সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ময়মনসিংহের ঘাগড়ায় এনসিপি'র উঠান বৈঠক

“পরিবর্তনের জন্য তৃণমূলই মূল ভিত্তি”- ময়মনসিংহে এনসিপি নেতৃবৃন্দ

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ১০:২২ পিএম
“পরিবর্তনের জন্য তৃণমূলই মূল ভিত্তি”- ময়মনসিংহে এনসিপি নেতৃবৃন্দ

ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা ১১নং ঘাগড়া ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এ বৈঠকটি ছিল সম্পূর্ণ জনগণকেন্দ্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা এবং সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটির মো. জসিম উদ্দিন, এইচ. এম. মোকাররম আদনান, মাহবুব চৌধুরী মিথুন, আব্দুল আল মামুন ফরাজী প্রমূখ। যোদ্ধাহত সৈয়দ মুরসালিন।

নেতৃবৃন্দরা বলেন, “একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা আপনার অধিকার। এই অধিকার রাষ্ট্র দিতে বাধ্য, (এনসিপি) সেই রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে যেখানে জনগণের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে ।

তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনীতি করি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের মর্যাদা, ন্যায়বিচার এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। একটি সচেতন সমাজই পারে একটি সুন্দর পরিপাটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।”

জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য এইচ. এম. মোকাররম আদনান উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা আমাদের দাদী, নানী, চাচী, খালার, সমতুল্য আমরা আপনাদের সন্তান, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, আপনাদের উপর রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার গুলো ফিরিয়ে আনতে, আপনাদেরকে সজাগ করতে এসেছি , (এনসিপি) আপনার মৌলিক অধিকার গুলো আদায়ে সোচ্চার রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, আপনাদের এই ঘাগড়া ইউনিয়ন ময়মনসিংহ সিটির এতো নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও আপনাদের চলাচলের মূল রাস্তা দেখে মনে হলো আমরা হাজার মাইল দূরে কোন এক অজপাড়া গাঁয়ে এসেছি, এই অবস্থার জন্য অনেকটা আপনারাই দায়ী, আপনারা আপনাদের অভিভাবক নির্ধারণ করতে ভুল করেছেন, গত দেড় যুগের ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার এবং তার অনুসারীরা আপনাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে, আপনাদের ভোটের অধিকার হরণ করে আপনাদের সম্পদে ভাগ বসিয়েছে, সাবেক চেয়ারম্যান, মেম্বাররা আপনাদের উপর জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে, আপনার ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে , আপনার বাক স্বাধীনতাটুকু স্বৈরাচারী পেশিশক্তি ব্যবহার করে প্রতিবাদের আওয়াজ বন্ধ করে রেখেছে, আজ ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পরে আরেকটা গোষ্ঠী ঠিক সেই স্বৈরাচারী কায়দায় আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে, আপনারা যে কোন মূল্যে আপনার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে, এই নব্য ফ্যাসিস্টকে প্রতিরোধ করবেন। আপনার মূল্যবান ভোট আপনিই চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন , আপনার ভোট আপনি কাকে দিবেন , হোক সে আপনার স্বামী,ভাই, বাবা কিংবা নিকটবর্তী আত্মীয় কারো মিষ্টি কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে কাকে ভোট দিলে আপনার আপনার সন্তানের আপনার প্রতিবেশীর এবং আপনার সমাজের উপকার হবে সেখানেই দিবেন।

তিনি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এলাকার তরুণ এবং মুরুব্বিদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন এবং গ্রামের মূল চলাচলের রাস্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন। জনগণের অধিকার আদায়ে যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন , গ্রাম বাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যসমূহ, নারীদের রাজনৈতিক মৌলিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান, এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রম তুলে ধরা, জনগণের অভিযোগ ও সমস্যার সরাসরি শোনার উদ্যোগে সমাধানের পথ দ্রুত খুঁজে পাওয়া।

উঠান বৈঠকে নারীদের বড় একটি অংশ অংশগ্রহণ করেন এবং গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যা তুলে ধরেন। এনসিপি নেতৃবৃন্দ এসব সমস্যার প্রতি সহানুভূতির সাথে মনোযোগ দেন এবং দ্রুত সময়ের সমাধানের আশ্বাস দেন।

ছবিতে দেখা যায়, উঠানে গোলাকারে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনসিপি নেতারা এবং উৎসুক জনতা খুব আবেগ এবং মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছেন। তাদের সমস্যা গুলো তুলে ধরেন ।

এনসিপির বার্তা, “পরিবর্তনের জন্য তৃণমূলই মূল ভিত্তি”

এ ধরনের গণমুখী বৈঠক প্রমাণ করে, (এনসিপি) শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি গণজাগরণের আন্দোলন। এনসিপি বিশ্বাস করে, নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই একটি উন্নত, মানবিক ও সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করা।

হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল (HATI)–এর ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা আয়েশ রেস্টুরেন্টে এক সুশৃঙ্খল, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ সাইদ এবং উদ্বোধন করেন ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবজাল হোসাইন মৃধা, ময়মনসিংহ চরপাড়া মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহমান বাবুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের অসংখ্য মানবাধিকার কর্মী, সামাজিক সংগঠক ও অতিথিরা এসময় বক্তব্য রাখেন ।

ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোঃ অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুর রহমান পাবেল।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল এর ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল ময়মনসিংহ জেলায় মানবাধিকার কার্যক্রমে নতুন গতি ও প্রাণ ফিরে পাবে—এমনই প্রত্যাশা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের ।

