লঙ্কার ঝাঁজে পুড়ছে নগরী
ময়মনসিংহে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ
রবিবার (৫ অক্টোবর) ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কাঁচামরিচের দাম ২২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। বাজারে নিত্যপণ্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। সকালে সরেজমিনে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজার ঘুরে এই তথ্য জানা যায়।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহ সিম ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। অথচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল, টমেটো ও মোটা গোল বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে ধুন্দল ৬০, টমেটো ১২০ ও মোটা গোল বেগুন ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চায়না গাজর ১১০, কাঁকরোল ৭০, পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, ঝিঙে ৭০, চিকন বেগুন ১২০, করলা ৬০, ঢেঁড়স ৭০, শসা ৩০, কচুরমুখি ৩০, কাঁচা পেঁপে ২০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি, লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারে মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে শোল ৬১০-৮৯০, ট্যাংরা ৫৫০-৮৭০, টাকি ৪৩০-৫৮০, কাতলা ৩৬০-৪২০, পাঙাশ ২২০-২৫০, রুই ৪৪০-৪৮০, কালবাউশ ৩৪০-৪০০, মৃগেল ২৯০-৩৪০, শিং ৩৫০-৬৪০, কৈ ২৬০-৩৫০, পাবদা ৩৯০-৫১০, সিলভার কার্প ২৩০-২৯০ ও তেলাপিয়া ২২০-৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, কক মুরগি, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ফার্মের মুরগির ডিম, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির ১৬০, কক মুরগি ৩০০, গরুর মাংস ৮০০, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে, ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালিতে, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে এসে আরিফুল ইসলাম বলেন, সবজির দামে উত্তাপ বেড়েছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। বাজারে এসে আমি নিজেও চাহিদার তুলনায় কম সবজি কিনছি।
মাছ কিনছিলেন মফিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণ মাছ রয়েছে। তবুও বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। বাজার মনিটরিং দুর্বল থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছামত দামে বিক্রি করতে পারছেন।
দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা সিদ্দি মিয়া বলেন, ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম। তাই দামও বেড়েছে।
মাছ বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, আড়তে মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। এতে ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হলেও আমাদের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুস ছালাম বলেন, অসাধু বিক্রেতারা ইচ্ছে করেই মনমতো দামে বিক্রি করছেন কিনা খোঁজ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাজারে অভিযান চালানো হবে।












