কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে টানা দ্বিতীয়বার সভাপতি হয়েছেন শরীফুল আলম, আর টানা তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। কেবল এ দুটি পদেই ভোট গ্রহণ করা হয়। সম্মেলনে ২১টি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি পদে দুজন প্রার্থীর মধ্যে শরীফুল আলম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫২২ ভোট, আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম রিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য বিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১১ ভোট।
সম্মেলনের কাউন্সিলর কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক, কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল ইসলাম মুসা ও করিমগঞ্জ পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম জানান, তারা উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছেন। সবার মাঝেই একটা আনন্দের পরিবেশ দেখা গেছে। এটা দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের একটি ভাল চর্চা বলেও তারা মন্তব্য করেন। যারাই নির্বাচত হোক, তাদের নেতৃত্বেই দলের জন্য কাজ করবেন বলেও এ তিন কাউন্সিলর জানান।
তবে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল একজনের ভোট অন্যজনে দেওয়াসহ কিছু অনিয়মের কথা বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তার কাছে কোনো প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দেননি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।