বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

ইয়াবা কেলেঙ্কারি

ওসি জাহাঙ্গীরসহ ৭ পুলিশ সদস্য ক্লোজড; সুকৌশলে ২ কর্মকর্তা বাদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৬ পিএম
ওসি জাহাঙ্গীরসহ ৭ পুলিশ সদস্য ক্লোজড; সুকৌশলে ২ কর্মকর্তা বাদ

ইয়াবা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) রহমত উল্লাহর পর এবার জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাত পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্লোজ হওয়া অন্য সদস্যরা হলেন: এসআই সমীন গুহ, কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রানা, কনস্টেবল সাইফুল হাসান, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম খান, কনস্টেবল মোহাম্মদ ইরফান এবং কনস্টেবল (ড্রাইভার) রিয়াজ উদ্দিন।

জসিম উদ্দিন জানান, ইয়াবা কাণ্ডের ঘটনায় তাদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে সবার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

এর আগে একই ঘটনায় পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়।

এই বিষয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, “দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। যুগান্তর পত্রিকার দুটি অনুসন্ধানী সংবাদে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। তাদের অনুসন্ধানী সংবাদের সত্যতা থাকায় ইতোমধ্যে দুই এসপিকে ক্লোজ করেছি।”

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ‘মিলেমিশে সাড়ে ৩ লাখ পিস বিক্রি: এসপির ইয়াবা কারবার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো জব্দ করা হয়।

ওই অভিযানে ডিবির ওসি জাহাঙ্গীর আলম ও এসআই সমীর গুহের নেতৃত্বে একটি দল ৪ জনকে আটক করেছিল; কিন্তু ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে তিন ইয়াবা কারবারিকে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেওয়া হয়।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ওই দিন ডিবির অভিযানে মোট ৩৫ কাট (৩ লাখ ৫০ হাজার পিস) ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশ আত্মসাৎ করে ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা; যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

অভিযানে সহযোগী হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চাকরিচ্যুত দুই কনস্টেবলকে দেওয়া হয় ১৩ কাট (১ লাখ ৩০ হাজার পিস) ইয়াবা।

এসপির অনুমতি পাওয়ার পর ডিবি তড়িঘড়ি করে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ৯৫ টাকা পিস দরে মোট ২ কোটি ৯ লাখ টাকায় বিক্রি করে। চাঞ্চল্যকর এ অপরাধ আড়াল করতে চকরিয়া থানার ডুলাহাজারায় মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ দেখানো হয়। ইয়াবা বহনকারী গাড়ির চালক ইসমাইলকে গ্রেফতার দেখিয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে বাদী করা হয় এসআই সমীর গুহকে।

জব্দ করা গাড়ি থানায় না রেখে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা প্রকাশের পর পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয় এবং একের পর এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্লোজ করা হয়।

রামু থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যোগসাজশের অভিযোগ:

কক্সবাজার: ইয়াবা কেলেঙ্কারিতে রামু থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি রামু থানায় ঘটলেও, ইয়াবা কাণ্ডে কোনো কর্মকর্তার নাম না আসায় অনেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অনেকের দাবি, কক্সবাজারে ইয়াবা কাণ্ডের বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস জানলেও তিনি বিষয়টি গোপন রাখতে বিভিন্ন অপকৌশলের চেষ্টা চালান। এমনকি উক্ত ইয়াবা কাণ্ডের বিষয়টি সদ্য বদলি হওয়া এক কর্মকর্তার কানে আসলে, কয়েকদিনের মধ্যেই কোনো কারণ ছাড়াই তাকে কক্সবাজার থেকে অন্যত্র বদলি করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

এই ঘটনায় রামু থানার কর্মকর্তাদের নীরবতা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাসের কথিত যোগসাজশের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহলে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। স্থানীয়রা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং জড়িত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

পূজা ও বরণ মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা

সুমন ভট্টাচার্য।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
পূজা ও বরণ মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা

পূজা ও বরণনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শুভ বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। এর মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্দিরে চলছে দেবী বিদায়ের প্রস্তুতি। দশমীর এই দিনে ভক্তদের মনে বিষাদের ছায়া—প্রিয় দেবীর বিদায়ের মুহূর্তে তাদের একটাই প্রার্থনা, আগামী বছর যেন মা আরও সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন।

ভক্তরা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এবছর কোনো শঙ্কা ছিল না। সরকারের কঠোর তদারকির ফলে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পেরে তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

শাস্ত্রমতে, এবছর দেবী গজে আগমন করে ছিলেন পালকিতে চড়ে মর্ত্যলোক থেকে কৈলাশে ফিরে যাবেন। এর আগে মহাসপ্তমীর দিনে তিনি গজে চড়ে আগমন করেছিলেন।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত জগজ্জননী উমা দেবী পিতৃগৃহে আগমন করেন। পাঁচ দিনের এই শারদীয় উৎসব আজ বিজয়া দশমীতে শেষ হচ্ছে।

দশমী তিথি থাকবে দিবা ৩টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। গতে দিবা ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজা সমাপনান্তে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মন্দির প্রাঙ্গণে অপরাজিতা পূজা, শান্তি ও আশীর্বাদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

ভক্তদের চোখে আজ আনন্দ ও বেদনার মিশ্র অনুভূতি। কারণ, দেবী দুর্গা যেমন মহাশক্তি—তেমনি বাঙালি ঘরের কন্যা। পিতৃগৃহে কন্যার আগমনের আনন্দ আর বিদায়ের বেদনা—এই দ্বৈত আবেগই যেন মূর্ত হয়ে ওঠে বিজয়া দশমীর বিদায়ের ক্ষণে।

ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কম্বল জব্দ; গ্রেফতার-১

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৯ পিএম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কম্বল জব্দ; গ্রেফতার-১

বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ৩ নং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বদরের মোড়ে এস আর পার্সেল লিমিটেডের অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ কম্বল জব্দ করেছে।

জানা যায়, ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল হোসেনের দিকনির্দেশনায় এস আই সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি টিম ময়মনসিংহ নগরীর বদরের মোড়ে এস আর পার্সেল লিমিটেড অফিসে অভিযান চালায়। এসময় ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা ১০৮ পিস কম্বল জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম শান্ত নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ধরনের অবৈধ আমদানি ও পাচার রোধে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩০ এম
খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ। এ ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার কাছে জমা হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সবকটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা করেছি। কিন্তু ধর্ষণের আলামত পাইনি।’

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ জয়া বলেন, আমাদের দলে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।

জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ড প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ওই ছাত্রীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে, সেই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যা একটা অভিযোগ তুলে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এখন তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।