ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ৩২ নং চরকালীবাড়ি এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রায়হান ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মোছা. সুমা আক্তার গতকাল (১১ জুন) রাতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রী শহিদ জিয়া হাই স্কুল থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পাশাপাশি সে অভিযুক্ত ডিসিপ্লেইন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপ্রাল রায়হান ইসলামের ছেলেকে প্রাইভেট পড়াত। অভিযোগে বলা হয়, রায়হান ইসলাম পূর্বে থেকেই ছাত্রীটিকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, কিন্তু ছাত্রীটি সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করতেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ১০ জুন দুপুরে রায়হান ইসলামের ফোন পেয়ে ছাত্রীটি তার ছেলেকে পড়াতে চরকালীবাড়ি এলাকার ডিসিপ্লেইন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রিন্সিপাল রায়হানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং পরে পুলিশে খবর দিলে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, “এজাহারের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে যার মামলা নং-৩৩/২৫। অভিযুক্ত বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

প্রশ্ন থেকে যায় সমাজে এধরণের শিক্ষকদের অপরাধের দায়ভার কে নিবে কলেজ কতৃপক্ষ নাকি শিক্ষাব্যবস্থা?

আজ বুধবার ( ১১ জুন ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন টোল প্লাজায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। শেরপুর থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করা জুনায়েদ এক্সপ্রেস বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজায় উল্টে যায় ফলে ঘটনাস্থলেই ১ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় অন্তত ৯ জন। আহতদের মাঝে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টোল প্লাজার ভাঙ্গা অবশিষ্ট অবকাঠামো মেইন রাস্তার উপর থাকায় বাসটি হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তায় উপরেই উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। আহত হয়েছেন অন্তত ০৯ জন যাত্রী, তারা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুতগতিতে চলার সময় চালক স্টিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারায়, ফলে বাসটি ঘটনাস্থলেই উল্টে যায়। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।

ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন। দুর্ঘটনার ফলে কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।

তবে প্রকৃত ঘটনার উদ্ঘটনের জন্য তদন্ত চলছে বলে জানায় কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ চর গোবদিয়া এলাকায় বিষ প্রয়োগে একটি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চর নিলক্ষীয়া খানপাড়ার বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম (৫৫)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে আব্দুস সালাম তার চাষের জমিতে থাকা একটি ফ্রিজিয়ান জাতের বকনা গাভী গরু যথারীতি বেঁধে রেখে আসেন। পরে সকাল ৯টার দিকে জমিতে গিয়ে তিনি দেখতে পান গরুর বাধন খোলা এবং গরুটি মৃত অবস্থায় বিবাদীদের জমিতে পড়ে আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গরুটিকে পাকা কাঁঠালের কোষের সাথে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে।

অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় একই এলাকার মোঃ আহম্মদ আলী (৫৯), তার ছেলে সোহেল (৩৫), এবং আব্দুস সামাদ (৫৫) নামীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, বিবাদীরা তার গরুটি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এবং ভবিষ্যতে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।

অভিযোগকারী আব্দুস সালাম বলেন, “আমি এই ঘটনায় হতবাক। গরুটিকে বিষ দিয়ে হত্যা করা খুবই নিষ্ঠুর কাজ। আমি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। গরুটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা, যা আমার পরিবারের জন্য একটি বড় ক্ষতির কারণ।”

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এ বিষয়ে তার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীও রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই আল-আমিন জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করেছি এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।