শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

রহস্যময় তাপস, জাদুর কাঠিতে বদলে ফেলেছেন জীবন!

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৪৭ এম
রহস্যময় তাপস, জাদুর কাঠিতে বদলে ফেলেছেন জীবন!

কৌশিক হোসেন তাপস, নামের পাশে একাধিক উপাধি যার। কখনো গায়ক, কখনো সুরকার আবার কখনো সংগীত পরিচালক তিনি। পাশাপাশি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী। দাবি করা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র সংগীতনির্ভর চ্যানেল সেটি।

 

যেই চ্যানেলে হরহামেশাই দেখা মিলত তারকাদের। রাতভর চলত আড্ডা, গান ও নানা আয়োজন। আড্ডার মধ্যমণি হতেন তাপস ও তার স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। মূলত স্ত্রীর হাত ধরেই রাতারাতি একের পর এক সিড়ি টপকে উত্থান হয় এই গায়কের। সামান্য একজন তবলা বাদক থেকে মিডিয়া মাফিয়া বনে যান তাপস।

 

মিডিয়াতে তার চরিত্রটাই ছিল বেশ ‘রহস্যময়’। একসময়ের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কর্মচারী থেকে কয়েক বছরের ব্যবধানে নিজেই একটি চ্যানেলের মালিক বনে যান। এসবের পেছনে তার চতুরতা যেমন ছিল, একইভাবে ‘জাদুর কাঠি’র ব্যবহারও ছিল

সেই জাদুর কাঠি ছিল তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। যিনি রূপচর্চা ও ফ্যাশন এক্সপার্ট হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিউটিশিয়ান হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি। স্ত্রীকে ব্যবহার করেই আওয়ামী সংস্কৃতি অঙ্গনের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তাপস। একসময় দলটির রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত হন তিনি। অভিযোগ আছে, গান বাংলার নাম করে ইউক্রেন ও বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে নারী এনে তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতেন তাপস। এভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি, আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি।

তাপসের বিয়ে নিয়েও শোনা যায় নানা গল্প। বয়সে বড় ফারজানা মুন্নিকে সন্তানসহ বিয়ে করেন তিনি। মুন্নিকে বিয়ের আগে তার বড় মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন তাপস। সেই সুবাদে নিয়মিত দেখা হতো তাদের। একপর্যায়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জন।

 

বিয়ের পর নিজেদেরকে মিডিয়ার ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন তাপস-মুন্নি। যেকোনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে সাংস্কৃতিক আয়োজন, সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন এই দম্পতি।

 

প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও নিজের অপকর্ম চালিয়ে গেছেন তাপস। ২০২২ সালের মার্চে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঢাকায় সানি লিওনকে নিয়ে আসেন তিনি। সেসময় তথ্য মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়েছিল, সানি লিওনের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কিন্তু নিজের মেয়ের বিয়েতে এই বলিউড তারকাকে নাচাবেন বলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই ঢাকায় সানি লিওনকে নিয়ে আসেন তাপস। ১৩ ঘণ্টার সফর শেষে কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই দেশ ছাড়েন অভিনেত্রী।

 

এতকিছুর মাঝেও কৌশিক হাসান তাপস ও ফারজানা মুন্নির মধুর সংসারের ফাটল প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের শেষের দিকে। যখন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ফারজানা মুন্নির একটি কলরেকর্ড ফাঁস হয়।

 

ওই কলরেকর্ডে মুন্নিকে বলতে শোনা যায়, তাপস অভিনেত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাদের দু’জনকে হাতেনাতেও ধরেছেন তিনি। মুন্নি আরও দাবি করেন, বুবলী তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে।

তবে প্রতিবারের মতো এই ঘটনাও দারুণভাবে সামলে নেন তাপস। কিছুদিন পরই স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে দাবি করেন, তাদের মাঝে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর মতো কোনো কাজ তিনি করেননি।

 

