ময়মনসিংহে রাস্তা পূর্ণ নির্মানের প্রায় ১৮ লাখ টাকাই আত্মসাতের চেষ্টা!

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দেওখালা ইউনিয়নের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকার রাস্তা পূর্ণ নির্মান বরাদ্ধের প্রায় ১৮ লাখ টাকাই আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এতে অর্ধেক বিল উত্তোলন করেছেন বলে জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহকারী আব্দুল করিম। বাকী বিল উত্তোলনের তদবির চলছে।
৫নং দেওখোলা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন নিশি গ্রামীণ অবকাঠামো (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় কুকরাইল বটতলা হতে জামে মসজিদ ভায়া সুরুজের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুননির্মাণ ৩ লাখ ২ হাজার টাকার কাজে ১৬০ ফুট করে প্রতি ট্রাক ১৮শত টাকা করে ১৭ ট্রাক মাটি দিয়ে কাজ শেষ করেন তাতে খরচ হয় ৩০ হাজার ৬শত টাকা আত্মসাৎ করেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৪শত টাকা।
দেওখোলা কালাম মাহজনের বাড়ি হতে শুভরিয়া পাকা পর্যন্ত রাস্তা পুননির্মাণ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার কাজে ১৬০ ফুট করে প্রতি ট্রাক ১৬ শত টাকা করে ১৮ ট্রাক মাটি দিয়ে কাজ শেষ করেন তাতে খরচ হয় ২৮ হাজার ৮শত টাকা আত্মসাৎ করেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২শত টাকা।
শুভরিয়া পাকা রাস্তা হতে হরমত খলিফার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুননির্মাণ ৩ লাখ টাকার কাজে ১৬০ ফুট করে প্রতিট্রাকে ২ হাজার টাকা করে ১৩ ট্রাক মাটি দিয়ে কাজ শেষ করেন তাতে খরচ হয় ২৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
রাস্তা মেরামত বাবদ ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকার কাজে ব্যয় করেছেন মাত্র ২ লাখ টাকা বাকি ১৮ লাখ ২৭ হাজার টাকাই আতৎসাত করবেন বলে পায়তারা করছেন।
বিষয়টি নিয়ে মাটি ভরাট কারি আয়েসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি ট্রাক দিয়ে ৩ টি রাস্তার কাজ করেছি তার হিসাব আমি দিয়েছি। বাকি গুলো লেবার দিয়ে ছেপলেপ দিয়েছে। তাতে কত খরচ করেছে আমি তা জানিনা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন নিশিকে ফোন করলে তিনি পরিষদে গিয়ে দেখা করতে বলেন।