সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

আইসিইউ শয্যা স্বল্পতায় বিঘ্নিত চিকিৎসাসেবা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম
আইসিইউ শয্যা স্বল্পতায় বিঘ্নিত চিকিৎসাসেবা

ময়মনসিংহ বিভাগে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। তাদের চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মমেক)। ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, সুনাম, গাজীপুরসহ আশপাশের মানুষ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। মমেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১২টি শয্যা রয়েছে। বিভাগের আর কোনো সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ নেই। এ নিয়ে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের প্রায় দুই কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা আছে ৩৫টি। এ হিসাবে প্রায় ৬ লাখ মানুষের জন্য আইসিইউ শয্যা মাত্র একটি। ফলে একটি শয্যা পেতে রোগীর স্বজনদের দুর্ভোগের কোনো শেষ থাকে না।

রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটের কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সখিনা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে রাখতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ফাঁকা না থাকায় স্বজনরা বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও আইসিইউ শয্যা না পেয়ে রোগীকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যান।

সখিনা খাতুনের ছেলে সাজেদুল আলম বলেন, ‌‘শহরের কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরেও আইসিইউ জোগাড় করতে পারিনি। একটিও ফাঁকা ছিল না। ময়মনসিংহ মেডিক্যালে আইসিইউ ফাঁকা থাকলে মাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হতো না। এ কারণে বাধ্য হয়ে ঢাকায় নিয়েছি। এটি শুধু আমার মায়ের বেলায় নয়, প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে ঘটছে। এজন্য জেলায় আইসিইউ শয্যা বাড়ানো জরুরি।’

শুধু সখিনার স্বজনদের নয়, হাসপাতালে একটি আইসিইউ শয্যার জন্য বেশির ভাগ রোগীর স্বজনদের প্রায় সময় একই অবস্থা। অবস্থা এমন হয়েছে, সব সময় আইসিইউতে রোগী থাকছে। অন্যদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ডাক্তারদের কিছুই করার থাকে না। কেউ সুস্থ হলে বা মারা গেলেই শুধু আইসিইউ শয্যা খালি হয়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নেই। এমনকি এসব জেলার বেসরকারি হাসপাতালেও আইসিইউ নেই। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ আছে ১২টি। এ ছাড়া নগরীর বেসরকারি প্রান্ত হাসপাতালে দুটি, স্বদেশ হাসপাতালে তিনটি, সায়েম হাসপাতালে তিনটি, নেক্সাস হাসপাতালে দুটি ও সিবিএমসিবি হাসপাতালে রয়েছে ১৩টি আইসিইউ শয্যা। এ নিয়ে বিভাগের চার জেলার ২ কোটি মানুষের জন্য আইসিইউ রয়েছে মাত্র ৩৫টি। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সব হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর দাবি রোগীর স্বজনসহ সচেতন নাগরিক সমাজের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাপরিচালক বলেন, ‘দক্ষ জনবলের অভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে আগামী দিনে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো হবে তিনি জানান।’

সূত্র: ইত্তেফাক

 

ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ মাদক সমাজ্ঞী সুরাইয়া আটক

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ মাদক সমাজ্ঞী সুরাইয়া আটক

ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অদ্য ১৪/০৪/২০২৫ ইং তারিখ রোজ সোমবার বিকাল ৬ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর একটি চৌকস টিম উপ পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চরনিলক্ষিয়া দিঘলাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪৮০০ পিট ইয়াবাসহ সুরাইয়াকে আটক করা হয়।

আটককৃত মোছা: সুরাইয়া আক্তার দীর্ঘদিন যাবত একালায় মাদক ব্যবসা করছিলো। সুরাইয়ার পিতা: জমির ব্যাপারী, স্বামী: স্বপন মিয়া। মোছাঃ সুরাইয়া আক্তার (৩০) কে ৪,৮০০ (চার হাজার আটশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ০১ টি মোবাইল সেট সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ “ক” সার্কেল গ্রেফতার করে। মাদক সম্রাজ্ঞী সুরাইয়া আটক হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

আসামীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী পুলিশের অভিযানে অপহরণ ও মাদক মাদলার আসামীসহ গ্রেফতার-১১; মাদক দ্রব্য উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৭ পিএম
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী পুলিশের অভিযানে অপহরণ ও মাদক মাদলার আসামীসহ গ্রেফতার-১১; মাদক দ্রব্য উদ্ধার

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে ইং- ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ১১ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।

