রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩১ ১৪৩১
রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩১ ১৪৩১

ময়মনসিংহ মহানগরীতে রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবি’র ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে; যা ভোক্তারা কোনো কার্ড ছাড়াই নিতে পারবে

মো: আতিকুল ইসলাম (শাওন)।। প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৬ এম
ময়মনসিংহ মহানগরীতে রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবি’র ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে; যা ভোক্তারা কোনো কার্ড ছাড়াই নিতে পারবে

রমজান মাস উপলক্ষে গত ২৪-০২-২৫ রোজ সোমবার থেকে ময়মনসিংহ মহানগরীর ১০ টি পয়েন্টে প্রতিদিনই টিসিবি’র ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।

টিসিবির স্মার্ট ফ্যমিলি কার্ড/ জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে আনার প্রয়োজন নেই। লাইনে দাঁড়িয়ে যে কেউ পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি পয়েন্টে প্রতিদিন ২০০ জন ভোক্তার নিকট পণ্য বিক্রয় করা হবে।

0-0x0-0-0#

ভোজ্য তেল ২লিঃ ২০০/; মশুরের ডাল ২কেজি ১২০/-; ছোলা ২কেজি ১২০/-; চিনি ১কেজি ৭০/-; খেজুর ৫০০গ্রাম ৭৭.৫/-; মোট ৫৮৭.৫/- প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এই সহজ লভ্য টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে নির্ধারিত ১০ পয়েন্টে গ্রাহকদের প্রচুর ভিড় করছেন। নির্ধারিত ২০০ ভোক্তার বিপরীতে ভিড় করছেন ৬০০ থেকে ৮০০ ভোক্তা। ক্ষেত্র বিশেষে দেখা যায় আরো বেশি ভোক্তা।

টিসিবি’র ডিলারদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, টিসিবি’র নির্ধারিত ২০০ ভোক্তার পণ্য বিক্রয় করতে তারা হিমসিম খাচ্ছেন, সামনে পবিত্র মাহে রমজান তাই ভোক্তা অনেক বেশি, টিসিবি’র ট্রাকসেল পয়েন্টে আগে থেকে প্রচুর ভোক্তা ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন।

0-0x0-0-0#

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতির সময় পবিত্র মাহে রমজান শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে টিসিবি’র ট্রাকসেল কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ২০০ ভোক্তা খুবই কম হয়ে যায় বলে মনে করেন নগরীর সচেতন মহল।

সরানো হলো ডিবি প্রধানকে

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:০৯ পিএম
সরানো হলো ডিবি প্রধানকে

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিবি থেকে তাকে সরিয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (১৩ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রায় এক মাস ফাঁকা ছিল ডিএমপির ডিবিপ্রধানের চেয়ার। এরপর ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রেজাউল করিম মল্লিককে ডিবিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৭তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তা রেজাউল করিম মল্লিক ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

আইসিইউ শয্যা স্বল্পতায় বিঘ্নিত চিকিৎসাসেবা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম
আইসিইউ শয্যা স্বল্পতায় বিঘ্নিত চিকিৎসাসেবা

ময়মনসিংহ বিভাগে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। তাদের চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মমেক)। ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, সুনাম, গাজীপুরসহ আশপাশের মানুষ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। মমেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১২টি শয্যা রয়েছে। বিভাগের আর কোনো সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ নেই। এ নিয়ে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের প্রায় দুই কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা আছে ৩৫টি। এ হিসাবে প্রায় ৬ লাখ মানুষের জন্য আইসিইউ শয্যা মাত্র একটি। ফলে একটি শয্যা পেতে রোগীর স্বজনদের দুর্ভোগের কোনো শেষ থাকে না।

রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটের কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সখিনা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে রাখতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ফাঁকা না থাকায় স্বজনরা বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও আইসিইউ শয্যা না পেয়ে রোগীকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যান।

সখিনা খাতুনের ছেলে সাজেদুল আলম বলেন, ‌‘শহরের কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরেও আইসিইউ জোগাড় করতে পারিনি। একটিও ফাঁকা ছিল না। ময়মনসিংহ মেডিক্যালে আইসিইউ ফাঁকা থাকলে মাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হতো না। এ কারণে বাধ্য হয়ে ঢাকায় নিয়েছি। এটি শুধু আমার মায়ের বেলায় নয়, প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে ঘটছে। এজন্য জেলায় আইসিইউ শয্যা বাড়ানো জরুরি।’

