সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফের মাইনাস টু ফর্মুলা ষড়যন্ত্র

এবারের টার্গেট খালেদা জিয়া-তারেক রহমান

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩২ পিএম
এবারের টার্গেট খালেদা জিয়া-তারেক রহমান

ওয়ান-ইলেভেনে ‘মাইনাস টু’ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে দেশবিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল আবারও একই ফর্মুলা নিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পালিয়ে যাওয়ার কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের এবারের টার্গেট খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। দেশ রাজনীতিশূন্য এবং দেশে বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীদের ‘ধ্বংস’ করতে ভারতীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নই এবারের লক্ষ্য। আর এ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সচেতন নাগরিকরা বিক্ষোভ করেছেন।

 

কারওয়ান বাজারে অবস্থিত একটি জাতীয় বাংলা দৈনিক অফিসের সামনে গরু জবাই করেছে। তাদের ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেছে। ২০০৭ সালের ১১ জুন বাংলা পত্রিকাটির সম্পাদক মাইনাস টু ফর্মুলা হিসেবে লিখেছিলেন ‘দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে’। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের পর নতুন করে আলোচনায় আসে মাইনাস টু ফর্মুলা। তিনি বলেছেন, ‘মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কেউ যেন আবার চিন্তা না করেন। অথবা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রে যেন লিপ্ত না হন।’ মাইনাস-২ ফর্মুলার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করার পর বিষয়টি নিয়ে দলটির ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের আলোচনাও শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখা বা তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা তৈরি করার মতো বিষয় আছে কি না-বিবিসির এমন প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এমন দুরভিসন্ধি কেউ পোষণ করতে পারেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। বরং আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে পারি, বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাইপাস করে কিছু হবে না।’

এবারের গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ও এর নেত্রী শেখ হাসিনা উৎখাত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এর পর থেকে বিএনপি দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দাবি করে আসছে। তবে সরকারের দিক থেকে বারবারই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর। অন্যদিকে আন্দোলনকারী অনেকেই আকার-ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করছেন, ‘আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’ পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোও কাজ করে যাচ্ছে; যার মধ্যে সংবিধান, পুলিশ ও প্রশাসন সংস্কারের মতো কমিশন রয়েছে। বিতর্কিত ওই জাতীয় দৈনিকটির অ্যাজেন্ডা হলো নির্বাচন বিলম্বিত করে তাদের কলামিস্টরাই যেন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকেন। উল্লেখ্য, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁদের অনেকেই প্রথম আলোর কলামিস্ট। সে কারণে দেশবাসী মনে করছে, ওই পত্রিকাটি বর্তমান সরকারকে পরিচালিত করছে।

 

প্রসঙ্গত, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন তা-ও এখনো দলটি নিশ্চিত হতে পারেনি। কিছু মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেলেও সব আইনি বাধা অপসারণে প্রশাসনিক ধীরগতিতে দলের অনেকের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কারো কারো বক্তৃতাও বিএনপিকে ইঙ্গিত করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন দলের নেতারা। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় প্রথম আলো সম্পাদক দেশকে রাজনীতি ও রাজনীতিকশূন্য করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। কিন্তু তাঁর সেই গর্হিত অপকর্মের কোনো বিচার হয়নি। রাজনীতি থেকে দেশের প্রধান দুই নারীনেত্রীকে সরিয়ে দিতে খোদ প্রথম আলো সম্পাদক নিজেই কলম ধরেছিলেন। সে সময় দিনের পর দিন ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ নিয়ে প্রথম আলোয় সম্পাদকীয় লেখা হয়। রাজনীতি থেকে রাজনীতিকদের উচ্ছেদ করে সুশীল সমাজের অংশ বলে পরিচিত এলিট নাগরিকদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়েছে প্রথম আলো। দেশের ললাটে অকার্যকর রাষ্ট্রের তকমা এঁটে দিতে ও বিভিন্ন উসকানি এবং নেতিবাচক প্রচারণার মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে উৎসাহ জুগিয়েছে মতিউর রহমান সম্পাদিত বিতর্কিত দৈনিকটি। দেশের শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদের হয়রানিও এর অন্যতম কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম আলো দেশে একাধিকবার অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করলেও বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় প্রথম আলো সূক্ষ্মভাবে তাদের ফান ম্যাগাজিন ‘আলপিন’-এর মাধ্যমে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গ কৌতুক প্রকাশ করে। এতে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এক সালিস বৈঠকে তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদের তৎকালীন খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের কাছে তাওবা পড়ে ও করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান। বিভিন্ন পত্রিকায় মতিউর রহমানের সেই করজোড়ে তাওবার ছবিও পরদিন প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন দুই প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে জেলে নেওয়ার পর ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র আলোচনা জোরদার হয়েছিল। তখন তাঁদের দলসহ অনেকেই অভিযোগ করেছিল, ‘দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে’; যা পরে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:২৫ এম
পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ৪নং পরানগঞ্জ বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আব্দুর রহিম জালাও-পোড়াও দমন, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর নিরলস দায়িত্বশীলতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক আচরণে তিনি ইতিমধ্যেই জনপ্রশংসিত হয়ে উঠেছেন।

সরেজমিনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন মহল জানান, এসআই আ: রহিম একজন দায়িত্বশীল, চৌকস ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা। অপরাধ দমনের পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছেন।

জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশনা এবং কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এসআই আ: রহিম পরানগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতা দমনে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অভিযানে তিনি সাফল্য দেখিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, সাধারণ নালিশ, জমি-জমা বিরোধ থেকে শুরু করে সামাজিক সংকট- এসব ক্ষেত্রেও তিনি কোনো সংঘাত ছাড়াই সমাধান এনে দিয়েছেন। এ কারণে এলাকাবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি।

এসআই আ: রহিম বলেন, “পরানগঞ্জের মানুষ সহযোগিতা করায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে। চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে কাজ করছি। কিশোর গ্যাং দমনে আমাদের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপদ সমাজ গড়তে সবাইকে সঙ্গে চাই।”

তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও ও রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। তাঁর ও সহকারী অফিসার সপন আকন্দের তৎপরতায় এখন পরানগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহল জানান, “এসআই আব্দুল রহিমের প্রচেষ্টায় পরানগঞ্জ এখন সন্ত্রাসমুক্ত ও নিরাপদ। তাঁর কাজ মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে।”

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার খিলগাতী গ্রামের এক দরিদ্র রিক্সাচালকের একমাত্র পুত্র (৭)সালমান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ওয়ার্ড নং:২১০,সিট নং:১২) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। শিশুটির জীবন বাঁচাতে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপা সুলতানা মিলি।

অভাব-অনটনের মধ্যেও রিপা সুলতানা নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু ব্যয় করছেন সালমানের চিকিৎসায়।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি সালমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

সালমানের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তার বৃদ্ধা দাদি ও রিক্সাচালক পিতা। তাদের খাদ্য, ওষুধ, থাকা খাওয়াসহ সব ব্যয়ের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই ত্যাগী শিক্ষিকা।

রিপা সুলতানা মিলি বলেন, “সালমান আমার ছাত্র, আমার সন্তানের মতো। ওর ছোট্ট জীবনের হাসিটা আমি নিভে যেতে দিতে পারি না। আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিচ্ছি, কিন্তু এখন মানুষের সাহায্য ছাড়া ওর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”

চিকিৎসকদের মতে, সালমানকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দিতে হবে। এর ব্যয় মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত গড়ে ওঠে, যা তার দরিদ্র পরিবার কোনোভাবেই বহন করতে পারছে না।

একটি ছোট্ট প্রাণকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে এখন প্রয়োজন সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা।

রিপা সুলতানা আরও বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য এই বিশ্বাস থেকেই আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। হয়তো আপনাদের অল্প কিছু সহায়তাই সালমানের জীবনে আলো ফিরিয়ে আনতে পারে।”

যারা সালমানের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা রিপা সুলতানা মিলি অথবা সালমানের বাবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন।

যোগাযোগ: রিপা সুলতানা মিলি, সহকারী শিক্ষক, খিলগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।

বিকাশ (পার্সোনাল) নম্বর:

01775859037-01771473061

ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবিবার রাত থেকে। ৬নং ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদল এবং রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিমুল তরফদারের ব্যানারে রাত প্রায় ১০টার দিকে একটি রাজনৈতিক মিছিলের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছন দিক তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ককটেল এবং ২টি পেট্রোল বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযানটি পরিচালনা করে।

ওসি রুকনুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “যে কোন ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।