সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:০৫ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করেছেন ‘থ্রি বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

 

মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

শুক্রবার (২ নভেম্বর) লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

 

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রু উপস্থিত ছিলেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্ট মাসে, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক পৈশাচিক নৃশংসতার সাক্ষী হয়েছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন ছাত্র আন্দোলনের সূচনা ঘটে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অযৌক্তিক হারে পুনর্বহাল এবং সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। তাদের দাবি ছিল, এই কোটা ব্যবস্থা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অযাচিত অগ্রাধিকার প্রদান করে, যা দেশের মেধাবী এবং যোগ্য প্রার্থীদের জন্য চাকরির পথ রুদ্ধ করে দেয়। আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোটা সংস্কার, তবে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর মতো ঘটনার পর এটি দ্রুতই বৃহত্তর আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। শিক্ষার্থীরা তখন কেবল কোটা সংস্কার নয়, বরং প্রশাসনিক দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হন।

 

 

এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার পর সরকার এর জবাব দেয় অমানবিক সহিংসতার মাধ্যমে উল্লেখ করে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে সরকার পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মতো বাহিনী মোতায়েন করে। এই বাহিনী নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র— যেমন বার্ডশট প্লেট এবং তাজা গুলি— ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়।ইতিহাসের এই বর্বরতম নৃশংসতায় ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

 

বাংলাদেশ সরকারের এই কঠোর ব্যবস্থার ফলে দেশে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং অসংখ্য বিক্ষোভকারী নিখোঁজ হয়েছেন। এই নিষ্ঠুরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এই গুরুতর অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে সক্ষম হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তাই পূর্ববর্তী সরকার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, যা নিরপেক্ষ তদন্তের পথে বড় বাধা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কারণে, নিরপেক্ষ বিচার বা বিচার ব্যবস্থার প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক স্বার্থ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য প্রতারণামূলক হবে। অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনার কারণে স্থানীয় আদালতে ঘোষিত কোনো দণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতায় বাধ্য হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করা হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেছেন ৩ বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন (যিনি ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ নামেও পরিচিত)।এই মামলার অগ্রগতি নিয়মিত জানানো হবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই মামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবেদনে উল্লিখিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, গোপন বন্দিশালায় নির্যাতন, চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ।

ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:২৫ পিএম
ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

ইং ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইনচার্জ, ৩ নং পুলিশ ফাড়ির নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ নাহিদ পারভেজ, এসআই (নিঃ) মোঃ সোহেল রানা, এএসআই(নিঃ) রাসেল ইয়ার খান, এটিএসআই/২২১ কবিরুল হাসান, কং/৫৩৯ শাহজাহান, কং/৯৫৫ আনিছুর রহমান, কং/১০০৯ আরিক এবং নারী বং/১৬৬৩ ইয়াসমিন আক্তার খানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি পরিচালনাকালে রাত ২৩:৪৫ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মাসকান্দা ফিসারী এলাকায় ময়মনসিংহ টু ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে আকস্মিক চেকপোষ্ট ডিউটি করাকালে ০৩ জন মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের চেকপোষ্ট দেখিয়া মোটরসাইকেল রাস্তায় ফেলিয়া মাসকান্দা মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াল টপকাইয়া ভিতরে ঢুকে যায়। তখন আভিযানিক দলের সন্দেহ হইলে মাসকান্দা মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে ঢুকে তাহাদের অবস্থান নির্ণয় করাকালে মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের পূর্ব দক্ষিনে স্টাফদের থাকার কামরা হইতে ০৪ জন ব্যক্তিকে দৌড়াইয়া পালাইয়া যাইতে দেখা যায়। তখন পার্শ্ববর্তী রুমের অস্থায়ী গার্ড হৃদয় এর স্ত্রী ফারজানা শান্তা (২২) কে ধৃত করা হয়। ঘটনাস্থলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামী ফারজানা শান্তা (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, তাহার স্বামী হৃদয়, তন্ময় সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ১/২ জন মিল স্টাফদের রুমে ঢুকেছিল।

