রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১
রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ০৫ জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ০৫ জন

গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ০৫ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।

 

এসআই (নিঃ) ওমর ফারুক রাজু সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া অন্যান্য মামলার আসামী ১। আরমান বাবু (৩২), পিতা-মোঃ সেলিম, মাতা-মোছাঃ জাহানারা বেগম, সাং-আরকে মিশন রোড, থানা-কোতোয়ালী

জেলা- ময়মনসিংহকে অত্র থানাধীন তাজমহল রোড এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

 

এসআই (নিঃ) অংকন সরকার সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। আল আমিন (৩৬), পিতাঃ বিল্লাল হোসেন, মাতা-উম্মে হানী, স্থায়ী সাং-শেষ মোড় বাকৃবি, চক ছত্রপুর, ২। রফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতামৃত-হোসেন আলী, মাতামৃত-খোদেজা বেগম, স্থায়ী সাং-পাড়াপাসাশী, থানা- ঈশ্বরগঞ্জ, এপি/সাং-বাকৃবি গুদারাঘাট, শুক্কুরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-কোতোয়ালী, উভয় জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে অত্র থানাধীন চক ছত্রপুর এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন এবং তাহার নিকট হইতে ৮৬০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করেন।

 

এএসআই (নিঃ) আলী হোসেন, স্বপন সরকার প্রত্যেকে থানা এলাকার পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করিয়া ০২ টি পরোয়ানা তামিল করেন।

 

পরোয়ানা ভূক্ত আসামীর নাম ঠিকানা-

১। মোঃ সজিব মিয়া, পিতা-আহাম্মদ আলী, স্থায়ী: গ্রাম- চুরখাই (উইনারপাড়) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা-ময়মনসিংহ

 

২। মোঃ মাহিন (২১), পিতা-মোঃ নূর উদ্দিন, স্থায়ী: গ্রাম- আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় , উপজেলা/থানা- ময়মনসিংহ সদর, জেলা –ময়মনসিংহ

 

প্রত্যেক আসামীদের চালান মোতাবেক যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে।

বিপ্লবের চেতনা এই সরকার ধারণ করতে পারেনি : মাহমুদুর রহমান

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩০ এম
বিপ্লবের চেতনা এই সরকার ধারণ করতে পারেনি : মাহমুদুর রহমান

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, একটা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। কিন্তু সেই বিপ্লবের চেতনা এই সরকার ধারণ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উচিত ছিল ক্ষমতায় বসার পর দেশে শুদ্ধি একটা অভিযান করা। তা না করে, তারা হঠাৎ পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ভ্যাট বাড়ানোর আগে সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে তাদের পরামর্শের প্রয়োজন ছিল। যেখানে গরিবের কষ্ট হবে না, সে জায়গায় ভ্যাট বাড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু ওষুধের ওপর কেন ভ্যাট বাড়ালেন। কারণ তারা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করতে পারেন নাই। এগুলো হলো এ সরকারের দুর্বলতা।

 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ময়মনসিংহ নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে শাপলা চত্বরে আস-সিরাজ সংগঠনের আয়োজনে ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ, জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্খা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে যারা শহীদ হয়েছিলেন, আমরা অনেকেই মনে করেছিলাম আন্দোলন বিফলে গেছে। কিন্তু না সেই আন্দোলনের বিজয় ২০২৪ সালে এসেছে, তাদের বিপ্লব সফল হয়েছে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যমে। সেই আদর্শ ধারণ করে ১১ বছর পর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতের সাম্রাজ্যবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি দেশ। কারণ যারা তাকে ফ্যাসিবাদ হতে সহায়তা করেছিল, তারা এখন আওয়ামী লীগের বদলে অন্য দলের ওপর সওয়ার হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের বিভাজনের রাজনীতিকে কবর দিতে হবে। তার উত্থান হতে দেওয়া যাবে না। সেই জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো বিদেশি শক্তিকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কুক্ষিগত করতে দেওয়া হবে না।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

 

সেমিনারে আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, বাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফজলুল হক ভূইয়া, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, আশরাফ মাহাদী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি মাহাবুল্লাহ, গণতান্ত্রিক সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক সাইদুর রহমান, ডা. মাওলানা আব্দুল বারী, অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী নাসির আহাম্মদ প্রমুখ।