এসআই (নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। ফারজানা আক্তার (২৫), পিতা-মোঃ মুছা, মাতা-মোছাঃ ফাতেমা বেগম, সাং-নাটকঘরলেন, এপি/সাং-নির্মলাবাস পুরোহিতপাড়া রোড (জনৈক কবির এর বাসার ভাড়াটিয়া), ২। তুষার (১৮), পিতা-হেলাল উদ্দিন, মাতা-তাসলিমা বেগম, গ্রাম-৫৫/বি পুরোহিত পাড়া, উভয় থানা-কোতোয়ালী মডেল, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে এবং আসামীদ্বয়ের নিকট হইতে ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।

এসআই (নিঃ) মোঃ মাহবুব আলম ফকির সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর (২১), পিতা-আব্দুল আওয়াল নোমান, সাং-কেওয়াটখালী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে এবং আসামীর নিকট হইতে ২৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।

এসআই (নিঃ) বিশ্বজিত সূত্রধর সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অপহরন মামলার আসামী ১। সুব্রত সরকার (৪২), পিতা-সুরেন্দ্র সরকার, মাতা-প্রতিমা রানী সরকার, সাং-হাপানিয়া, থানা-হালুয়াঘাট, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

এসআই (নিঃ) রিপন চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। আমিরুল ইসলাম (৫০), পিতামৃত-নুরু ফকির, ২। মাসুদ রানা (৪২), পিতা-লাল মিয়া, উভয় সাং-টান হাসাদিয়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে এবং আসামীদ্বয়ের নিকট হইতে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন।

এসআই (নিঃ) মোঃ আন্নান উল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান মামলার আসামী ১। মোঃ বাবু মিয়া(২৯), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী সেলিম, মাতা-মোছাঃ রাশেদা বেগম, সাং-আকুয়া দক্ষিণপাড়া, থানা-কোতোয়ালী, ২। কবির হাসান রতন (২৪), পিতা-মোঃ হোসেন আলী, মাতা-মোছাঃ আমেনা বেগম, সাং-মরিচারচর গাঙ্গিনারপাড়, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, উভয় জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

এসআই (নিঃ) মোঃ মতিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া পর্নোগ্রাফি আইনের মামলার আসামী ১। খইরুল এনাম (২৮), পিতা- মোঃ মোক্তাজুল, মাতা- খালেদা বেগম, সাং- দেবীপুর, খোসবাজার এস ডি কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন, থানা- ভূল্লী, জেলা- ঠাকুরগাঁওকে ঠাকুরগাঁও জেলার দেবীপুর এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ প্রান্ত (২৫), পিতা মৃত-পান্নু মিয়া, মাতা-আছমা খাতুন, সাং-আকুয়া ভাঙ্গাপুল, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

ইহাছাড়াও এসআই (নিঃ) মাসুদ জামালী সঙ্গীয় ফোর্স সহ থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করিয়া ০১ টি পরোয়ানা ভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করেন।

পরোয়ানা ভূক্ত আসামীদের নাম ও ঠিকানা-

১। পাপ্পু (২৮), পিতা-হাশেম, স্থায়ী : গ্রাম- জেলখানার চর (জেলখানার চর বেড়িবাঁধ) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

প্রত্যেক আসামীদের চালান মোতাবেক যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে।

স্বাগত ১৪৩২

ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৬ পিএম
ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা

আজ পয়লা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বরাবরের মতো নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নতুন বছর। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবার ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে হচ্ছে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা। এবার ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইউনেস্কো স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকালে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ, দিনটিকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত সর্বস্তরের মানুষ। বসন্তের রঙিলা পালকিতে চড়ে আসা বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং একাত্মতা উদ্‌যাপিত হবে, যা এখন দেশব্যাপী একটি পরিচিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিণত হয়েছে।

এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি অতিথিরা। থাকছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। বড় মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল ইত্যাদি। বিশেষভাবে এবারের শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের মোটিফ যুক্ত করা হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের এক রাজনৈতিক বার্তাবাহী উপাদান।

এ ছাড়া থাকবে সুলতানি ও মুঘল আমলের ১০টি মুখোশ, ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ২০টি রঙিন চরকি, ২০০টি বাঘের মাথা, তালপাতার ৮টি সেপাই, ১০টি পলো, ৫টি তুহিন পাখি, ৬টি মাছ ধরার চাই, ৪টি পাখা, ২০টি মাথাল, ২০টি ঘোড়া, ৫টি লাঙল, ৫টি মাছের ডোলা এবং ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস।

এদিকে শনিবার ভোরে চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আগুন লাগিয়ে দেয় এক মুখোশধারী যুবক। তবে বাধা পেরিয়ে শিল্পীরা আবারো কাজ শুরু করেন। ককশিট দিয়ে নতুন করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন তারা।