সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ময়মনসিংহে বিএনপি নেতা কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তালা, মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনার অভিযোগ

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৭:০৩ পিএম
ময়মনসিংহে বিএনপি নেতা কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তালা, মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনার অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম হারুন-অর রশিদ এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল কবীর রেনু, নূরুল হক ও শামস উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাগরিবের নামাজ শেষে মুক্তিযোদ্ধাগণ এশার নামাজের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।

এসময় মৃত আব্দুল খালেক ওরফে কালু মিয়ার পুত্র বিএনপি নেতা ও পৌর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি একেএম হারুন-অর রশিদ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

এসময় মুক্তিযোদ্ধাগণ এশা’র নামাজ পড়ে যাওয়ার কথা বললে বিএনপি নেতা হারুন বলেন, “কিসের নামাজ? এটা কি তোদের বাপ-দাদার সম্পত্তি? এখনি বের না হলে চর-থাপ্পর দিয়ে বের করে দেব।” এমনকি তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, “আর কোনো দিন যেন এই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় অফিসে তোদের সহ কোন মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে না পাই।”

ঘটনার সময় বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের কেয়ারটেকার শিমুল আহমেদ কাছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের চাবি দিতে বলেন। চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের চাবি ছিনিয়ে নেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ কার্যালয় ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। পরে কার্যালয়ের তালা ঝুলিয়ে দেন অভিযুক্ত ঐ বিএনপি নেতা।

এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরদিন ২২মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি একেএম হারুন-অর রশিদকে তলব করেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় (পুরাতন তিন তলা ভবন) এ তালাবদ্ধ করা ও তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অশ্লীল গালিগালাজ সহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে মৌখিক শুনানী করেন।

শুনানীতে এ.একে.এম হারুন অর রশিদ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের জমিটি তাদের পূর্বপুরুষের দাবি করেন।

পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অনাধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দেন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চাবি প্রশাসক হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জমা রাখেন।

এবিষয়ে বিএনপি নেতা এ.একে.এম হারুন অর রশিদ এর বক্তব্য নিতে তার ব্যক্তিগত ০১৭১২★★★★৪৫ এবং ০১৮৪৯★★★★৭০ দুটি ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উক্ত ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল কবির রেনু বলেন, আমাদের এটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান,বাজার কমিটির সভাপতি একেএম হারুনর রশীদ আমাদের দুই সদস্য কে মারধর করে অফিসে তালা লাগায়। পরে আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

উক্ত ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হলুদ বলেন, ৫ আগষ্টের পর থেকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তালা দিয়েছে বিএনপির কিছু লোকজন। এখন পর্যন্ত তারা চাবিও দেয়নি এবং তালাও খুলে দেয়নি।আমরা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অভিযোগ দিয়েছি।

উক্ত ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাজার কমিটির সভাপতি হারুনর রশীদ আমাদের জোরপূর্বক অফিস থেকে বের করে দেয় এবং পিয়নকে মারধর করে অফিসের চাবি কেড়ে নিয়েছে। পরে আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সানজিদা রহমান বলেন ওখানে দুইটা সমস্যা তার একটি অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই সমাধান করেছি। যারা চাবি নিয়েছিল তাদের থেকে আমি চাবি নেওয়ার এবং মামলা চলাকালীন সময় তারা আর আসবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে মুক্তিযোদ্ধারাই নিষেধ করেন।

মুচলেকা নেওয়ার পরও তারা এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, আমি এটা জানিনা, তবে সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাগন জানালে ব্যবস্থা নিবো। মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানের পাত্র তাই তারা একটা অভিযোগ দিলে অবশ্যই আমলে নিবো বলেও জানান।

হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল (HATI)–এর ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা আয়েশ রেস্টুরেন্টে এক সুশৃঙ্খল, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ সাইদ এবং উদ্বোধন করেন ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবজাল হোসাইন মৃধা, ময়মনসিংহ চরপাড়া মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহমান বাবুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের অসংখ্য মানবাধিকার কর্মী, সামাজিক সংগঠক ও অতিথিরা এসময় বক্তব্য রাখেন ।

ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোঃ অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুর রহমান পাবেল।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল এর ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল ময়মনসিংহ জেলায় মানবাধিকার কার্যক্রমে নতুন গতি ও প্রাণ ফিরে পাবে—এমনই প্রত্যাশা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের ।

সবশেষে সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়: লোকসানের কারণ এমডির দুর্নীতি ও অদক্ষতা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়: লোকসানের কারণ এমডির দুর্নীতি ও অদক্ষতা

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ব্যাংক সেক্টরের নেতা মজিবর রহমান জনতা ব্যাংকের এমডি পদে বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। সাবেক অর্থ মন্ত্রী ও হাসিনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের বিশ্বস্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে

ঘুষ দুর্নীতি বদলী বানিজ্যে করে অর্থ বিত্ত সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