তাপসের অপকর্মের ফিরিস্তির এখানেই শেষ নেই। অভিযোগ আছে, গান বাংলা চ্যানেলটি আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর হলেও জোর করে ভাগিয়ে নেন তাপস। ২০১১ সালের ২৪শে অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গান বাংলা টেলিভিশনের লাইসেন্স পান রবিশঙ্কর। ২০১২ সালের পহেলা জুলাই কৌশিক হোসেন তাপস আর ফারজানা মুন্নী ৮০ লাখ টাকায় শেয়ার হোল্ডার হিসেবে গান বাংলায় যুক্ত হয়েছিলেন। একটা সময় রবিশঙ্করকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গান বাংলার সবকিছুই নিজের করে নেন তাপস-মুন্নী।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কনসার্ট আয়োজনের কাজও বাগিয়ে নিতেন তাপস। সেসবের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আয়োজিত লাল-সবুজের মহোৎসব, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান অন্যতম। সেখান কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

 

আর এসব কাজে অধিকাংশ সময়ই তাপস ব্যবহার করতেন তার জাদুর কাঠি ‘ফারজানা মুন্নি’ ও চ্যানেলের নাম করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন তরুণীদের।

 

মুন্নির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সখ্যতা, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ‘আস্থাভাজন’ পরিচয় কাজে লাগানো ও বিদেশি তরুণীদের দিয়ে ‘মনোরঞ্জন’-এর ব্যবস্থা করা ছিল এই ধূর্ত মিডিয়া মাফিয়ার অন্যতম হাতিয়ার।

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৩ পিএম
নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হবে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে র‌্যালি শেষ হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। র‌্যালিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

এদিকে, দলের কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করছেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা।

 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগের প্রতিটা এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা এই র‌্যালিতে যোগ নেবেন। তারা সকাল থেকে মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অভিমুখে আসছেন। ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন।

 

তিনি বলেন, রাতেই নয়াপল্টনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। স্মরণকালের ঐতিহাসিক র‌্যালি হবে আজ।

দুপুর ১টায় সরেজমিনে নয়াপল্টন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। অনেকের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরমধ্যে বড় পরিসরে আজ র‌্যালি বের করবে দলটি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সভা-সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে নানা টালবাহানার মধ্যে পড়তে হয়েছে বিএনপির। নেতাকর্মীরাও দলীয় কর্মসূচিতে আসার ক্ষেত্রে নানারকম বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে একসময় বিএনপি নয়াপল্টন থেকে শান্তিনগর বা মালিবাগ পর্যন্ত র‌্যালি করলেও এবার সেই পথ দীর্ঘ হচ্ছে।

রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৪ পিএম
রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

পেশাগত দায়িত্ব পালনে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান,দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর এই ৪ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের এর প্রতিবাদে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী এবং কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ মানিক,দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান খলিল, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান বাংলার প্রতিনিধি আবুল হোসেন,ভোরের কাগজের প্রতিনিধি শেখ জসিম এর উপর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানিয়ে ভৈরবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)’র আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরব- ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরব লোকাল বাসষ্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি ও জিটিভি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম এর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক লাল সবুজের দেশ ও পাক্ষিক অপরাধ জগতের সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অবলম্বন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শামীম আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রাজধানী টিভির জেলা প্রতিনিধি মাসুদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক গণ মানুষের আওয়াজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম আর ওয়াসিম প্রমূখ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সহ-সভাপতি ও দৈনিক সময়ের কণ্ঠে ভৈরব প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকা ভৈরব প্রতিনিধি নাঈম মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার কুলিয়ারচর-বাজিতপুর প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জুয়েল মিয়া, মুভি বাংলা টেলিভিশন এর ভৈরব প্রতিনিধি কাউছার আহমেদ, সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম প্রমূখ।

 

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ছাবির উদ্দিন রাজু।

 

এ সময় মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই, নেই সুরক্ষা আইন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি লক্ষীপুরের রামগতিতে দুর্নীতির অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিকের ৪ সাংবাদিকদের নামে চাদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান, যায়যায়দিন দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকন্ঠের সাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর। গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকদের অভিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়।

 

এছাড়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার স্বীকার হয়ে আহত হন সাব্বির হোসেন মানিক, আবুল হোসেন, মোঃ খলিল রহমান, শেখ জসিম। দুষ্কৃতিকারীরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, হয়রানি নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার  এবং সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দ্রূত আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান বক্তাগণ।

আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০৬ পিএম
আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

 

অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান।

 

এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রব নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়।