রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিএনপির সমাবেশে নেতার মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, সমালোচনার ঝড়

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৮ এম
বিএনপির সমাবেশে নেতার মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, সমালোচনার ঝড়

রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে আবুল বাসার ফুল মিয়া নামের এক বিএনপি নেতার মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য খোন্দকার মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল উদ্দিন রাশেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

হাতিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবুল বাসার ফুল মিয়া তার নির্ধারিত বক্তব্য শেষ করার পূর্বে জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করেন। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হচ্ছে সমালোচনা। আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান জয় বাংলা দেওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে।

এ বিষয়ে আবুল বাসার ফুল মিয়া বলেন, আমি ‘জয় বাংলা’ বলে কোনো স্লোগান দেই নাই। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আমাদের দুশমন, এটা আমাদের খান্দানের দুশমন। কেন আমি জয় বাংলা বলবো, আমি তারেক জিয়া জিন্দাবাদ বলেছিলাম। তিনি দাবি করেন, বক্তব্যের শেষের দিকে উনার পাশ থেকে অন্য কেউ ‘জয় বাংলা’ বলেছিল।

হাতিয়ার পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেওয়া কালে তাদেরকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আবুল বাশার ভাই আমাদের একজন সিনিয়র নেতা, উনি বক্তব্য দেওয়ার সময় সংক্ষিপ্ত করতে বলায় তিনি জয় হোক বাংলাদেশ চিরজীবী হোক এ কথা বলতে গিয়ে ভুলবশত জয়বাংলা বলে ফেলছেন। তবে উনিতো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে নাই। মানুষ মাত্রই ভুল। এটি তিনি ইচ্ছাকৃত করেননি বলেও দাবি করেন এই নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন নিপীড়ন চালিয়েছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার কিছু দোসর কিছু লোকের ছত্রছায়ায় তাদের দল পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। আবুল বাসার ফুল মিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। বিএনপির সমাবেশে তার এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, কোনো বিএনপির নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান দিতে পারবে না। সংগঠন বহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ জেলায় ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৬ পিএম
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ জেলায় ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) নওগাঁ জেলা শাখার আয়োজনে ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে হৈচৈ পার্ক নওগাঁ সদর খলিসা কুড়িতে। উক্ত অনুষ্ঠানে ১১ উপজেলার সকল সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএমইউজে’র সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি, মোঃ আবুবক্কর সিদ্দিক নান্নু, সাঃ সম্পাদক আলহাজ্ব, মামুনুর রহমান রিপন, জেলা যুব দলের আহবায়ক মোঃ সফিউল আজম টুটুল, প্রঃ ড,মতিউর রহমান, সভা পরিচালনা করেন নওগাঁ জেলা বিএমইউজে সাঃ সম্পাদক মোঃ নাদিম হোসেন।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) ২০২৫ তারিখে দূপুরে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহি ভ্রমণ স্পট হৈ চৈ পার্কে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (BMUJ) নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে ও জেলার ১১টি উপজেলা শাখার সাংবাদিকদের নিয়ে উক্ত ব্যাৎসরিক সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপস্থিত বক্তরা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পেশাদারিত্বের মান বজায় রেখে সম্মান মর্যাদা অধিকার রক্ষায় বিএমইউজে কাজ করছে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেগ, আপনারা বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোন ঝামেলায় পরলে আমাদের ফোন দিবেন, আমরা আপনাদের সব সময় পাশে থাকবো। কোন ভয় ভীতির কাছে মাথা নত না করে, সঠিক তথ্য জাতির কাছে তুলে ধরার আহবান জানান।

বক্তারা বলেন বর্তমান কিছু সাংবাদিক হয়েছে, যার না আছে তেমন শিক্ষা, না আছে তাদের কোন ট্রেনিং, যার ফলে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনে বাঁধার সন্মখীন হচ্ছেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষে আমাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা আশু জরুরি। আলোচনা শেষে এক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ময়মনসিংহে নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
ময়মনসিংহে নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

ময়মনসিংহে নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণকাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ও বুলু মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ এলাকা এবং ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহল মোড়সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন, “মরিচারচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ রক্ষার কাজে দরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আমরা বাঁধের এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে।”

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, “এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল আমার পূর্বসূরি নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিলের সময়ে। আমি দুই মাস আগে দায়িত্ব নিয়েছি এবং কাজটি নিজে পরিদর্শন করেছি। আমার কাছে কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি। তবে দুদক যেহেতু তদন্ত করছে, আমি সব ধরনের কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছি।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙন রোধে নেওয়া কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ নিম্নমানের। বাঁধের মাটির স্তর দুর্বল এবং কোথাও কোথাও আগের ভাঙন অংশে পুনর্নির্মাণ হয়নি। কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

দুদকের দল নথি যাচাই ও স্থান পরিদর্শনের পর তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাবে বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার কমিটি পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মফিদুল আলমের বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ পিএম
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার কমিটি পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মফিদুল আলমের বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার কমিটি, মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মফিদুল আলমকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক বিদায় সংবর্ধনা জানান।

দীর্ঘ সময় ধরে ময়মনসিংহ জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নতুন কর্মস্থলে সেবা উন্নয়ন, সুশাসন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তাঁর কর্মনিষ্ঠা,আন্তরিকতা সাংবাদিক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যে সুনাম অর্জন করেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ময়মনসিংহের বিএমইউজে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শিবলী সাদিক খান এর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক মফিদুল আলমকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমগীর কবির উজ্জ্বল খান, জহর লাল দে, সুমন ভট্টাচার্য, গোলাম কিবরিয়া পলাশ, সেলিম সাজ্জাদ, আব্দুল হাকিম, মোর্শেদ কামাল মিজান, এজি জাফর, সোহানুর রহমান সোহান প্রমুখ। ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করা হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম সকল সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন