ময়মনসিংহে চাকুরীর প্রলোভনে নোমানের প্রতারণা

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে ছবি প্রদর্শন ও নাম ভাঙ্গিয়ে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল্লাহ আল নোমান গংদের বিরুদ্ধে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে দলের প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, জুয়া (ক্যাসিনো), ডলার ব্যবসা, মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলে আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও থামেনি নোমান গংদের অপরাধ কর্মকাণ্ড।
আব্দুল্লাহ আল নোমান ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের তিলাটিয়া গ্রামের মোঃ নুরুল আমীনের ছেলে।
চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী সাকিব আল হাসান টাকা ফেরত চাইলে বাঘমারা মেডিকেল হোস্টেল মাঠে যেতে বলে। সেখানে গেলে বিকাশে টাকা লেনদেনের সময় আব্দুল্লাহ আল নোমানের মোবাইল ও ল্যাপটপে ক্যাসিনোর এজেন্টের কিছু তথ্য চোখে পড়ে ভুক্তভোগী সাকিব আল হাসানের। এসময় ক্যাসিনো খেলার ডকুমেন্টস ছবি তোলা ও ভিডিও করায় ১০/১৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারপিট করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে অপপ্রচার চালায় বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী সাকিব আল হাসান।
এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল নোমান, আরমান, শিহাব, আশরাফুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮/১০ জনের নামে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাকিব আল হাসান।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল নোমানের মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাপ চাচারা আওয়ামী লীগ করে এটা সত্য, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো মিথ্যা দাবী করে তিনি বলেন, আমাকে সাকিব আল হাসান অপহরণ করেছে, আমিও থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম খানের সাথে মুঠোফোন (হুয়াট্স এ্যাপে) কথা বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।