শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩২ পিএম
খোশ আমদেদ মাহে রমজান

হজরত উবাদাহ বিন ছামেত (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, একদা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের কিছুদিন পূর্বে ইরশাদ করেন-

‘রমজান মাস প্রায় আগত, যা বড়ই বরকতের মাস। আল্লাহ তাআলা এ মাসে তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করেন এবং খাছ রহমত বর্ষণ করেন, গুনাহগুলো মাফ করে দেন, দোয়া কবুল করেন, ইবাদতের প্রতি তোমাদের আগ্রহ ও প্রতিযোগিতা দেখতে থাকেন এবং ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করতে থাকেন। সুতরাং আল্লাহ তাআলাকে সৎকর্ম করে দেখাও। হতভাগা ওই ব্যক্তি, যে এই মাসে আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত থাকে।’

সহিহ হাদিসে এসেছে- রমজানের প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও এবং হে অকল্যাণের প্রার্থী! থেমে যাও।

মাহে রমজানের মাহাত্ম্য

পবিত্র রমজান মাস মুমিনের ঈমান-আমলের তরবিয়তের বিশেষ মাস এবং খায়ের ও বরকতের বসন্তের মাস। এ মাস পাপ মোচনের, ঝগড়া বর্জনের, তাকওয়া অর্জনের, নেকি বাড়ানোর, কুরআনের হক আদায়ের, সর্বোপরি আল্লাহপাকের নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত।

সহিহ হাদীসে এসেছে, ‘রমজান মাসে আসমানের দরজাগুলো (অন্য বর্ণনায় রহমতের দরজাগুলো) খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং খবীস শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’

মাহে রমজানে কুরআন নাজিল হয়

মাহে রমজানের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব ‘আল কুরআনুল কারীম’ এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে। এ মাসে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়টি স্বয়ং কুরআনই আমাদের সামনে ব্যক্ত করেছে।

আয়াতটি হলো-র মজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হিদায়েত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সু-স্পষ্ট পথনির্দেশক, আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।

মাহে রমজানে অপরাপর আসমানী কিতাব নাজিল হয়

সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব আল কুরআনুল কারীমের ন্যায় সব আসমানি কিতাব ও সহীফাগুলোও এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে।

এ মর্মে তাফসিরে মাজহারিতে উল্লেখ আছে যে, রমজানুল মুবারকের পহেলা তারিখে হজরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের উপর সহীফাগুলো নাজিল হয়, যেগুলোর সংখ্যা হলো দশটি। এর সাতশত বৎসর পর ৬ রমজানে হজরত মূসা আলাইহিস সালামের উপর তাওরাত কিতাব নাজিল হয়।

এর পাঁচশত বৎসর পরে হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের উপর ১৩ই রমজানে যাবুর কিতাব নাজিল হয়। অতঃপর যাবুরের অবর্তীণের ১২শত বৎসর পর ১৮ই রমজানে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের উপর ইঞ্জিল কিতাবটি নাজিল হয়।

ইঞ্জিল অবতীর্ণের ছয়শত বৎসর পর ২৪ রমজানে লাওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আসমানে কুরআনুল কারীম নাজিল হয় এবং এই মাসের এই তারিখেই সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১২:২৬ এম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত এই কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়ার কৃতিসন্তান এ্যাডভোকেট জাবেদ রাসিন , ৩৫ বিশিষ্ট সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা মোকাররম আদনান।

গত সোমবার (১৬ জুন) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরে প্রকাশিত এক পত্রে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, আগামী তিন মাস অথবা জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত এই সমন্বয় কমিটি কার্যকর থাকবে ।

নবগঠিত কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক মোকাররম আদনান বলেন, ময়মনসিংহ জেলায় দলের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী , গতিশীল ও সংগঠিত করে তোলা এবং তৃণমূল পর্যায়ে সকল ধর্মের সকল মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে , ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য, জাতীয় স্বার্থ ,অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে

সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও যোগ্য নেতৃত্বের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা একটি শক্তিশালী, সুসংগঠিত দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যে দল মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা বলবে। যে দল মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিবে ।

তিনি আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের বিভাজনমূলক মনোভাব, স্বেচ্ছাচারিতা বা ফ্যাসিস্ট প্রবণতার কোন স্থান নেই। এমন যে কোনো অপচেষ্টা , কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ ।

তিনি আরো বলেন – ময়মনসিংহ জেলা একটি ঐতিহাসিক প্রাচীনতম জেলা হওয়া সত্ত্বেও গত ৫২ বছরে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের ব্যাক্তিরা তামাশা করেছে, তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে ফায়দা লুটে নিয়েছে, হাজারো আশার আলোকে তারা নিভিয়ে দিয়েছে, এই শহরকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে, আমরা অঙ্গীকার করে বলতে চাই এই অঞ্চল এবং শহরকে সব ধরনের দূর্নীতি মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, অনিয়ম ও অপশক্তিকে রুখে দিয়ে আধুনিক শহর নিরাপদ বসবাস এবং বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

