পরিবার কোনোভাবেই বহন করতে পারছে না।

একটি ছোট্ট প্রাণকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে এখন প্রয়োজন সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা।

রিপা সুলতানা আরও বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য এই বিশ্বাস থেকেই আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। হয়তো আপনাদের অল্প কিছু সহায়তাই সালমানের জীবনে আলো ফিরিয়ে আনতে পারে।”

যারা সালমানের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা রিপা সুলতানা মিলি অথবা সালমানের বাবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন।

যোগাযোগ: রিপা সুলতানা মিলি, সহকারী শিক্ষক, খিলগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।

বিকাশ (পার্সোনাল) নম্বর:

01775859037-01771473061

ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবিবার রাত থেকে। ৬নং ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদল এবং রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিমুল তরফদারের ব্যানারে রাত প্রায় ১০টার দিকে একটি রাজনৈতিক মিছিলের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছন দিক তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ককটেল এবং ২টি পেট্রোল বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযানটি পরিচালনা করে।

ওসি রুকনুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “যে কোন ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।