সবশেষে সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়: লোকসানের কারণ এমডির দুর্নীতি ও অদক্ষতা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়: লোকসানের কারণ এমডির দুর্নীতি ও অদক্ষতা

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ব্যাংক সেক্টরের নেতা মজিবর রহমান জনতা ব্যাংকের এমডি পদে বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। সাবেক অর্থ মন্ত্রী ও হাসিনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের বিশ্বস্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে

ঘুষ দুর্নীতি বদলী বানিজ্যে করে অর্থ বিত্ত সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

গত অর্থবছরে জনতা ব্যাংক লস করেছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। যা ছিল জনতা ব্যাংকের ইতিহাসে ভয়াবহ বিপর্যয়। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের ২০২৪ সালের লোকসানের পরিমাণ ৩০৬৬ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে, এই লসের পরিমাণ আগামীতে চার হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকতে পারে।

‎এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ এমডি মজিবুর রহমানের অদক্ষতা এবং লাগামহীন দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্য। ঘুষের আশায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সহায়তা প্রাপ্ত গ্রাহকদের পনু : তফশিল দিতে গড়িমসি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ও ব্যাংক সেক্টরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে এই জনতা ব্যাংকের প্রধান বাধা এমডি মজিবর রহমান। জিরো টলারেন্স দুর্নীতির চরম শিখরে অবস্থান করছে। আওয়ামী দলবাজ এমডি’র দুর্নীতি ও দলবাজি’র কবলে পড়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোন মূল্যায়ন না করে অদক্ষ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের

মাঠ পর্যায়ের শাখা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সহ কর্মচারীদের পোস্টিং দেওয়ার কারণে ব্যাংক লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছেনা এমনটি জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তা।

এদিকে, উচ্চ সুদে আমানত এনে, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে এবং ভুল তথ্য দিয়ে নিজের ব্যক্তি ইমেজ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন মজিবুর রহমান। জনতা ব্যাংকের পয়সায় এই আমানত আনার শিশুসুলভ বিজ্ঞাপনে দেশের সবগুলো দৈনিকের পাতা এখন মজিবুরের ছবিতে ভর্তি।

ব্যাংক পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে, নানা সূত্রে ৪৭ কোটি টাকা ঘুষের কন্টাক্টে মজিবুর জনতা ব্যাংকের এমডি পদ হাসিল করেছেন। এই টাকা লাভসহ তোলার জন্য মুখিয়ে আছেন মজিবুর। ফলে সব রকম খাত থেকেই তিনি লাভ তুলতে মরিয়া। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার ওরিয়ান ফার্মার একটি প্রজেক্টের ফায়ার ইনসিওরেন্স তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন ইনসুরেন্সকে দিতে বাধ্য করেন মজিবুর। জানা গেছ, মজিবুর একাই এখান থেকে কমিশন নিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। বাকি কমিশন ৪৮ মতিঝিল শাখার দুর্নীতিগ্রস্ত ডিজিএম সোবাহান এবং এমডির আত্মীয় ভাগ করে নেন। যা সবসময়ই অপ্রদর্শিত আয় হিসেবে তাদের কুক্ষিগত হয়। জানা গেছে- অরিয়ন অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমডির হুমকিতে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেভিটের চিঠি দিতে বাধ্য হয়।

‎এমন হাজার অনিয়ম দুর্নীতির কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংকের লাভজনক স্বাভাবিক কার্যক্রম। দক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যখন তখন যেখানে সেখানে বদলি করার ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে জনতা ব্যাংকের অগ্রগতি। হয়রানিমূলক বদলির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘুস দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। জানা গেছে, এই বদলি বাণিজ্য দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন যে কর্মকর্তা, তিনি আবার এমডি মজিবুরের ভায়রাভাই।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে উচ্চপদস্থ এক ব্যাংকার বলেন যে, জনতা ব্যাংক বর্তমানে খেলাপি ঋণে জর্জরিত। এখন দরকার পুনঃ :তফশিল এবং সুদ মওকুফের মাধ্যমে অতিদ্রুত উল্লেখযোগ্য অঙ্কের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, নতুন সিকিউরড ঋণ সৃষ্টি। বর্তমান এমডি খেলাপি ঋণ কমানোর কোনো চেষ্টাই করছেন না। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সহায়তা প্রাপ্ত গ্রাহকদের পনু :তফশিল দিতে গড়িমসি করছেন। ফলে ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত ঋণের হার কেবল বাড়ছে। এদিকে উচ্চ সুদে আমানত এনে, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের ব্যক্তি ইমেজ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন মজিবুর রহমান।

‎জনতা ব্যাংক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি ব্যাংক। দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অবদান এই ব্যাংকটির। এমন প্রেক্ষিতে এই ব্যাংকের বিপর্যয় জাতীয় অর্থনীতিতে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

তিনি ১৯৬৯ সালে ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলাধীন হাসাদিয়া গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে বিএসসি অনার্স ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স এবং এগ্রিকালচারাল প্রডাকশন ইকোনমিক্সে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

ময়মনসিংহে বড় মসজিদের ছাত্র মুয়াজকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৫১ এম
ময়মনসিংহে বড় মসজিদের ছাত্র মুয়াজকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত

ময়মনসিংহ বড় মসজিদের ছাত্র আজিজুল হক মুয়াজকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মমেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

মুয়াজের পরিবার জানায়, হামলার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তাকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

স্বজনদের দাবি, এই নৃশংস হামলার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনাটির পর স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

হামলার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে হামলার কারণ এখনো পরিষ্কার নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।