গত অর্থবছরে জনতা ব্যাংক লস করেছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। যা ছিল জনতা ব্যাংকের ইতিহাসে ভয়াবহ বিপর্যয়। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের ২০২৪ সালের লোকসানের পরিমাণ ৩০৬৬ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে, এই লসের পরিমাণ আগামীতে চার হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকতে পারে।

‎এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ এমডি মজিবুর রহমানের অদক্ষতা এবং লাগামহীন দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্য। ঘুষের আশায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সহায়তা প্রাপ্ত গ্রাহকদের পনু : তফশিল দিতে গড়িমসি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ও ব্যাংক সেক্টরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে এই জনতা ব্যাংকের প্রধান বাধা এমডি মজিবর রহমান। জিরো টলারেন্স দুর্নীতির চরম শিখরে অবস্থান করছে। আওয়ামী দলবাজ এমডি’র দুর্নীতি ও দলবাজি’র কবলে পড়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোন মূল্যায়ন না করে অদক্ষ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের

মাঠ পর্যায়ের শাখা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সহ কর্মচারীদের পোস্টিং দেওয়ার কারণে ব্যাংক লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছেনা এমনটি জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তা।

এদিকে, উচ্চ সুদে আমানত এনে, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে এবং ভুল তথ্য দিয়ে নিজের ব্যক্তি ইমেজ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন মজিবুর রহমান। জনতা ব্যাংকের পয়সায় এই আমানত আনার শিশুসুলভ বিজ্ঞাপনে দেশের সবগুলো দৈনিকের পাতা এখন মজিবুরের ছবিতে ভর্তি।

ব্যাংক পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে, নানা সূত্রে ৪৭ কোটি টাকা ঘুষের কন্টাক্টে মজিবুর জনতা ব্যাংকের এমডি পদ হাসিল করেছেন। এই টাকা লাভসহ তোলার জন্য মুখিয়ে আছেন মজিবুর। ফলে সব রকম খাত থেকেই তিনি লাভ তুলতে মরিয়া। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার ওরিয়ান ফার্মার একটি প্রজেক্টের ফায়ার ইনসিওরেন্স তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন ইনসুরেন্সকে দিতে বাধ্য করেন মজিবুর। জানা গেছ, মজিবুর একাই এখান থেকে কমিশন নিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। বাকি কমিশন ৪৮ মতিঝিল শাখার দুর্নীতিগ্রস্ত ডিজিএম সোবাহান এবং এমডির আত্মীয় ভাগ করে নেন। যা সবসময়ই অপ্রদর্শিত আয় হিসেবে তাদের কুক্ষিগত হয়। জানা গেছে- অরিয়ন অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমডির হুমকিতে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেভিটের চিঠি দিতে বাধ্য হয়।

‎এমন হাজার অনিয়ম দুর্নীতির কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংকের লাভজনক স্বাভাবিক কার্যক্রম। দক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যখন তখন যেখানে সেখানে বদলি করার ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে জনতা ব্যাংকের অগ্রগতি। হয়রানিমূলক বদলির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘুস দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। জানা গেছে, এই বদলি বাণিজ্য দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন যে কর্মকর্তা, তিনি আবার এমডি মজিবুরের ভায়রাভাই।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে উচ্চপদস্থ এক ব্যাংকার বলেন যে, জনতা ব্যাংক বর্তমানে খেলাপি ঋণে জর্জরিত। এখন দরকার পুনঃ :তফশিল এবং সুদ মওকুফের মাধ্যমে অতিদ্রুত উল্লেখযোগ্য অঙ্কের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, নতুন সিকিউরড ঋণ সৃষ্টি। বর্তমান এমডি খেলাপি ঋণ কমানোর কোনো চেষ্টাই করছেন না। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতি সহায়তা প্রাপ্ত গ্রাহকদের পনু :তফশিল দিতে গড়িমসি করছেন। ফলে ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত ঋণের হার কেবল বাড়ছে। এদিকে উচ্চ সুদে আমানত এনে, মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের ব্যক্তি ইমেজ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন মজিবুর রহমান।

‎জনতা ব্যাংক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি ব্যাংক। দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অবদান এই ব্যাংকটির। এমন প্রেক্ষিতে এই ব্যাংকের বিপর্যয় জাতীয় অর্থনীতিতে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

তিনি ১৯৬৯ সালে ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলাধীন হাসাদিয়া গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে বিএসসি অনার্স ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স এবং এগ্রিকালচারাল প্রডাকশন ইকোনমিক্সে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

ময়মনসিংহে বড় মসজিদের ছাত্র মুয়াজকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৫১ এম
ময়মনসিংহে বড় মসজিদের ছাত্র মুয়াজকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত

ময়মনসিংহ বড় মসজিদের ছাত্র আজিজুল হক মুয়াজকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মমেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

মুয়াজের পরিবার জানায়, হামলার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তাকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

স্বজনদের দাবি, এই নৃশংস হামলার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনাটির পর স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

হামলার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে হামলার কারণ এখনো পরিষ্কার নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।