 

এর আগে ১৫টি শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে অতিথিদের বক্তব্য শেষে জাগরণী সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় এই সেমিনার। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ০৮ জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৬ পিএম
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ০৮ জন

গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ০৮ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।

এসআই (নিঃ) নিজামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মাদক মামলার আসামী ১। আব্দুল কালাম (৩৮), পিতামৃত-আব্দুল করিম, মাতা-মোছাঃ সালেহা বেগম, সাং-গুচ্ছগ্রাম আবাসন, বাসা নং-২৯৪, ঘুন্টি, থানা্-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন গাঙ্গীনারপাড়া এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন এবং তাহার নিকট হইত ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেন।

এসআই (নিঃ) রিপন চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া দস্যুতার চেষ্টা মামলার আসামী ১। মোঃ নাজমুল হক আরজু (৩৬), পিতা-তাজুল ইসলাম, মাতা-নুরজাহান বেগম, সাং-বলাশপুর, ২। মোঃ সাব্বির হোসেন (৩০), পিতা-মোঃ সোবহান আলী, মাতা-জামিরন, সাং-গলগন্ডা মুন্দুবাড়ী, উভয় থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন আকুয়া এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

ইহাছাড়ও এএসআই (নিঃ) শওকত হোসেন, হোসেন আলী, মাসুম রানা, ফরহাদ উদ্দিন থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৫টি পরোয়ানা গ্রেফতার করেন।

পরোয়ানাভূক্ত আসামীর নাম ও ঠিকানা-

১। মোছাঃ লতিফা, স্বামী: মোঃ ফরহাদ হোসেন, স্থায়ী : গ্রাম- বয়ড়া (বয়রা ভালুকা) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ,

২। মোছাঃ লতিফা, পিতা-/স্বামীঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন, স্থায়ী : গ্রাম- বয়ড়া (খেজুরতলা) , উপজেলা/থানা- কোতোয়ালী মডেল, জেলা -ময়মনসিংহ,

৩। ফরিদ, পিতা-জামাল ওরফে নিঝুম ওরফে রমু, স্থায়ী-১: গ্রাম- চর পাড়া কপিক্ষেত , উপজেলা/থানা- ময়মনসিংহ সদর, জেলা -ময়মনসিংহ,

৪। রুবেল (৩৪), পিতা-মৃত বাচ্চু মিয়া, মাতা- হাজেরা খাতুন,, স্থায়ী: (সাং-চরপাড়া কফিক্ষেত তারেক এর বাড়ীর ডান সাইডে হাফ বিল্ডিং , উপজেলা/থানা- ময়মনসিংহ সদর, জেলা -ময়মনসিংহ,

৫। মোঃ রুবেল মিয়া (৩৬), পিতা-মৃত বাচ্চু মিয়া, স্থায়ী: গ্রাম- চরপাড়া কপিক্ষেত , উপজেলা/থানা- ময়মনসিংহ সদর, জেলা -ময়মনসিংহ।

প্রত্যেক আসামীদের চালান মোতাবেক যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তামিম

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫৯ এম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তামিম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।

গতকাল (শুক্রবার) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে এক পোস্টে তামিম লিখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সিদ্ধান্ত জানতে সম্প্রতি তামিমের সাথে দেখা করেন জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল। পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের সাথে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে সময় চান তামিম।

তামিম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মত বড় একটি আসর সামনে আছে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যহত হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। এমন চাইনি বলেই অনেক আগেই নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোন ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যে কোন পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’

ফর্মে থাকায় তামিমকে দলে ফেরার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তামিম।

তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন এবং গত বিপিএলে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে শিরোপাও জিতেছিলো ফরচুন বরিশাল। গত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও ভালো ছন্দে ছিলেন তামিম। এমনকি চলতি বিপিএলেও ফর্ম অব্যাহত আছে তার।

তামিম বলেন, ‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সাথেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’

২০২৩ সালে অবসরের ঘোষণা দিয়েও, সেই সিদ্ধান্ত থেকে পরবর্তীতে সড়ে আসেন তামিম। তিনি বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি। কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’