ময়মনসিংহে নিশিন্দা বিলের মাছ বিক্রি করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
ময়মনসিংহে নিশিন্দা বিলের মাছ বিক্রি করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় নিশিন্দা বিলের ফিসারী থেকে মাছ বিক্রি করে অর্ধ কোটি আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে ফিসারীতে রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা মো: শরিফুল ইসলাম, পাহাড়াদার মো: আইজুল ইসলাম ও মো: জনি মিয়া গংদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে ধার নেওয়া ছয় লক্ষ টাকা ২০% লাভে পরিশোধ করার পরেও নিশিন্দা বিলের ফিসারীর সত্বাধিকারী মো: কামরুজ্জামানকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ১০০ টাকার তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর ও পূবালী ব্যাংকের দুটি সাক্ষর করা চেকের পাতা রেখেছে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম গংরা।

নিশিন্দা বিলের ফিসারীর মালিক মোঃ কামরুজ্জামান হার্টের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নিজেদের খেয়াল খুশিমত মাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের সুযোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে পিতার পক্ষে তার কন্যা মোছা: নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে সাক্ষর ও চেক পুনরুদ্ধারে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩৮১/২৫।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কামরুজ্জামানের কন্যা মোছা: নুসরাত জাহান জানান, “আমার বাবা মোঃ কামরুজ্জামান হার্টের সমস্যায় দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ফিসারীতে রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা মোঃ শরিফুল ইসলাম মাছ বিক্রি করে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং আমার বাবাকে জিম্মি করে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও স্বাক্ষর করা পূবালী ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা জোরপূর্বক রেখে দিয়েছে। ন্যায় বিচারের আশায় ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং চেক পুনরুদ্ধারে আদালতে মামলা করেছি।”

এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে ফিসারীতে রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা মোহা: শরিফুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ফিসারীর একজন অংশীদার, যখন যে টাকার মাছ বিক্রি করেছি তার হিসাব সাথে সাথে দিয়েছি।

এবিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসরায়েলি হামলা স্বীকার না করলে আলোচনায় অগ্রগতি নয়: জেনেভা থেকে ইরানের ফাতেমেহ মোহাজেরানির হুঁশিয়ারি

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ২:২৭ পিএম
ইসরায়েলি হামলা স্বীকার না করলে আলোচনায় অগ্রগতি নয়: জেনেভা থেকে ইরানের ফাতেমেহ মোহাজেরানির হুঁশিয়ারি

ইসরায়েলের টানা হামলার মধ্যেও কূটনৈতিক দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেনি ইরান। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশ নিতে উপস্থিত ইরানি প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।

আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাজেরানি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিপক্ষের কথা শোনা উচিত। এ কারণেই আমাদের কূটনীতিকরা জেনেভায় এসেছেন, যাতে তারা অন্য পক্ষের বক্তব্য শুনতে পারেন।”

তবে তিনি কূটনৈতিক আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য একটি কঠিন শর্তও উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, বিশ্বকে স্বীকার করতে হবে যে একটি সত্যিকারের আগ্রাসী শাসন আমাদের দেশে হামলা চালিয়েছে—আমাদের সামরিক কমান্ডার, শিশু, নারী, বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করে, গভীর রাতে।”

ইরানি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেন ইরানিদের প্রতি ‘হুমকির ভাষায়’ কথা না বলে। তিনি বলেন, “যদি তারা কোনো ভুল করে, তবে আমরা নিঃসন্দেহে নিজেদের রক্ষা করব এবং আমাদের যা ন্যায্য অধিকার, তা আদায় করে নেব।”

তিনি আরও সতর্ক করে দেন, “আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো ভুল করবে না। তবে যদি উত্তেজনা বাড়ে, আমাদের প্রতিক্রিয়াও হবে ঠিক ততটাই শক্তিশালী এবং সমান মাত্রায়।”

জেনেভায় জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদর দপ্তরে চলমান এই বৈঠকে ইরান ছাড়াও অংশ নিচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। আলোচনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমিত করা, মানবিক সহায়তার পথ খোলা রাখা, এবং একটি সম্ভাব্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের এই শর্ত এবং কূটনৈতিক অংশগ্রহণ বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে। তেহরানের অবস্থান কূটনীতিকে একদিকে খোলা রেখেছে, অন্যদিকে পশ্চিমা মিত্রদের উপর চাপ বাড়িয়েছে।