ময়মনসিংহ কোতোয়ালী পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-১১

পূজা ও বরণনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শুভ বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। এর মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্দিরে চলছে দেবী বিদায়ের প্রস্তুতি। দশমীর এই দিনে ভক্তদের মনে বিষাদের ছায়া—প্রিয় দেবীর বিদায়ের মুহূর্তে তাদের একটাই প্রার্থনা, আগামী বছর যেন মা আরও সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন।
ভক্তরা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এবছর কোনো শঙ্কা ছিল না। সরকারের কঠোর তদারকির ফলে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পেরে তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
শাস্ত্রমতে, এবছর দেবী গজে আগমন করে ছিলেন পালকিতে চড়ে মর্ত্যলোক থেকে কৈলাশে ফিরে যাবেন। এর আগে মহাসপ্তমীর দিনে তিনি গজে চড়ে আগমন করেছিলেন।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত জগজ্জননী উমা দেবী পিতৃগৃহে আগমন করেন। পাঁচ দিনের এই শারদীয় উৎসব আজ বিজয়া দশমীতে শেষ হচ্ছে।
দশমী তিথি থাকবে দিবা ৩টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। গতে দিবা ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজা সমাপনান্তে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মন্দির প্রাঙ্গণে অপরাজিতা পূজা, শান্তি ও আশীর্বাদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
ভক্তদের চোখে আজ আনন্দ ও বেদনার মিশ্র অনুভূতি। কারণ, দেবী দুর্গা যেমন মহাশক্তি—তেমনি বাঙালি ঘরের কন্যা। পিতৃগৃহে কন্যার আগমনের আনন্দ আর বিদায়ের বেদনা—এই দ্বৈত আবেগই যেন মূর্ত হয়ে ওঠে বিজয়া দশমীর বিদায়ের ক্ষণে।
বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ৩ নং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বদরের মোড়ে এস আর পার্সেল লিমিটেডের অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ কম্বল জব্দ করেছে।
জানা যায়, ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল হোসেনের দিকনির্দেশনায় এস আই সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি টিম ময়মনসিংহ নগরীর বদরের মোড়ে এস আর পার্সেল লিমিটেড অফিসে অভিযান চালায়। এসময় ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা ১০৮ পিস কম্বল জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম শান্ত নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ধরনের অবৈধ আমদানি ও পাচার রোধে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ। এ ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার কাছে জমা হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সবকটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা করেছি। কিন্তু ধর্ষণের আলামত পাইনি।’
স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ জয়া বলেন, আমাদের দলে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।
জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ড প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ওই ছাত্রীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে, সেই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যা একটা অভিযোগ তুলে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এখন তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।