শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

দেশ-বিদেশে মির্জা আজমের সম্পদের পাহাড়

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৪১ পিএম
দেশ-বিদেশে মির্জা আজমের সম্পদের পাহাড়

মির্জা আজম কেবল জামালপুরের প্রভাবশালী নেতা নয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী। মির্জা আজমের বাবা ছিলেন মির্জা আবুল কাশেম। লোকমুখে শোনা যায়, তিনি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের একনিষ্ঠ ভক্ত। তাই তিনি তার ছেলেদের নামের সাথে যুক্ত করে দিয়েছিলেন গোলাম। যেমন মির্জা গোলাম আজম, মির্জা গোলাম কবির, মির্জা গোলাম শিপন ও মির্জা গোলাম রিপন। অন্য ভাইদের নামের সাথে গোলাম শব্দ থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের আলোচিত হওয়ার জন্য বাবা-মায়ের রাখা নাম থেকে এফিডেভিট করে গোলাম শব্দটি বাদ দিয়ে হন মির্জা আজম।

এরপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনার। আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদও পান। শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গাতেই মির্জা আজমের ছিল ব্যাপক প্রভাব। নিজ জেলা জামালপুরে ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। তার ইশারায় চলতো জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আর ক্ষমতার এই মহাদাপটে মির্জা আজম নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড়। রাজধানী ঢাকা, জামালপুর এবং নির্বাচনী এলাকা

 

মেলান্দহ-মাদারগঞ্জসহ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তার অঢেল সম্পদ। মির্জা আজম জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে নানা কারচুপির মাধ্যমে ৮ বার সংসদ সদস্য হন। দায়িত্ব পান জাতীয় সংসদের হুইপ ও বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রীর। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে গড়েছেন হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, যা তার বৈধ আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় ।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা শাখার অনুসন্ধানে আজমের নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ লুটপাট করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে শতশত কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম দেশের যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই করেছেন সম্পদ। প্রতিষ্ঠা করেছেন স্ত্রী-সন্তান-ভাইদের নামে নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিজ ও স্ত্রীর নামে করেছেন স্থাবর সম্পত্তি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়িসহ জমি ক্রয় ।

 

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গা-ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

মির্জা আজমের নামে-বেনামে যত সম্পদ : ঢাকার ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে (পুরনো ২৮ নম্বর) ক্ষমতা অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে সরকারি প্লট দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন তিনি। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন একই রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে।

১৯৯৬ সালে এমপি থাকাকালে ঢাকার নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালে এমপি হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে প্লট পরিবর্তন করে বারিধারায় ১০ নম্বর সড়কে নতুন প্লট বরাদ্দ নিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছর কনস্ট্রাকশন সেকশনে আলোচিত তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হলেন আজম।

 

এ ছাড়া অপি হাউজিং কোম্পানির মালিকও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা। জনৈক আবু সালেহ গেন্দার নামে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন খাতে তিনি করেছেন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ।জামালপুর শহরে পৌরসভা ভবনের পাশে আছে স্ত্রী আলেয়া আজমের নামে বিলাসবহুল বাড়ি আলেয়া কটেজ। গত ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাতে ভাঙচুর চালায়। জামালপুর শহরে সুরপাড়া দেউরপাড় চন্দ্রায় ১০ একর জমিতে গড়ে তুলেছেন আলেয়া গার্ডেন নামে একটি রিসোর্ট সেন্টার।

মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নে তমা কংক্রিট লিমিটেডে তার রয়েছে বড় অঙ্কের শেয়ার। যে কারখানায় রেলের স্লিপার তৈরি করে এককভাবে হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা।

 

মেলান্দহর নয়ানগর ইউনিয়নের কান্দাপাড়ার বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা (বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক) মিনহাজের নামে জামালপুর শহর এবং শহরের বাইরে বিভিন্ন স্থানে মির্জা আজম কিনেছেন প্রায় ৩০০ একর জমি ।

 

এ ছাড়া জামালপুর শহরের বকুলতলা মোড়ে ৮ শতাংশ জমির ওপর তার বিলাসবহুল বাড়ি, মেডিক্যাল রোডে তিনতলার দু’টি বাড়ি বজ্রাপুর এলাকায় মির্জা রাইস মিল, যেটি পরিচালনা করেন তার ছোট ভাই মির্জা গোলাম কবির।মাদারগঞ্জ পৌর শহরের বালিজুড়ি বাজারে দুই একর জমিতে রয়েছে নুরুন্নাহার মার্কেট ও বকুল মার্কেট নামে দু’টি মার্কেট, মাদারগঞ্জ উপজেলা চত্বরে এক একর জমিতে আরো দু’টি মার্কেট, উপজেলা সংলগ্ন ২ একর জমি, মেলান্দহ উপজেলার পৌর শহরের বকুলতলার পাশে ৩০ শতাংশ জমি (সাবেক কোয়েলী সিনেমা হল)। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তার নামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ।

