ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে ৪৭ প্রকল্পে ৮৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি, অভিযানে দুদক

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ অফিসের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। অভিযানে জনস্বাস্থ্য উপখাতে ৪৭ প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমান মিলেছে।
গত (২৫ আগস্ট) দৈনিক নতুন সময় পত্রিকায় “ময়মনসিংহে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড লাগিয়ে অনুদানের টাকা উত্তোলন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদকের চার সদস্যের একটি দল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা সমন্বিত দুদকের সরকারি পরিচালক মো. বুলু মিয়া। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য দুদকের হাতে রয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের জনস্বাস্থ্য উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদারকে পাওয়া যায়নি। তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।
এসময় অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই এবং পরে নথিপত্র নিয়ে অনুসন্ধানে যান দুদকের তদন্ত দল। তদন্তে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, নথিপত্র যাচাই-বাছাই ও সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সেই প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে কমিশন।
সুত্র জানায়, জেলার সদর উপজেলার ভাবখালি ইউনিয়নে এক ব্যক্তির নামে একাধিক, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান ও আবেদন না করেও অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম বরাদ্দের তালিকা পেয়েছেন। পারিবারিক কবরস্থানকে সামাজিক দেখিয়েও নেয়া হয়েছে বরাদ্দ।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আইনুল হকের সঙ্গে যোগসাজশে একই ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অজান্তে সেসব প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদার। পরে বিষয়টি টের পেয়ে জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে তাদের দিয়ে নতুন করে আবেদন করানো হয়।
এছাড়া বরাদ্দের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ এনে প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।
দুদকের অভিযানে অংশ নেয়, উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন , মো. রেজুয়ান আহমেদ ও মো. ইব্রাহিম খলিল।