সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার ২০ লাখ টাকার জালিয়াতি শিক্ষক রাশিদুল গ্রেপ্তার

শিবলী সাদিক খান।। প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার ২০ লাখ টাকার জালিয়াতি শিক্ষক রাশিদুল গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর জাল করে পরীক্ষক নিয়োগ এবং আর্থিক লেনদেন দেখিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রশিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মো. ইদ্রিস খান। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষক রসিদুল ইসলম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রশিদুল ইসলাম খান (৪৩) নীলফামারী জেলার রামগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। এ সুযোগে তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে আর্থিক সুবিধা আদায়ের নেপথ্যে জড়িয়ে পড়েন।

অধ্যক্ষ জানান, কিছুদিন আগে আরবি প্রভাষক মো. আব্দুর রউফ মৌখিক অভিযোগ করেন যে, তার স্বাক্ষর জাল করে রশিদুল ইসলাম নিজেই তাকে চলতি পরীক্ষার জন্য অবৈধভাবে পরীক্ষক নিয়োগ দেখান। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রেরিত গোপন নথিপত্র যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, মো. আব্দুর রউফ, মো. মোফাজ্জল হোসেন, শামসুল আলম, আব্দুল হাফিজ ও হারুনুর রশিদের নামসহ ১০/১২জনের নাম ব্যবহার করে, তাদের অজান্তে স্বাক্ষর জাল করে রশিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় অনৈতিক আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেন। এসব লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অধ্যক্ষের দাবি, দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে রশিদুল ইসলাম এমন প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অধ্যক্ষের ভাষ্যমতে, ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে লিখিত প্রমাণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষকরা সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং ৪৮(৭)২০২৫ ধারা -৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। মামলাটি এস আই মাসুদ জামালী তদন্ত করছেন। ঘটনায় জড়িত রসিদুল ইসলম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাসময়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:২৫ এম
পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ৪নং পরানগঞ্জ বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আব্দুর রহিম জালাও-পোড়াও দমন, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর নিরলস দায়িত্বশীলতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক আচরণে তিনি ইতিমধ্যেই জনপ্রশংসিত হয়ে উঠেছেন।

সরেজমিনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন মহল জানান, এসআই আ: রহিম একজন দায়িত্বশীল, চৌকস ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা। অপরাধ দমনের পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছেন।

জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশনা এবং কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এসআই আ: রহিম পরানগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতা দমনে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অভিযানে তিনি সাফল্য দেখিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, সাধারণ নালিশ, জমি-জমা বিরোধ থেকে শুরু করে সামাজিক সংকট- এসব ক্ষেত্রেও তিনি কোনো সংঘাত ছাড়াই সমাধান এনে দিয়েছেন। এ কারণে এলাকাবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি।

এসআই আ: রহিম বলেন, “পরানগঞ্জের মানুষ সহযোগিতা করায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে। চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে কাজ করছি। কিশোর গ্যাং দমনে আমাদের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপদ সমাজ গড়তে সবাইকে সঙ্গে চাই।”

তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও ও রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। তাঁর ও সহকারী অফিসার সপন আকন্দের তৎপরতায় এখন পরানগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহল জানান, “এসআই আব্দুল রহিমের প্রচেষ্টায় পরানগঞ্জ এখন সন্ত্রাসমুক্ত ও নিরাপদ। তাঁর কাজ মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে।”

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার খিলগাতী গ্রামের এক দরিদ্র রিক্সাচালকের একমাত্র পুত্র (৭)সালমান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ওয়ার্ড নং:২১০,সিট নং:১২) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। শিশুটির জীবন বাঁচাতে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপা সুলতানা মিলি।

অভাব-অনটনের মধ্যেও রিপা সুলতানা নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু ব্যয় করছেন সালমানের চিকিৎসায়।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি সালমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

সালমানের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তার বৃদ্ধা দাদি ও রিক্সাচালক পিতা। তাদের খাদ্য, ওষুধ, থাকা খাওয়াসহ সব ব্যয়ের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই ত্যাগী শিক্ষিকা।

রিপা সুলতানা মিলি বলেন, “সালমান আমার ছাত্র, আমার সন্তানের মতো। ওর ছোট্ট জীবনের হাসিটা আমি নিভে যেতে দিতে পারি না। আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিচ্ছি, কিন্তু এখন মানুষের সাহায্য ছাড়া ওর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”

চিকিৎসকদের মতে, সালমানকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দিতে হবে। এর ব্যয় মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত গড়ে ওঠে, যা তার দরিদ্র পরিবার কোনোভাবেই বহন করতে পারছে না।

একটি ছোট্ট প্রাণকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে এখন প্রয়োজন সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা।

রিপা সুলতানা আরও বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য এই বিশ্বাস থেকেই আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। হয়তো আপনাদের অল্প কিছু সহায়তাই সালমানের জীবনে আলো ফিরিয়ে আনতে পারে।”

যারা সালমানের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা রিপা সুলতানা মিলি অথবা সালমানের বাবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন।

যোগাযোগ: রিপা সুলতানা মিলি, সহকারী শিক্ষক, খিলগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।

বিকাশ (পার্সোনাল) নম্বর:

01775859037-01771473061

ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবিবার রাত থেকে। ৬নং ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদল এবং রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিমুল তরফদারের ব্যানারে রাত প্রায় ১০টার দিকে একটি রাজনৈতিক মিছিলের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছন দিক তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ককটেল এবং ২টি পেট্রোল বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযানটি পরিচালনা করে।

ওসি রুকনুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “যে কোন ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।