ময়মনসিংহে ৪৭তম বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতিমূলক সেমিনার

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪ এর প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) বিজ্ঞ সদস্য এ এস এম গোলাম হাফিজ। বিপিএসসি কর্তৃক আয়োজিত জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম ও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান।
এছাড়াও ময়মনসিংহের বিপিএসসির আঞ্চলিক কেন্দ্র ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিতব্য ৪৭তম বিসিএসের ২৮টি কেন্দ্রের হল প্রধান ও আহ্বায়ক, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিপিএসসির আঞ্চলিক কার্যালয় ময়মনসিংহের উপপরিচালক কামরুন্নাহার শেফার সঞ্চালনায় শুরুতেই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুন নিয়ে একটি তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। ময়মনসিংহে ২৮টি কেন্দ্রে মোট ৩০৩৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রপ্রধানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান বলেন, “প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে মেডিকেল অফিসার এবং একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকবে। ছোটখাটো বা জরুরি প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় তারা নিয়োজিত থাকবে।”
পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, “১৯টি পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেকোনো ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধে পুলিশ সদা তৎপর। এছাড়াও যানজট এড়াতে পরীক্ষার্থীদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।”
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, “আপনাদের পরীক্ষাপূর্ব, পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে করণীয় বিষয়ক যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করুন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি থাকুন।”
ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশ সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে এ পরীক্ষার আয়োজনে বদ্ধপরিকর।”
বিপিএসসির সদস্য ও প্রধান অতিথি এ এস এম গোলাম হাফিজ বলেন, “অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়, সেগুলো চেকিং এর সময় সনাক্ত করে প্রতিহত করতে হবে। কানের মধ্যে কোনো ডিভাইস, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, অলংকার, মোবাইল, মানিব্যাগ আনা যাবে না। নিষিদ্ধ সামগ্রীর বিষয়ে কেন্দ্রে হ্যান্ডমাইকে বারবার প্রচার করতে হবে। আসন বিন্যাস দৃশ্যমান জায়গায় টাঙানো, নিয়ম অমান্য করলে সাইলেন্ট এক্সপেল (নীরব বহিষ্কার) সহ সবকিছুতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অনুরোধ রইল।”
সমাপনী বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ বলেন, “পিএসসি’র পরীক্ষা জাহাজের মতো যার কান্ডারী আপনারা। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ বাছাই পরীক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি।”