সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৩:৪০ পিএম
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাঁকে হত্যা করে।

স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন। তাই তাকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক বলা হয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের সমন্বয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠায় স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জিয়াউর রহমান। শহীদ জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক এক কালজয়ী দর্শন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

প্রতি বছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ্। শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। গত ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ২ জুন পর্যন্ত।

এরমধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জিয়ার কবরে ফুল দেওয়া ও ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ। কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আলোচনা সভা করেছে বিএনপি। এতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও বিশিষ্টজন বক্তব্য রাখেন।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করছেন। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা এই সময় এসব আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও সারা দেশে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠন শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি পালন করছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া খাল খনন কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।

দেশকে যখন তিনি সামনের দিকে নিয়ে চলতে শুরু করেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। বিপথগামী সেনাসদস্যরা তার লাশ চট্টগ্রামের রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়।

তিন দিন পর ওই লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়, লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ শেরেবাংলা নগরে তার জানাজায় শরিক হন। ঢাকায় শহীদ জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজায় লোকসমাগম ও লাখ লাখ লোকের শোকাহত উপস্থিতি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

জিয়াউর রহমান বিবিসি’র জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিদের অন্যতম। জিয়াউর রহমান তার রাষ্ট্রনায়কত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির জন্য দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা দ্বারা সম্মানিত হয়েছিলেন। সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনে তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।

জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে শহীদ জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়। যা বর্তমানে ‘জিয়া উদ্যান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল (HATI)–এর ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা আয়েশ রেস্টুরেন্টে এক সুশৃঙ্খল, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ সাইদ এবং উদ্বোধন করেন ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবজাল হোসাইন মৃধা, ময়মনসিংহ চরপাড়া মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহমান বাবুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের অসংখ্য মানবাধিকার কর্মী, সামাজিক সংগঠক ও অতিথিরা এসময় বক্তব্য রাখেন ।

ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোঃ অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুর রহমান পাবেল।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল এর ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল ময়মনসিংহ জেলায় মানবাধিকার কার্যক্রমে নতুন গতি ও প্রাণ ফিরে পাবে—এমনই প্রত্যাশা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের ।

সবশেষে সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়: লোকসানের কারণ এমডির দুর্নীতি ও অদক্ষতা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়: লোকসানের কারণ এমডির দুর্নীতি ও অদক্ষতা

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ব্যাংক সেক্টরের নেতা মজিবর রহমান জনতা ব্যাংকের এমডি পদে বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। সাবেক অর্থ মন্ত্রী ও হাসিনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের বিশ্বস্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে

ঘুষ দুর্নীতি বদলী বানিজ্যে করে অর্থ বিত্ত সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

গত অর্থবছরে জনতা ব্যাংক লস করেছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। যা ছিল জনতা ব্যাংকের ইতিহাসে ভয়াবহ বিপর্যয়। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের ২০২৪ সালের লোকসানের পরিমাণ ৩০৬৬ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে, এই লসের পরিমাণ আগামীতে চার হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকতে পারে।

‎এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ এমডি মজিবুর রহমানের অদক্ষতা এবং লাগামহীন দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্য। ঘুষের আশায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সহায়তা প্রাপ্ত গ্রাহকদের পনু : তফশিল দিতে গড়িমসি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ও ব্যাংক সেক্টরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে এই জনতা ব্যাংকের প্রধান বাধা এমডি মজিবর রহমান। জিরো টলারেন্স দুর্নীতির চরম শিখরে অবস্থান করছে। আওয়ামী দলবাজ এমডি’র দুর্নীতি ও দলবাজি’র কবলে পড়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোন মূল্যায়ন না করে অদক্ষ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের

মাঠ পর্যায়ের শাখা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সহ কর্মচারীদের পোস্টিং দেওয়ার কারণে ব্যাংক লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছেনা এমনটি জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তা।

এদিকে, উচ্চ সুদে আমানত এনে, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে এবং ভুল তথ্য দিয়ে নিজের ব্যক্তি ইমেজ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন মজিবুর রহমান। জনতা ব্যাংকের পয়সায় এই আমানত আনার শিশুসুলভ বিজ্ঞাপনে দেশের সবগুলো দৈনিকের পাতা এখন মজিবুরের ছবিতে ভর্তি।

ব্যাংক পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে, নানা সূত্রে ৪৭ কোটি টাকা ঘুষের কন্টাক্টে মজিবুর জনতা ব্যাংকের এমডি পদ হাসিল করেছেন। এই টাকা লাভসহ তোলার জন্য মুখিয়ে আছেন মজিবুর। ফলে সব রকম খাত থেকেই তিনি লাভ তুলতে মরিয়া। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার ওরিয়ান ফার্মার একটি প্রজেক্টের ফায়ার ইনসিওরেন্স তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন ইনসুরেন্সকে দিতে বাধ্য করেন মজিবুর। জানা গেছ, মজিবুর একাই এখান থেকে কমিশন নিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। বাকি কমিশন ৪৮ মতিঝিল শাখার দুর্নীতিগ্রস্ত ডিজিএম সোবাহান এবং এমডির আত্মীয় ভাগ করে নেন। যা সবসময়ই অপ্রদর্শিত আয় হিসেবে তাদের কুক্ষিগত হয়। জানা গেছে- অরিয়ন অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমডির হুমকিতে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেভিটের চিঠি দিতে বাধ্য হয়।

‎এমন হাজার অনিয়ম দুর্নীতির কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংকের লাভজনক স্বাভাবিক কার্যক্রম। দক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যখন তখন যেখানে সেখানে বদলি করার ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে জনতা ব্যাংকের অগ্রগতি। হয়রানিমূলক বদলির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘুস দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। জানা গেছে, এই বদলি বাণিজ্য দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন যে কর্মকর্তা, তিনি আবার এমডি মজিবুরের ভায়রাভাই।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে উচ্চপদস্থ এক ব্যাংকার বলেন যে, জনতা ব্যাংক বর্তমানে খেলাপি ঋণে জর্জরিত। এখন দরকার পুনঃ :তফশিল এবং সুদ মওকুফের মাধ্যমে অতিদ্রুত উল্লেখযোগ্য অঙ্কের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, নতুন সিকিউরড ঋণ সৃষ্টি। বর্তমান এমডি খেলাপি ঋণ কমানোর কোনো চেষ্টাই করছেন না। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সহায়তা প্রাপ্ত গ্রাহকদের পনু :তফশিল দিতে গড়িমসি করছেন। ফলে ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত ঋণের হার কেবল বাড়ছে। এদিকে উচ্চ সুদে আমানত এনে, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের ব্যক্তি ইমেজ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন মজিবুর রহমান।

‎জনতা ব্যাংক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি ব্যাংক। দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অবদান এই ব্যাংকটির। এমন প্রেক্ষিতে এই ব্যাংকের বিপর্যয় জাতীয় অর্থনীতিতে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

তিনি ১৯৬৯ সালে ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলাধীন হাসাদিয়া গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে বিএসসি অনার্স ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স এবং এগ্রিকালচারাল প্রডাকশন ইকোনমিক্সে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

ময়মনসিংহে বড় মসজিদের ছাত্র মুয়াজকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৫১ এম
ময়মনসিংহে বড় মসজিদের ছাত্র মুয়াজকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত

ময়মনসিংহ বড় মসজিদের ছাত্র আজিজুল হক মুয়াজকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মমেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

মুয়াজের পরিবার জানায়, হামলার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তাকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

স্বজনদের দাবি, এই নৃশংস হামলার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনাটির পর স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

হামলার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে হামলার কারণ এখনো পরিষ্কার নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।