ডিজিটাল ডিটক্স: সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি কাটানোর অভিনব উপায়

অনেকেই আছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। ফলে শরীর ও মনের ক্ষতি হচ্ছে। মানসিক সুস্থতা এবং সম্পর্কের কথা ভেবে নিজেদেরই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। শরীর বসে থাকে না। কোনও না কোনও অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ সবসময় কাজ করছে। তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মাঝে মধ্যে শরীরের ডিটক্স করা প্রয়োজন। যাতে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। শরীর ফের চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু মন?
শুধু শরীরের ডিটক্স করলে হবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মনেরও ডিটক্স প্রয়োজন। বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে। সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত দেখে অনেকেই আতঙ্কিত। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটে বুঁদ হয়ে রয়েছে তরুণ প্রজন্ম। অবস্থা দেখে গত সপ্তাহে ১৬ বছরের কম বয়সী কিশোর-কিশোরীরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ডিজিটাল ডিটক্স কেন গুরুত্বপূর্ণ: মন বারবার নোটিফিকেশনের দিকে চলে যায়। ফিড দেখতে ইচ্ছা করে। এর প্রভাব পড়ে কাজে। বাস্তব জীবনে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্বেগ, একাকীত্ব নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে সামগ্রিক জীবনেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
কী করা উচিত: একজন ইউজার কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন, তা নিজেকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। আইফোনে স্ক্রিন টাইম ফিচার রয়েছে। মোট সময়, ইউজার কোন অ্যাপ বেশি ব্যবহার করছেন, ফোন আনলক করার হার ইত্যাদি সব জানা যায় এ থেকে। নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারের দৈনিক সীমাই সেট করা যায় এতে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে রাশ টানা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে যায়।
বেশ কিছু ডিটক্স অ্যাপও রয়েছে বাজারে। যেমন ‘ডাম্ব ফোন’। এই অ্যাপ মিনিমালিস্ট হোম স্ক্রিন তৈরি করে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরিয়ে ফেলে। এছাড়া রয়েছে ‘ওপাল’। এই অ্যাপও স্ক্রিনটাইম ট্র্যাক করে। এছাড়া ‘ফরেস্ট’ অ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন ইউজাররা। এটা মজার অ্যাপ। এই অ্যাপে ভার্চুয়াল গাছ রয়েছে। ইউজার ফোন ব্যবহার না করলে গাছ বড় হতে থাকে। আর ব্যবহার করলে উল্টোটা। আর খুব বেশি ব্যবহার করলে গাছ মরে যায়। গাছ যত বড় হবে, তত ভার্চুয়াল কয়েন জমা হবে। সেই কয়েন দিয়ে বাস্তবে বৃক্ষরোপণ করতে পারবেন ইউজার।
অ্যানড্রয়েড ইউজাররা গুগলের ডিজিটাল ওয়েলবিইং টুল ব্যবহার করতে পারেন। এই ফিচার স্ক্রিন টাইম এবং অ্যাপ ব্যবহারের সময় ট্র্যাক করে। দৈনন্দিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ভিজ্যুয়াল গ্রাফও তৈরি করে দেয়।