বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সুনামগঞ্জে আশ্রয়কেন্দ্রে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু 

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৫৫ পিএম
সুনামগঞ্জে আশ্রয়কেন্দ্রে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু 

ধর্মপাশায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনেই শিশু। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমের খাল এলাকার সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় ওই পরিবারের বসতঘরের দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

 

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মত রাতে আশপাশের বাড়িঘরসহ ওই পরিবারের লোকজন ঘুমোতে যান। রাত সাড়ে ১২টায় ধোয়া ও আগুন দেখে আশপাশের লোকজন গিয়ে ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ দেখতে পান। দেখতে দেখতে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভূত হয় ঘরটি। এসময় ভেতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ওই পরিবারের চার শিশুসহ ছয় জন। এরা হলেন- এমারুল (৫০), তার স্ত্রী পলি আক্তার (৪৫), চার শিশু সন্তান পলাশ (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা বেগম (৫) ও ওমর ফারুক (৩)।

 

আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানার ওসি এনামুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

 

 

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন জানালেন, ভোরে রওয়ানা দিয়ে ওখানে পৌঁছান তারা। আগুন কীভাবে লেগেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশপাশের ঘরে আগুন যায় নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনের ঘটনার সময় ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ ছিল।”

ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির দায়িত্বে জেলা প্রশাসক: পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:১৩ পিএম
ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির দায়িত্বে জেলা প্রশাসক: পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত

ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে পরিবহন ব্যবস্থা সচল রাখতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক জরুরী ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করেছে।

 

বুধবার (১৩-নভেম্বর) জেলা প্রশাসক মোঃ মফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির মিটিংয়ে সাধারন মালিকগনের উপস্থিতিতে বিকাল ৩ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সকলের ঐক্যমতের ভিক্তিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহারকে ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির প্রশাসক মনোনীত করেন। জানা গেছে, মনোনীত প্রশাসকের নেতৃত্বে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অতিদ্রুত ঘোষনা করা হবে।

 

ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত সদস্যবৃন্দের দায়িত্বে থাকা প্রশাসককে সহযোগীতা করা। সকল পরিবহন মালিকগন প্রশাসককে সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে।

উল্লেখ্য, উপস্থিত সকল পরিবহন মালিকগন হাউজে উচ্ছস্বরে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতিতে আমিনুল হক শামীমের কোন পেতাত্বা থাকতে পারবেনা”। সেসময় পরিবহন মালিকদের দাবির সাথে একমত পোষন করেন জেলা প্রশাসক ।

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের প্রয়োজনে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি ঘোষণা 

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৪ পিএম
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের প্রয়োজনে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি ঘোষণা 

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের প্রয়োজনে আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম খান আহবায়ক এবং আজগর হোসেন রবিনকে সদস্য সচিব করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ৫ আগষ্ট পতনের পর জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সারাদেশের সকল প্রেসক্লাব ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে মুক্ত হলেও ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব এখনো সেই ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ময়মনসিংহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গাঙ্গিনাপাড়ে অবস্থিত ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবটি গঠিত হবার সময় থেকেই পদাধিকার বলে প্রেসক্লাবের সভাপতি জেলা প্রশাসক। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনে বর্তমান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এ প্রেসক্লাবের সভাপতি থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। বিভাগীয় নগরী হওয়ায় ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সংখ্যাও ব্যাপক হারে বেড়েছে। তবে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আইনজীবী, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, সরকারি চাকরিজীবি থাকায় স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিক ও সম্পাদকগণ অবহেলিত হয়েছেন এ প্রেসক্লাবে।

 

তবে এরই মধ্যে প্রেসক্লাব সংস্কার আন্দোলনকারী সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের অধিকাংশ দাবীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে “প্রেসক্লাব ফর প্রেসম্যান” করার ক্ষেত্রে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলম জানিয়েছেন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সভাপতির পদে আর থাকবেন না। তিনি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার প্রশ্নে স্থানীয় পেশাদার সাংবাদিকদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

 

এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার প্রশ্নে অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকরা (১৩ নভেম্বর) বুধবার বিকেলে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মতবিনিময় সভায় দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা ও দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম খানের সভাপতিত্বে ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার চীপ ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ শিবলী সাদিক খানে সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন, আনন্দ টিভি ও দৈনিক জনকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল খান, দৈনিক নতুন সময় প্রতিনিধি মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল, সাপ্তাহিক ময়মনসিংহের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিপক চন্দ্র দে, দৈনিক সময়ের কাগজের প্রতিনিধি মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক, দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার ময়মনসিংহ প্রতিনিধি সুমন ভট্টাচার্য, সুবর্ণ বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আরিফ রেওগীর, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান আশিকুর রহমান মিঠু, সোনালী শীষ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার জহর লাল দে, দৈনিক সমাজ সংবাদের জেলা প্রতিনিধি খালেদ, দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকার প্রতিনিধি সুলতান রহমান বাপ্পী, দৈনিক দেশের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি সজীব রাজভর বিপিন, দৈনিক বঙ্গসংবাদের প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া পলাশ, দৈনিক প্রথম কথা পত্রিকার প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান পাইলটসহ প্রমুখ।

 

এসময় বক্তারা, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব অতিবিলম্বে সংস্কার করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এতে যেকোনো বাঁধা বিপত্তি আসলেও পিছ পা হবেননা। সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের এই আন্দোলন সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার প্রশ্নে আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম খানকে আহবায়ক এবং আজগর হোসেন রবিনকে সদস্য সচিব করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটির অন্যান্য সাংবাদিকদের নামের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

এর আগে বিভাগীগ ও জেলা প্রশাসনের সাথে সংস্কার বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের ক্ষোভের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৩১ পিএম
পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের ক্ষোভের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা নিতে আসা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় উপদেষ্টার গাড়ির ওপর উঠে পড়েন জুলাই আন্দোলনে আহতরা।

 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিটোরের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নিটোরে থাকা আহত রোগীদের খোঁজখবর নেন। এরপর হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় সেখানে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে আশপাশে আহত রোগীদের সরতে বলা হয়। এরপর হাসপাতালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আহতরা উপদেষ্টার গাড়ির সামনে পথ আটকে দাঁড়ান। এক পর্যায়ে আন্দোলনে আহতদের একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ওপর। কিছু সময় তারা গাড়িতে কিল-ঘুসি মেরে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নেমে আসতে বলেন গাড়িচালকসহ অন্যদের।

পরে নিরূপায় হয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেয় এবং রাস্তায় অবস্থান নেয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসাধীন আন্দোলনরতরা জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সিলেকটিভ কিছু রোগীর সঙ্গেই কথা বলেছেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল তিনি যেন সবার খোঁজ নেন। সমস্যা শুনে সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নেন। কিন্তু মনের কথাগুলো শোনাতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ হন। কেউ কেউ খাওয়া-দাওয়ার মান নিয়েও অভিযোগ করেন। এছাড়া তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা ও ভালো চিকিৎসা দিতে বিদেশে নেওয়ার আবেদন জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।