বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

পুলিশের ধারণা

ময়মনসিংহের মনিরের মাধ্যমে বাসা ভাড়া নিতো আরসার সদস্যরা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
ময়মনসিংহের মনিরের মাধ্যমে বাসা ভাড়া নিতো আরসার সদস্যরা

রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধানসহ যে ১০ জনকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে, তাঁদের মধ্যে অন্তত একজন বাংলাদেশি। তাঁর নাম মনিরুজ্জামান। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে। পুলিশ বলছে, মনিরের মাধ্যমেই আরসা সদস্যরা দেশে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করতেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মনির আরসার সঙ্গে জড়িত শুনে তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী বিস্মিত।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা গত মঙ্গলবার জানায় র‍্যাব।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪)। আতিকুল ইসলাম একই উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মনির। কওমি মাদ্রাসা থেকে ২০১৬ সালে হেফজ শেষ করে মাওলানা হতে তিনি নরসিংদীর একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। করোনাকাল থেকে তাঁর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। গাজীপুরের টঙ্গীতেও মাদ্রাসায় চাকরি করতেন, এমনটিই জানেন তাঁর স্বজনেরা।

স্বজন ও এলাকাবাসী মনিরের গ্রেপ্তারের খবর সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার ছয়জনের একজন মনিরুজ্জামান। সেখানে ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন মনির, এমনটি উল্লেখ আছে গতকাল রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় হওয়া মামলায়। ওই ভবনের ফ্ল্যাট থেকেই আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী গ্রেপ্তার হন।

গতকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জের চরআলগী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মনিরের গ্রেপ্তারের খবরে তাঁর বাড়িতে আসছেন আশপাশের মানুষজন। ময়মনসিংহ নগরের নতুন বাজার মোড়ের গার্ডেন সিটি ভবন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আরসা সদস্যরা যে বাসাটিতে বসবাস করছিলেন, সেটি ভাড়া নিয়েছিলেন মনির। তাঁর একটি জাতীয় পরিচয়পত্র সেখানে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ছবি দেখালে মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মুত্তাকীন হাসান তাঁর ভাইকে শনাক্ত করেন।

মুত্তাকীন হাসান বলেন, মনির তাঁর আপন বড় ভাই। তিনি মাঝেমধ্যে বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। রোজা শুরুর এক দিন আগে রোজার বাজার নিয়ে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। এক রাত থেকে চলে যান। টঙ্গীতে মাদ্রাসায় চাকরি করতেন, ময়মনসিংহেও থাকতেন বলে শুনেছেন। তবে ময়মনসিংহে কী কাজ করতেন, তা তিনি জানেন না। তাঁর ভাষ্য, বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অসুখ ধরা পড়ায় মনিরের বিদেশে যাওয়া হয়নি। তাঁর ভাই আরসার সঙ্গে কীভাবে জড়ালেন, তাঁরা তা বলতে পারবেন না। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খুব কম কথা হতো। যখন টাকা প্রয়োজন পড়ত, ফোন করলে টাকা পাঠাতেন ভাই।

চরআলগী গ্রামে পাকা সড়কের পাশেই একটি টিনশেডের বাড়িতে বসবাস মনিরের পরিবারের। মনিরের মা চম্পা আক্তার বলেন, খবরে দেখেছেন ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভাবের সংসার, টেনেটুনে দিন চলে। ছেলে হয়তো সঙ্গীদের ফাঁদে পড়ে এমন কাজে জড়িয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মনির সরল প্রকৃতির। না বুঝে হয়তো এ কাজ করেছেন।

মনিরের বাবাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি কোনাপাড়ায় মাদ্রাসায় ছিলেন। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছেলে আরসার সদস্যদের সঙ্গে কীভাবে জড়ালেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

মনির বাড়িতে এলেও কারও সঙ্গে মিশতেন না বলে দাবি করেন প্রতিবেশী শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চলাফেরায় বোঝা যেত, মনির খুব সরল। মনিরের গ্রেপ্তারের খবর তাঁদের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে। তবে মনির যদি দেশবিরোধী কাজ করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাঁর বিচার হতে হবে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ময়মনসিংহ নগরের বাসাটি মনিরুজ্জামান ভাড়া নিয়েছিলেন। তবে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে। তাঁরা ধারণা করছেন, আরসা সদস্যরা মনিরের মাধ্যমেই দেশে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করতেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, মনিরুজ্জামান এলাকায় বেশি আসতেন না। তাঁর সম্পর্কে এলাকার মানুষও তেমন কিছু জানেন না। তদন্ত কর্মকর্তাদের চাহিদার ভিত্তিতে তাঁর সম্পর্কে পুলিশ অনুসন্ধান করবে।

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩০ এম
খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ। এ ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার কাছে জমা হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সবকটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা করেছি। কিন্তু ধর্ষণের আলামত পাইনি।’

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ জয়া বলেন, আমাদের দলে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।

জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ড প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ওই ছাত্রীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে, সেই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যা একটা অভিযোগ তুলে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এখন তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২ রাজনৈতিক দল

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:১২ পিএম
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২ রাজনৈতিক দল

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধ পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ২২টি দলের তথ্য মাঠে পর্যালোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দুটো দল- এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ তারা নিবন্ধনের জন্য শর্ত পূরণ করেছে।

এর ফলে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

ময়মনসিংহে স্থানীয়দের বাঁধায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ বন্ধ

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:৪৮ এম
ময়মনসিংহে স্থানীয়দের বাঁধায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ বন্ধ

ভূমি অধিগ্রহণ বা কোন প্রকার ক্ষতি পূরণ ছাড়াই মালিকানা জমির উপর দিয়ে ৩৩কেভি পিডিসিপি লাইন সংযোগ স্থাপনে মসিকের ২৫নং ওয়ার্ডে ফকিরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বন্ধ রয়েছে কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অসদাচরণের ফলে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছে মামলায়। বিদুৎ কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের শতচেষ্টায় হচ্ছে না সুরাহা।

সরেজমিনে গেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোফাজ্জল হোসেন জানান, তালতলা মাজার থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত মাত্র ১কিলোমিটার ফাঁকা রাস্তা রেখে অদৃশ্য কারনে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরিয়ে জনবহুল এলাকার বসতবাড়ির ওপর দিয়ে লাইন টানা হচ্ছে।

থার্টপার্টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না দেখিয়ে জোরপূর্বক লাইন টানার চেষ্টা করছে। আমরা বাঁধা দেওয়ায় আমিসহ বেশ কয়েকজনের নামে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানি করছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা দাবী করছেন, ফকিরাকান্দা ছোট একটা গ্রাম, আমরা অল্প জমির মালিক এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, এদিক দিয়ে লাইন টানলে আমরা এলাকাবাসী নিঃস্ব হয়ে পড়ব। মাত্র এক কিলোমিটার ফাঁকা জায়গা থাকার পরেও অদৃশ্য কারনে সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভিতর দিয়ে লাইন টানা হচ্ছে, ঠিকাদারের কাছে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার দেখাতে বললে তিনি তা না দেখিয়ে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড এর ঠিকাদার মোঃ আশিকুল ইসলাম (আইয়ুব আলী) মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী এইচ এম জি সরোওয়ার জানান, এলাকাবাসী এটা কিভাবে নিচ্ছেন, গুজবে কান দিচ্ছেন কি না জানিনা। তারা নানান জনে নানান ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন। এই লাইনটা ত্রিশাল পর্যন্ত যাবে, এগুলোকে সোর্স লাইন বলে। আরেকটা সাব স্টেশনের জন্য এই লাইনটা প্রয়োজন। লাইনের ডিজাইন ড্রয়িং করার সময় রাস্তা ফলো করি আর এখানে একাটা রাস্তা আছে। আমরা সেটেলমেন্টের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, বিষয়টি এখন আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে।