বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

রহস্যময় তাপস, জাদুর কাঠিতে বদলে ফেলেছেন জীবন!

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৪৭ এম
রহস্যময় তাপস, জাদুর কাঠিতে বদলে ফেলেছেন জীবন!

কৌশিক হোসেন তাপস, নামের পাশে একাধিক উপাধি যার। কখনো গায়ক, কখনো সুরকার আবার কখনো সংগীত পরিচালক তিনি। পাশাপাশি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী। দাবি করা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র সংগীতনির্ভর চ্যানেল সেটি।

 

যেই চ্যানেলে হরহামেশাই দেখা মিলত তারকাদের। রাতভর চলত আড্ডা, গান ও নানা আয়োজন। আড্ডার মধ্যমণি হতেন তাপস ও তার স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। মূলত স্ত্রীর হাত ধরেই রাতারাতি একের পর এক সিড়ি টপকে উত্থান হয় এই গায়কের। সামান্য একজন তবলা বাদক থেকে মিডিয়া মাফিয়া বনে যান তাপস।

 

মিডিয়াতে তার চরিত্রটাই ছিল বেশ ‘রহস্যময়’। একসময়ের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মচারী থেকে কয়েক বছরের ব্যবধানে নিজেই একটি চ্যানেলের মালিক বনে যান। এসবের পেছনে তার চতুরতা যেমন ছিল, একইভাবে ‘জাদুর কাঠি’র ব্যবহারও ছিল

সেই জাদুর কাঠি ছিল তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। যিনি রূপচর্চা ও ফ্যাশন এক্সপার্ট হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিউটিশিয়ান হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি। স্ত্রীকে ব্যবহার করেই আওয়ামী সংস্কৃতি অঙ্গনের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তাপস। একসময় দলটির রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত হন তিনি। অভিযোগ আছে, গান বাংলার নাম করে ইউক্রেন ও বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে নারী এনে তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতেন তাপস। এভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি, আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি।

তাপসের বিয়ে নিয়েও শোনা যায় নানা গল্প। বয়সে বড় ফারজানা মুন্নিকে সন্তানসহ বিয়ে করেন তিনি। মুন্নিকে বিয়ের আগে তার বড় মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন তাপস। সেই সুবাদে নিয়মিত দেখা হতো তাদের। একপর্যায়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জন।

 

বিয়ের পর নিজেদেরকে মিডিয়ার ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন তাপস-মুন্নি। যেকোনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে সাংস্কৃতিক আয়োজন, সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন এই দম্পতি।

 

প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও নিজের অপকর্ম চালিয়ে গেছেন তাপস। ২০২২ সালের মার্চে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঢাকায় সানি লিওনকে নিয়ে আসেন তিনি। সেসময় তথ্য মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়েছিল, সানি লিওনের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কিন্তু নিজের মেয়ের বিয়েতে এই বলিউড তারকাকে নাচাবেন বলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই ঢাকায় সানি লিওনকে নিয়ে আসেন তাপস। ১৩ ঘণ্টার সফর শেষে কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই দেশ ছাড়েন অভিনেত্রী।

 

এতকিছুর মাঝেও কৌশিক হাসান তাপস ও ফারজানা মুন্নির মধুর সংসারের ফাটল প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের শেষের দিকে। যখন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ফারজানা মুন্নির একটি কলরেকর্ড ফাঁস হয়।

 

ওই কলরেকর্ডে মুন্নিকে বলতে শোনা যায়, তাপস অভিনেত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাদের দু’জনকে হাতেনাতেও ধরেছেন তিনি। মুন্নি আরও দাবি করেন, বুবলী তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে।

তবে প্রতিবারের মতো এই ঘটনাও দারুণভাবে সামলে নেন তাপস। কিছুদিন পরই স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে দাবি করেন, তাদের মাঝে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর মতো কোনো কাজ তিনি করেননি।

 

তাপসের অপকর্মের ফিরিস্তির এখানেই শেষ নেই। অভিযোগ আছে, গান বাংলা চ্যানেলটি আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর হলেও জোর করে ভাগিয়ে নেন তাপস। ২০১১ সালের ২৪শে অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গান বাংলা টেলিভিশনের লাইসেন্স পান রবিশঙ্কর। ২০১২ সালের পহেলা জুলাই কৌশিক হোসেন তাপস আর ফারজানা মুন্নী ৮০ লাখ টাকায় শেয়ার হোল্ডার হিসেবে গান বাংলায় যুক্ত হয়েছিলেন। একটা সময় রবিশঙ্করকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গান বাংলার সবকিছুই নিজের করে নেন তাপস-মুন্নী।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কনসার্ট আয়োজনের কাজও বাগিয়ে নিতেন তাপস। সেসবের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আয়োজিত লাল-সবুজের মহোৎসব, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান অন্যতম। সেখান কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

 

আর এসব কাজে অধিকাংশ সময়ই তাপস ব্যবহার করতেন তার জাদুর কাঠি ‘ফারজানা মুন্নি’ ও চ্যানেলের নাম করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন তরুণীদের।

 

মুন্নির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সখ্যতা, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ‘আস্থাভাজন’ পরিচয় কাজে লাগানো ও বিদেশি তরুণীদের দিয়ে ‘মনোরঞ্জন’-এর ব্যবস্থা করা ছিল এই ধূর্ত মিডিয়া মাফিয়ার অন্যতম হাতিয়ার।

পূজা ও বরণ মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা

সুমন ভট্টাচার্য।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
পূজা ও বরণ মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা

পূজা ও বরণনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শুভ বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। এর মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্দিরে চলছে দেবী বিদায়ের প্রস্তুতি। দশমীর এই দিনে ভক্তদের মনে বিষাদের ছায়া—প্রিয় দেবীর বিদায়ের মুহূর্তে তাদের একটাই প্রার্থনা, আগামী বছর যেন মা আরও সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন।

ভক্তরা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এবছর কোনো শঙ্কা ছিল না। সরকারের কঠোর তদারকির ফলে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পেরে তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

শাস্ত্রমতে, এবছর দেবী গজে আগমন করে ছিলেন পালকিতে চড়ে মর্ত্যলোক থেকে কৈলাশে ফিরে যাবেন। এর আগে মহাসপ্তমীর দিনে তিনি গজে চড়ে আগমন করেছিলেন।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত জগজ্জননী উমা দেবী পিতৃগৃহে আগমন করেন। পাঁচ দিনের এই শারদীয় উৎসব আজ বিজয়া দশমীতে শেষ হচ্ছে।

দশমী তিথি থাকবে দিবা ৩টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। গতে দিবা ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজা সমাপনান্তে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মন্দির প্রাঙ্গণে অপরাজিতা পূজা, শান্তি ও আশীর্বাদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

ভক্তদের চোখে আজ আনন্দ ও বেদনার মিশ্র অনুভূতি। কারণ, দেবী দুর্গা যেমন মহাশক্তি—তেমনি বাঙালি ঘরের কন্যা। পিতৃগৃহে কন্যার আগমনের আনন্দ আর বিদায়ের বেদনা—এই দ্বৈত আবেগই যেন মূর্ত হয়ে ওঠে বিজয়া দশমীর বিদায়ের ক্ষণে।

ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কম্বল জব্দ; গ্রেফতার-১

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৯ পিএম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কম্বল জব্দ; গ্রেফতার-১

বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ৩ নং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বদরের মোড়ে এস আর পার্সেল লিমিটেডের অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ কম্বল জব্দ করেছে।

জানা যায়, ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল হোসেনের দিকনির্দেশনায় এস আই সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি টিম ময়মনসিংহ নগরীর বদরের মোড়ে এস আর পার্সেল লিমিটেড অফিসে অভিযান চালায়। এসময় ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা ১০৮ পিস কম্বল জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম শান্ত নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ধরনের অবৈধ আমদানি ও পাচার রোধে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩০ এম
খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ। এ ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার কাছে জমা হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সবকটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা করেছি। কিন্তু ধর্ষণের আলামত পাইনি।’

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ জয়া বলেন, আমাদের দলে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।

জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ড প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ওই ছাত্রীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে, সেই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যা একটা অভিযোগ তুলে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এখন তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।