আদালতের রায় উপেক্ষা করে কিছু অনলাইন পোর্টালে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ

দীর্ঘদিনের আইনি প্রক্রিয়ার পর আদালতের নির্দেশে ভূমি ও ক্ষতিপূরণ ভোগদখল নিশ্চিত হওয়ার পরও মনোয়ারা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে।
মনোয়ারা আক্তার ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাবুল হোসেন (ডাবু) এর কাছ থেকে ০.০৩০০ একর ভূমি ক্রয়ের লক্ষ্যে ১৪৫৯০ নং রেজিস্ট্রি বায়নাপত্র সম্পাদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাবুল হোসেন দলিল প্রদান না করে বায়নার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে একই ভূমি স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারার নামে ১৮.০১.২০১৬ তারিখে ৫২৫ নং দলিল সম্পাদন করেন।
এ ঘটনায় মনোয়ারা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৫৯৩/১৬ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে আদালত ১৭.০৪.২০২২ তারিখে মনোয়ারাকে দলিল হস্তান্তরের আদেশ দেন এবং ২৪.০৭.২০২২ তারিখে ১১৮৭৫ নং রেজিস্ট্রি দলিল সম্পন্ন হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে ১৬.০২.২০২৩ তারিখ মনোয়ারা উক্ত ভূমির দখল বুঝে নেন।
ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন যাচাই করে স্থাপনার মালিকানা মনোয়ারার নামে লিপিবদ্ধ করে। কিন্তু আনোয়ারা আপত্তি করলে তা আদালত খারিজ করে মনোয়ারার দখল বহাল রাখেন। পরবর্তীতে এল.এ. অফিসে মিস কেসের রায়ে মনোয়ারাকেই অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
এমন বাস্তব প্রমাণ ও আদালতের ডিক্রি থাকা সত্ত্বেও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে ২৪.০৯.২০২৫ তারিখে মনোয়ারার বিরুদ্ধে একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অনলাইন পোটাল ইচ্ছাকৃতভাবে সাত মাস আগের একটি ভিন্ন ঘটনার সাথে ওয়ারিশ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ জুড়ে দিয়ে মনগড়া তথ্য প্রচার করেছেন। এতে মনোয়ারাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
মনোয়ারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক মহল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।