বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি
“সংগীত শিখতে বাধ্য করা ধর্মদ্রোহিতার শামিল ও সংবিধান পরিপন্থী”- সংগঠন সচিব অধ্যক্ষ আবু তাহের খান

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং দ্বাদশ পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি’র ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দের এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ নগরীর ধোপাখলা এলাকায় অবস্থিত জেলার অস্থায়ী কার্যালয়ে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি’র ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর শাখার দায়িত্বশীলদের এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠন সচিব অধ্যক্ষ আবু তাহের খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি শরীফুর রহমান।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসী ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ দীর্ঘদিন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের (যা ফ্যাসিবাদী সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল) দাবী জানিয়ে আসছিল এবং প্রত্যাশা করেছিল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা দেখলাম প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ জাতি কোনক্রমেই কোমলমতি শিশুদের ইসলাম বিরোধী এই কার্যক্রম মেনে নিবে না। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নীতি নৈতিকতাহীন ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে গড়ে উঠবে। যারা তাদের সজ্জনদেরকে সংগীত শিখাতে চায় তাদের জন্য শিল্পকলা একাডেমীতে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোনক্রমেই সাধারণভাবে সকল শিক্ষার্থীদেরকে সংগীত শিখতে বাধ্য করা ধর্মদ্রোহিতার শামিল ও সংবিধান পরিপন্থী। ধর্মপ্রাণ এই জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক অন্যথায় দ্বীন প্রিয় এ জাতী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
উক্ত বৈঠকে কেন্দ্র ঘোষিত আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর হতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাওয়াতী পক্ষ বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আমির হাফেজ মাওলানা উমর ফারুক সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সাইফুল মালেক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ভালুকা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা আফজাল হোসাইন সরকার, ফুলপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা ফয়জুর রহমান ফারুক, মাওলানা ছানাউল্লাহ, হাফেজ আবুল কাশেম, হাফেজ শহীদুল্লাহ্, মুফতী সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীরসহ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ।