ময়মনসিংহে ক্লিনিকে র্যাবের অভিযান; ৭ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা, ৮ জনের কারাদণ্ড

ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারণা, প্রশাসন নির্বিকার শিরোনামে “দৈনিক নতুন সময়” পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ঘিরে দুই কিলোমিটার এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে কয়েকশো প্রাইভেট ক্লিনিক-ডায়গনোস্টিক সেন্টার। যাদের বেশিরভাগেরই নেই কোনো অনুমোদন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এসব ক্লিনিক-ডায়গনোস্টিক সেন্টারে বেলা ১১টা থেকে নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় শুরু হয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। যা চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
অভিযানে অনুমোদন ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবে চিকিৎসা দেয়ার কারণে পল্লীকল্যাণ প্রাইভেট হাসপাতালকে ২ লাখ, সাকসেস ল্যাব এন্ড প্রাইভেট লিমিটেডকে ১ লাখ, রুম্পা নার্সিং হোমকে ২ লাখ, সিরাম হাসপাতালকে ১ লাখসহ ৮টি প্রাইভেট হাসপাতালকে মোট ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ক্লিনিক মালিক ও দালালসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিরাম হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী সৈয়দ আসাদুল, সাকসেস ল্যাবের মোঃ আরাফত ইসলাম, মোঃ সোহেল রানা, সানরাইজ হাসপাতালের মোজাহিদ কোরেশী, ফারহানা আফরোজ, আল আকসা ল্যাবের জিয়াউর রহমান, মোঃ ফয়জুল হক ও হাবিবুর রহমান ফকির। তাঁদের কারাদণ্ড ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট)। এসময় র্যাব-১৪’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের সময় বিআরবি প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়- ইসিজি ও ওয়ার্ডে সিজারিয়ান রোগী ভর্তি, অথচ নোংরা পড়ে আছে অপারেশন থিয়েটার। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রোগী রেখেই ফটকে তালা দিয়ে বিকল্প পথে পালিয়ে গেছেন ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
র্যাব-১৪ জানিয়েছে, জনগণের কল্যাণ ও সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।