একদিন আগে ঘোষণা দিয়ে তাণ্ডব, ‘সতর্কই’ থাকল পুলিশ

রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে— এমন অভিযোগে গতকাল সংঘর্ষে জড়ান বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ন্যাশনাল মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনার জবাব দিতে গতকালই ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী আজ (সোমবার) সকাল থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে হাজারো শিক্ষার্থী ডেমরার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় হেঁটে।
এরপর মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে পৌঁছানোর পর সেখানে ব্যাপক তাণ্ডব চালান তারা। মাইকিং করে কলেজটিতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। বিভিন্ন টেলিভিশনের লাইভ ফুটেজে এই কলেজের কম্পিউটার, খাতাপত্র ইত্যাদি নিয়ে অনেককে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। তাদের বাধা দেওয়া বা রাস্তায় আটকাতে পুলিশ কিংবা অন্য কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর তেমন কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।
এখন প্রশ্ন উঠছে যে একদিন আগে এই ভাঙচুরের ঘোষণা দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি। আর এই ঘোষণার বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো কী ভূমিকা রেখেছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।