 

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ডেইরি কোম্পানির মালিকানা রয়েছে মির্জা আজমের। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রয়েছে স্ত্রী আলেয়া আজমের মালিকানাধীন নালিতাবাড়ী ফিশারিজ। কক্সবাজারে পাঁচতলা সিগাল হোটেলের অন্যতম শেয়ারার মির্জা আজম। ওই হোটেলের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী আলেয়া আজম বলে জানা গেছে। এ ছাড়া নেত্রকোনায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর নামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পদ ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেয়া মির্জা আজমের হলফনামায় মোট সম্পদের হিসাব দেখানো হয়েছে ৬৫ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা বর্তমানে হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।তার আলাদিনের চেরাগের অন্যতম দ্বৈত্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপ। এই তমা গ্রুপের অংশীদার হিসেবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সরকারের বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিতেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ করেছে এই তমা কনস্ট্রাকশনের নামে ।

প্রচলিত আছে টাকা রাখার জায়গার অভাবে এক সময় সরকারের কাছে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আবেদনও করে ছিলেন মির্জা আজম।

এ ছাড়া মির্জা আজম সরকারি টাকায় সরকারি জমিতে জামালপুর মির্জা আজম অডিটোরিয়াম, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামসহ নিজ নামে করেছেন অর্ধশতাধিক নানা প্রতিষ্ঠান।

 

মির্জা আজমের আর একটি পরিচয় হলো তিনি অবৈধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জিএমবির) প্রধান শায়খ আবদুর রহমানের শ্যালক। জামালপুরের রাজনীতিতে একটি স্লোগানও প্রচলিত আছে। শায়খ রহমান-বাংলা ভাই, মির্জা আজমের দুলাভাই।

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৩ পিএম
নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হবে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে র‌্যালি শেষ হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। র‌্যালিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

এদিকে, দলের কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করছেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা।

 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগের প্রতিটা এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা এই র‌্যালিতে যোগ নেবেন। তারা সকাল থেকে মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অভিমুখে আসছেন। ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন।

 

তিনি বলেন, রাতেই নয়াপল্টনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। স্মরণকালের ঐতিহাসিক র‌্যালি হবে আজ।

দুপুর ১টায় সরেজমিনে নয়াপল্টন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। অনেকের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরমধ্যে বড় পরিসরে আজ র‌্যালি বের করবে দলটি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সভা-সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে নানা টালবাহানার মধ্যে পড়তে হয়েছে বিএনপির। নেতাকর্মীরাও দলীয় কর্মসূচিতে আসার ক্ষেত্রে নানারকম বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে একসময় বিএনপি নয়াপল্টন থেকে শান্তিনগর বা মালিবাগ পর্যন্ত র‌্যালি করলেও এবার সেই পথ দীর্ঘ হচ্ছে।

রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৪ পিএম
রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

পেশাগত দায়িত্ব পালনে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান,দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর এই ৪ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের এর প্রতিবাদে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী এবং কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ মানিক,দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান খলিল, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান বাংলার প্রতিনিধি আবুল হোসেন,ভোরের কাগজের প্রতিনিধি শেখ জসিম এর উপর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানিয়ে ভৈরবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)’র আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরব- ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরব লোকাল বাসষ্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি ও জিটিভি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম এর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক লাল সবুজের দেশ ও পাক্ষিক অপরাধ জগতের সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অবলম্বন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শামীম আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রাজধানী টিভির জেলা প্রতিনিধি মাসুদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক গণ মানুষের আওয়াজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম আর ওয়াসিম প্রমূখ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সহ-সভাপতি ও দৈনিক সময়ের কণ্ঠে ভৈরব প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকা ভৈরব প্রতিনিধি নাঈম মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার কুলিয়ারচর-বাজিতপুর প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জুয়েল মিয়া, মুভি বাংলা টেলিভিশন এর ভৈরব প্রতিনিধি কাউছার আহমেদ, সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম প্রমূখ।

 

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ছাবির উদ্দিন রাজু।

 

এ সময় মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই, নেই সুরক্ষা আইন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি লক্ষীপুরের রামগতিতে দুর্নীতির অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিকের ৪ সাংবাদিকদের নামে চাদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান, যায়যায়দিন দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকন্ঠের সাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর। গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকদের অভিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়।

 

এছাড়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার স্বীকার হয়ে আহত হন সাব্বির হোসেন মানিক, আবুল হোসেন, মোঃ খলিল রহমান, শেখ জসিম। দুষ্কৃতিকারীরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, হয়রানি নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার  এবং সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দ্রূত আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান বক্তাগণ।

আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০৬ পিএম
আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

 

অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান।

 

এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রব নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়।