শুধু সখিনার স্বজনদের নয়, হাসপাতালে একটি আইসিইউ শয্যার জন্য বেশির ভাগ রোগীর স্বজনদের প্রায় সময় একই অবস্থা। অবস্থা এমন হয়েছে, সব সময় আইসিইউতে রোগী থাকছে। অন্যদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ডাক্তারদের কিছুই করার থাকে না। কেউ সুস্থ হলে বা মারা গেলেই শুধু আইসিইউ শয্যা খালি হয়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নেই। এমনকি এসব জেলার বেসরকারি হাসপাতালেও আইসিইউ নেই। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ আছে ১২টি। এ ছাড়া নগরীর বেসরকারি প্রান্ত হাসপাতালে দুটি, স্বদেশ হাসপাতালে তিনটি, সায়েম হাসপাতালে তিনটি, নেক্সাস হাসপাতালে দুটি ও সিবিএমসিবি হাসপাতালে রয়েছে ১৩টি আইসিইউ শয্যা। এ নিয়ে বিভাগের চার জেলার ২ কোটি মানুষের জন্য আইসিইউ রয়েছে মাত্র ৩৫টি। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সব হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর দাবি রোগীর স্বজনসহ সচেতন নাগরিক সমাজের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাপরিচালক বলেন, ‘দক্ষ জনবলের অভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে আগামী দিনে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো হবে তিনি জানান।’

সূত্র: ইত্তেফাক

 

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী পুলিশের অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামীসহ গ্রেফতার-১০

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪১ পিএম
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী পুলিশের অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামীসহ গ্রেফতার-১০

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে ইং-১২/০৪/২০২৫ তারিখ গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ১০ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়। একটি প্রেস বিজ্ঞপির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম খান।

এসআই (নিঃ) মোঃ আশিকুর রহমান তুহিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী আহসান হাবিব শ্রাবন (৩০), পিতা-হালিম মিস্ত্রী, মাতা-সরুভী, সাং-আকুয়া দরগাপাড়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

এসআই (নিঃ) মাসুদ জামালী সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া দস্যুতা মামলার আসামী ১। জনি কুমার সরকার (৩৫), পিতা-মৃত প্রবীর কুমার সরকার, মাতা-স্বপ্না রানী সরকার, সাং-আমলাপাড়া, ২৪/বি টিএনআই রোড থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চরপাড়া এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

এসআই (নিঃ) মোঃ সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ধর্ষন মামলার আসামী ১। আনন্দ ঋষি (২৬), পিতা-মৃত আহালু ঋষি, মাতা-শ্রী মতি স্বপ্না রানী, সাং-বরিয়ান ঋষিপাড়া বেগুনবাড়ী, ৯নং খাগডহর ইউপি, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চরপাড়া এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

কোতোয়ালী থানার অভিযান টিম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। আবু বক্কর সিদ্দিক দুলাল(৫৫), (ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাবেক যুবলীগের আহবায়ক এবং জেলা পরিষদের সদস্য) পিতা-আলহাজ্ব আব্দুর জব্বার ভূইয়া, মাতা-মৃত রাবেয়া খাতুন, সাং-ঈশ্বরগঞ্জ, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ, ২। মোঃ ফরিদ আহম্মেদ সবুজ (৩৮), (যুবলীগের সদস্য), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, মাতা-মাজেদা খাতুন, সাং-আকুয়া মোড়লপাড়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদেরকে অত্র থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কর্তৃক থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। মোঃ জয়নাল আবেদীন (৪০), পিতা-মোঃ মোকছেদ আলী শেখ, মাতা-মোছাঃ আজিরন নেছা, স্থায়ী সাং-আলগারচর, থানা-ফুলছড়ি, জেলা-গাইবান্ধা, এ/পি সাং-জিগাবাড়ী, ডাকঘর-এরেন্ডাবাড়ি, থানা-ফুলছড়ি, জেলা-গাইবান্ধাকে কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

ইহাছাড়াও এসআই (নিঃ) কুমোদলাল দাস, এএসআই মনোয়ার হোসেন, ফরহাদ উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৪ টি পরোয়ানা ভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করেন।

পরোয়ানা ভূক্ত আসামীদের নাম ও ঠিকানা-

১। অমিত হাসান (৩২), পিতা-সেলিম উদ্দিন,, স্থায়ী: গ্রাম- সানকি পাড়া (নর্থ) (৬১/গ সানকি পাড়া ) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।

২। মোঃ শাহ আলম (), পিতা-মোঃ আব্দুর রশিদ, স্থায়ী: (আকুয়া মোড়লপাড়া) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

৩। মোঃ শাহাব উদ্দিন (), পিতা-মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, স্থায়ী : গ্রাম- চর ভবানীপুর, উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

৪। মোঃ বাদল সরকার (), পিতা-মৃত: শহর আলী, স্থায়ী: গ্রাম- কৃষ্টপুর (সাং: দৌলত মুন্সী রোড) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

প্রত্যেক আসামীদের চালান মোতাবেক যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে।