সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ০৬ জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ০৬ জন

গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ০৬ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।

এসআই (নিঃ) খলিলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। মোঃ আলাউদ্দিন ওরফে আলা (৬৪), পিতামৃত-মহর আলী, মাতামৃত-কিতাব জান, সাং-উজান ঘাগড়া কসাইবাড়ী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন আকুয়া এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন এবং তাহার নিকট হইত ৫০০ গ্রাম উদ্ধার করেন।

এসআই (নিঃ) মোজাম্মেল হক সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ আরিফুজ্জামান রানা (৪৫), সাবেক সাংস্কৃতিকলীগের সভাপতি, পিতা-মৃত সাদিক আলী, মাতা-রানী বেগম, সাং-২৬/ব্রাহ্মপল্লী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন গাঙ্গীনারপাড় এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

ইহাছাড়ও এসআই (নিঃ) আব্দুল হক, এএসআই (নিঃ) রাসেল ইয়ার খান, কামরুল হাসান, নাজমুল হক থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৪টি পরোয়ানা গ্রেফতার করেন।

পরোয়ানাভূক্ত আসামীর নাম ও ঠিকানা-

১। মোঃ আবু সাঈদ (৩১), পিতা-দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী : গ্রাম- মাসকান্দা গনশার মোড়। , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা –ময়মনসিংহ

২। নীলুফা , পিতা-স্বামী: সাজু, স্থায়ী : (সাং: আকুয়া চৌরাঙ্গী মোড়) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ

৩। মোঃ সোহেল মিয়া, পিতা-মৃত: সিরাজুল ইসলাম, স্থায়ী : গ্রাম- চর কালীবাড়ী, উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা–ময়মনসিংহ

৪। খোকন আচার্য্য, পিতা-বিজয় আচার্য্য, স্থায়ী: গ্রাম- বড় বাজার , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ,

প্রত্যেক আসামীদের চালান মোতাবেক যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামিসহ গ্রেফতার-১৩

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামিসহ গ্রেফতার-১৩

গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ১৩ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।

 

এসআই (নিঃ) রিপন চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ শুক্কুর (৩০), পিতা মৃত-নিজাম উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ রহিমা খাতুন, সাং-কৃষ্টপুর প্রাইমারী স্কুল, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ কে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন কৃষ্টপুর এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন ।

 

এসআই (নিঃ) মোজাম্মেল হক সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। তোফায়েল হোসেন রাব্বি (২৯), ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য, পিতা-মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, মাতা-রেবেকা সুলতানা, সাং-কেরাদিঘী, থানা-কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোণা, এ/পি সাং-নতুন সায়েম ডায়াগোনস্টিক সেন্টারের পিছনে, পেয়ারা বেগমের বাসা, চরপাড়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চরপাড়া এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

 

এসআই (নিঃ) মোঃ জসীম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। মোঃ সুমন মিয়া (৩৫), পিতা-মহির উদ্দিন, সাং-মুন্সীপুর, থানা-দামুড় হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা, এপি/সাং-শম্ভুগঞ্জ (রেলস্টেশনের সাথে জনৈক আলম চৌধুরীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ, ২। মোঃ তরিকুল ইসলাম (২৫), পিতা-আব্দুল মান্নান ওরফে মফিজ উদ্দিন, ৩। মোঃ সুলতান (২২), পিতা-জসিম উদ্দিন, ৪। দিগন্ত (২৪), পিতা-শামসুল হক, সর্ব সাং-নলুয়া পাড়া, ৩৩নং ওয়ার্ড, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদেরকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন শম্ভুগঞ্জ এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

 

এসআই (নিঃ) মোঃ খলিলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১. মোঃ মোহন মিয়া (৩২), পিতা-মৃত রোস্তম আলী, মাতা-আনোয়ারা বেগম , ঠিকানা: স্থায়ী: (নওমহল সরকার বাড়ী (ইমরানের বাসার ভাড়াটিয়া)) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ: ২. রিফাত মিয়া (২৫), পিতা-মামুন মিয়া, মাতা-জেসমিন আক্তার , ঠিকানা: স্থায়ী: (আকুয়া হাজীবাড়ী (লাল মিয়ার বাড়ী)) , ৩। মোঃ রোমান (৩৮), আওয়ামীলীগের সমর্থক, পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ হুসনা বেগম, সাং-কেওয়াটখালী সেলিমের মোড়, ওয়ার্ড নং-২০, সর্ব উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহদেরকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন আকুয়া মোড়লবাড়ী এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

 

ইহাছাড়ও এএসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাকিবুল আলম, এএসআই শেখ হাবিবুর রহমান, এএসআই আহসান হাবিব ফকির থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৪টি পরোয়ানা গ্রেফতার করেন।

পরোয়ানাভূক্ত আসামীর নাম ও ঠিকানা-

১। জয়নাল আবেদীন , পিতা-মৃত: আবুল হোসেন, স্থায়ী : গ্রাম- চর হাসাদিয়া , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

২। শফুল মিয়া , পিতা-মৃত: আব্দুল কুদ্দুছ, স্থায়ী : গ্রাম- চর হাসাদিয়া , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

৩। মোঃ আবু রায়হান , পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম, স্থায়ী : গ্রাম- মাসকান্দা (গণসার মোড় (মাসকান্দা) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

৪। মোঃ নূর আমিন , পিতা-মোঃ মালেক মিয়া, স্থায়ী: গ্রাম- সুহিলা (চরপাড়া) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ,

