সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

গফরগাওয়ে সরকারী বালু নিয়ে বিরোধ

ইউএনওর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মানববন্ধন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
ইউএনওর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের গফরগাঁও ইউএনও ও বিএনপি নেতার বিরোধ বেড়েই চলছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসুচি ঘোষণা। তবে, মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে উপজেলার সকল সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে স্থানীয় সকল সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, নিয়মবর্হিভুত ভাবে পাঁচবাগ গলাকাটা মৌজার বিআইডব্লিউটি’র বালু নিতে ইউএনও রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে আসছিল ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম। কিন্তু, ইউএনও নিয়মবর্হিভুত ভাবে বালু দিতে অস্বীকৃতি জানান। এসব নিয়ে ইউএনও’র সাথে বিএনপি নেতার দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ ঘটনায় গত রবিবার সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে সকালে উপজেলা পরিষদ ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনওর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন। পরে সকালে হঠাৎ বিপএনপি নেতা কর্মীরা তাদের কর্মসুচি বাতিল করে। অপরদিকে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, ইউএনও রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্তার বিরুদ্ধে তারা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মানববন্ধনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের সুশৃঙ্খল কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ইউএনওর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে, যা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এই ষড়যন্ত্র অবিলম্বে বন্ধ না হলে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মানববন্ধনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমির সালমান রনি বলেন, ইউএনও বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন।

এসময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। এই দ্বন্দ্বের কারণে গফরগাঁওয়ের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন নাগরিক সমাজ। তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এবিষয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, আমরা নানাবিধ অনিয়মের কারণে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসুচি দিয়েছিলাম। এই ইউএনও শেখ হাসিনার সময়ের নিয়োগপ্রাপ্ত একটা ফ্যাসিস্ট। তার কর্মকান্ড অনেকটা ফ্যাসিস্টদের মতই। সে আওয়ামী লীগের সময় যে ভাবে প্রশাসন চালাতো, এখনও ওই ভাবেই প্রশাসন চালায়। তার কাছে কোন পজিটিভ কাজ নিয়ে গেলেও ৭% ঘুষ নেয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পলাতকদের বেতন ভাতা উত্তোলনে সহায়তা করে বিভিন্ন নিয়োগ বানিজ্য করে। উপজেলায় ৪১ টা ইটের ভাটা আছে। যে গুলো থেকে সে টাকা নেয়। সরকারি যে সব সাহায্য আছে কম্বল বিতরণ, ঢেউ টিন বিতরণ, দুম্বার মাংস জনগণকে না দিয়ে কোথায় দেয়, তাও কেউ জানে না। তারপর শহীদ পরিবারের(একজন উত্তরায় ও একজন মাওনা শহীদ হয়ছিলো) লোকজন দেখা করতে গিয়েছিল ইউএনও’র সাথে সাক্ষাত করতে, সে তাদের সাথে অশোভন আচরণ করছে। বেসরকারি যত স্কুল আছে, বেতন উত্তোলন করে এখন উনিই সব কোন কমিটি নেই। উনার একজন পিএস আছে আমিনুল ইসলাম মুক্তা এগুলো থেকে টাকা নেয়। খাদ্য বান্ধব ওএমএস থেকে টাকা নেয় এবং বেশি ভাগ আওয়ামীলীগের লেকজনকেই নিয়োগ দিয়েছে, বিএনপির কিছু লোক ছাড়া। বালি যে বিক্রি হয়, ইউএনও এখন বালী ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। এরপর অনেক কারন রয়েছে গত উপজেলা নির্বাচনে নিজেই ফলাফল ঘোষণা করছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। যেমন বিজয় দিবসসহ এগুলোতে সে কাউকে দাওয়াত দেয় না। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় এগুলোতে কাউকে পরোয়া করে না এরকম নানাবিধ কারণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়ছিল। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের দলীয় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এখন প্রশাসনের সাথে কোন বিরোধে যাওয়া যাবে না। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্থ করছে উনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তাই, আমাদের কর্মসুচি বাতিল করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি নেতা আলমগীর মাহমুদ আলম সাহেব আমার কাছে কিছু অবৈধ তদবির করছিল, তারমধ্যে ছিল চর আলগী ইউনিয়ন পরিষদটা সরকারী ভবনে না নিয়ে উনার পছন্দ মতন জায়গায় নিয়ে নিতে। কিন্তু সরকারী ভবন রেখে অন্য কোথাও নেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া সরকারি ভবনটা ব্যবহারে উপযোগী। আগে ছিল পুরাতন চেয়ারম্যান বাড়ি, সেখান থেকে নিয়ে সরকারী ভবনে আমি শিফট করেছি। এটা উনার তদবির হিসেবে উনার বাড়িতে নিয়ে যাই নাই। উনি বলে আগের চেয়ারম্যান তো তার বাড়িতে নিয়েছিল।আপনি কেন পারবেন না ইউএনও হয়ে আমার বাড়িতে দিতে বা আমার পছন্দ মতন জায়গায় দিতে। আগের চেয়ারম্যানরা তো গায়ের জোরে অনেক কিছু করছে, আমি তো সরকারি কর্মকর্তা, নিয়মের বাইরে আমি পারি না। এটা নিয়ে উনার উপর ক্ষোভ আমার প্রতি। দ্বিতীয়টা হলো, পাঁচবাগ গলাকাটা মৌজার বিআইডব্লিউটি’র বালু আছে। ওই বালু নিয়মবর্হিভুত ভাবে নিতে আমাকে চাপ দেন৷ আমি বলেছি, আমি অকশনে যাবো, আগেও অকশন হয়ছিলো আপনিও অকশনে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু আমাকে তো বলছে এমন না। তিনি ডিসি স্যারকেও বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে আসছে ওই বালু তাকে দিতে।

পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:২৫ এম
পরানগঞ্জে অপরাধ দমনে এসআই আব্দুর রহিমের প্রশংসা, এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ৪নং পরানগঞ্জ বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আব্দুর রহিম জালাও-পোড়াও দমন, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর নিরলস দায়িত্বশীলতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক আচরণে তিনি ইতিমধ্যেই জনপ্রশংসিত হয়ে উঠেছেন।

সরেজমিনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন মহল জানান, এসআই আ: রহিম একজন দায়িত্বশীল, চৌকস ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা। অপরাধ দমনের পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছেন।

জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশনা এবং কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এসআই আ: রহিম পরানগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতা দমনে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে চোরাই মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অভিযানে তিনি সাফল্য দেখিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, সাধারণ নালিশ, জমি-জমা বিরোধ থেকে শুরু করে সামাজিক সংকট- এসব ক্ষেত্রেও তিনি কোনো সংঘাত ছাড়াই সমাধান এনে দিয়েছেন। এ কারণে এলাকাবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি।

এসআই আ: রহিম বলেন, “পরানগঞ্জের মানুষ সহযোগিতা করায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে। চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে কাজ করছি। কিশোর গ্যাং দমনে আমাদের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপদ সমাজ গড়তে সবাইকে সঙ্গে চাই।”

তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও ও রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। তাঁর ও সহকারী অফিসার সপন আকন্দের তৎপরতায় এখন পরানগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহল জানান, “এসআই আব্দুল রহিমের প্রচেষ্টায় পরানগঞ্জ এখন সন্ত্রাসমুক্ত ও নিরাপদ। তাঁর কাজ মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে।”

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমানকে বাঁচতে চায়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার খিলগাতী গ্রামের এক দরিদ্র রিক্সাচালকের একমাত্র পুত্র (৭)সালমান ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ওয়ার্ড নং:২১০,সিট নং:১২) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। শিশুটির জীবন বাঁচাতে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপা সুলতানা মিলি।

অভাব-অনটনের মধ্যেও রিপা সুলতানা নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু ব্যয় করছেন সালমানের চিকিৎসায়।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি সালমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

সালমানের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তার বৃদ্ধা দাদি ও রিক্সাচালক পিতা। তাদের খাদ্য, ওষুধ, থাকা খাওয়াসহ সব ব্যয়ের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই ত্যাগী শিক্ষিকা।

রিপা সুলতানা মিলি বলেন, “সালমান আমার ছাত্র, আমার সন্তানের মতো। ওর ছোট্ট জীবনের হাসিটা আমি নিভে যেতে দিতে পারি না। আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিচ্ছি, কিন্তু এখন মানুষের সাহায্য ছাড়া ওর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”

চিকিৎসকদের মতে, সালমানকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দিতে হবে। এর ব্যয় মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত গড়ে ওঠে, যা তার দরিদ্র পরিবার কোনোভাবেই বহন করতে পারছে না।

একটি ছোট্ট প্রাণকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে এখন প্রয়োজন সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহানুভূতি ও সহযোগিতা।

রিপা সুলতানা আরও বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য এই বিশ্বাস থেকেই আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। হয়তো আপনাদের অল্প কিছু সহায়তাই সালমানের জীবনে আলো ফিরিয়ে আনতে পারে।”

যারা সালমানের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা রিপা সুলতানা মিলি অথবা সালমানের বাবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন।

যোগাযোগ: রিপা সুলতানা মিলি, সহকারী শিক্ষক, খিলগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।

বিকাশ (পার্সোনাল) নম্বর:

01775859037-01771473061

ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
ময়মনসিংহে নাশকতার চেষ্টা, ফুলবাড়িয়া থেকে ককটেল-পেট্রলবোমা উদ্ধার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবিবার রাত থেকে। ৬নং ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদল এবং রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিমুল তরফদারের ব্যানারে রাত প্রায় ১০টার দিকে একটি রাজনৈতিক মিছিলের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছন দিক তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ককটেল এবং ২টি পেট্রোল বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযানটি পরিচালনা করে।

ওসি রুকনুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “যে কোন ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।