প্রত্যেক আসামীদের চালান মোতাবেক যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে।

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার পাঁয়তারা করছে; সংস্কার চায় আন্দোলনকারীরা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:২০ পিএম
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার পাঁয়তারা করছে; সংস্কার চায় আন্দোলনকারীরা

আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকাণ্ড বহাল রেখে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের কতিপয় ফ্যাসিস্ট সাংবাদিকরা। গত ১৭টি বছর স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী-এমপি-মেয়র ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের তোষামোদি করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তবে তারাই ৫ই আগস্টে পর হঠাৎ ভোল পাল্টিয়ে ফেললেন। আওয়ামী লীগ থেকে হয়ে গেলেন বিএনপি-জামায়াত।

 

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে অনির্বাচিত কর্মকর্তা অবৈধভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করা প্রেসক্লাব কর্মকর্তারা হচ্ছেন- সহ সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম ও নওয়াব আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান, ক্রীড়া সম্পাদক আবু সালেহ মো. মুসা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক শরীফুজ্জামান টিটু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এএসএম হোসাইন শাহিদ, নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক আদিলুজ্জামান আদিল, নির্বাহী সদস্য পদে অমিত রায়, ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ কামাল, মীর গোলাম মোস্তফা, ড. মোহাম্মদ নূরুল্লাহ, নিয়ামুল কবীর সজল, মোশাররফ হোসেন ও আব্দুল মতিন। পদাধিকারবলে এই কমিটির সভাপতি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

 

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, তার সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মল কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান, মহানগর জাপা(রওশন) মহানগর সাধারণ ও কথিত মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বাকৃবিতে সাবেক কর্মকর্তা নওয়াব আলী, ন্যাপ নেতা ও প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের বড় ভাই মোঃ জিয়া, বর্তমান সেক্রেটারি ফ্যাসিস্ট নেতা অমিত রায়সহ অনেকেই। অপরদিকে নবাগত দায়িত্ব গ্রহণকারী গফরগাঁওয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম কখনো সাইফুল মাহমুদ নির্বাচন ও ভোট ছাড়াই কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। একপক্ষের বর্জন ও অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় অনির্বাচিত কমিটির কাছে এই দায়িত্বভার হস্তান্তর করে জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফ্যাসিস্ট সাবেক আওয়ামী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে।

 

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার আন্দোলনকারীরা ২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসূচিতে মূখ্য সংগঠক, সাংবাদিক নেতা শিবলী সাদিক খান দাবী করে বলেন অপেশাদার সাংবাদিক সদস্যদের বাতিল করে “প্রেসক্লাব ফর প্রেসম্যান” গঠনের প্রয়োজনে সকল পেশাদার সাংবাদিক সদস্যদের নামের তালিকা প্রণয়ন, এডহক কমিটি গঠন, সম্মিলিত সাধারণ সভায় খসড়া প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র, সংযোজন বিয়োজন, পরিমার্জন করে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ, ভোটার তালিকা করে নির্বাচন। এসকল দাবিতে সাংবাদিকরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনে সাংবাদিকদের তালিকা এবং প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র দাখিল করেছেন। জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুনরায় সমঝোতা বৈঠক আহ্বান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।

 

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও একই প্যানেলভুক্ত নেতৃবৃন্দ নির্বাচন ছাড়া বিনা ভোটে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের দায়িত্বভার নিয়েছেন। দায়িত্বভার গ্রহণকালে অপর প্যানেলের সদস্যরা যোগ দেননি। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব নির্বাচনে সিডিউল অনুযায়ী গত ১৫ ডিসেম্বর মনোনয়ন দাখিল, ১৮ ডিসেম্বর বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ ও ২৭ ডিসেম্বর নির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু মনোনয়ন জমাদানের দিন একপক্ষকে বাধাবিঘ্ন ও মনোনয়ন জমাদান কক্ষে তালা লাগানো ও রিটার্নিং অফিসারকে হুমকি প্রদানসহ ৩ নির্বাচন কর্মকর্তার একযোগে পদত্যাগের ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সভা পিছিয়ে ২ জানুয়ারি করা হয়। ঐ দিনই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

এ কমিটি ঘোষণার দিন শান্তিপূর্ন আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা ভীত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ।

এবার সচিবালয়ের সামনে অনশনে বসলেন শিক্ষার্থীরা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:০৬ পিএম
এবার সচিবালয়ের সামনে অনশনে বসলেন শিক্ষার্থীরা

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনে অনশনে বসেন তারা।

 

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, লজ্জা লজ্জা, ইউজিসি ইউজিসি, অনশন অনশন চলছে চলবে, কবে দিবা ক্যাম্পাস, প্রশাসন কি করে, আমার ভাই অনশনেসহ নানা স্লোগান দেন।

 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম অঙ্গীকারের লিখিত চিঠি নিয়ে আসতে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি আসেনি। ফলে পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী আমরা সচিবালয়মুখী হয়েছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।

 

অনশনরত শিক্ষার্থী রায়হান রাব্বি বলেন, আমরা আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আমাদের দাবি মেনে নিবে আগামী বুধবারের মিটিংয়ে -এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে। পরে আমরা অনশন ভাঙব। স্বাক্ষর হওয়া আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

 

এর আগে দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।

 

এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি করা হয় –

 

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

 

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

 

৩. যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরো সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে । তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।