 

তখন ধৃত ফারজানা শান্তা (২২) কে সাথে নিয়ে স্টাফদের থাকার রুম এবং তার নিজের কামরা তল্লাশী করিয়া ১। একটি 9MM বিদেশী পিঞ্জল, যার বডিতে M19911A U.S.ARMY এবং NO 87107, MADE IN JAPAN লেখা, ২। একটি 32 কাঠের বাটযুক্ত বিদেশী পুরাতন পিস্তল এবং একটি পুরাতন ম্যাগজিন, যার বডিতে অস্পষ্ট লেখা, ৩। একটি NITRO NY200 Athena এয়ারগান, যাহার সিরিয়াল নং-BCO7461A1 সহ সীসা গুলি ১৩০ রাউন্ড, ৪। একটি টেলিস্কোপ, যাহার গায়ে Leveling position লেখা, ৫। একটি সামুরাই, যাহা কালো কভারযুক্ত লম্বায় ১৭ ইঞ্চি, ৬। একটি স্টীলের সুইচ গিয়ার চাকু, যাহা লম্বায় ১০ ইঞ্চি সহ বিভিন্ন সাইজের সর্ব মোট ০৬টি চাকু,৭। ০২টি কালো হলুদ রংয়ের বাটযুক্ত চাইনিজ কুড়াল, যা লম্বায় ১৪ ইঞ্চি, ৮। ০২টি কাঠের হাতলযুক্ত চাপাতি দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৫ ইঞ্চি ও ১২ ইঞ্চি, ৯। ১০ টি রামদা যা বাটসহ লম্বায় যথাক্রমে ৩৪,৩০,২৭,৩০,৩১,২৯,২৯,৪২,৩০ ও ২৬ ইঞ্চি, ১০। ০১টি বড় ছুরি যা বাটসহ লম্বায় ২৯ ইঞ্চি, ১১। একটি ঢেগার, যা লম্বায় ৩০ ইঞ্চি, ১২। ০৩ টি দেশীয় তৈরী চাইনিজ কুড়াল যা বাটসহ লম্বায় ২৩,২৬ ও ২৬ ইঞ্চি, ১৩। ০৬টি IICE BARE ITALL VODKA, প্রতিটি ৭৫০ মিলি, সর্ব মোট (৭৫০X৬)=৪৫০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৬১৫০০০) =৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ১৪। ০৪টি ROYAL STAG DELUXE WHISKY, যাহা প্রতিটি ৭৫০ মিলি, সর্ব মোট (৭৫০X৪)=৩০০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৪X৪০০০) =১৬,০০০/-(ষোল হাজার) টাকা, ১৫। ০৭টি ROYAL STAG DELUXE WHISKY, যা প্রতিটি ৩৭৫ মিলি, সর্ব মোট (৩৭৫X৭)=২৬২৫ মিলি, মূল্য অনুমান (৭১২০০০) =১৪,০০০/-(চৌদ্দ হাজার) টাকা, ১৬। ০৮টি officer’s choice BLUE PURE GRAN WHISKY, যা প্রতিটি ৩৭৫ মিলি, সর্ব মোট (৩৭৫১৮)=৩০০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৮১২০০০) =১৬,০০০/-(ষোলহাজার) টাকা, ১৭। ৩৫টি ROYAL STAG DELUXE WHISKY, প্রতিটি ১৮০ মিলি, সর্ব মোট (১৮০X৩৫)=৬৩০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৩৫X১০০০)=৩৫,০০০/-(পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা, ১৮। ০৫ পিস PHENSEDYL, যার গায়ে ইংরেজীতে Triprolidine Hydrochloride & codei phosphate Cough syrup লেখা, যা প্রতিটি ১০০ মিলি, সর্ব মোট (৫X১০০)=৫০০ মিলি, মূল্য অনুমান (৫১৩০০০) =১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা পাওয়া যায় যা সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক অদ্য ২৩ ডিসেম্বর ০১: ২৫ ঘটিকায় জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদক দ্রব্যের সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ১,২৬,০০০/- (এক লক্ষ ছাব্বিশ হাজার) টাকা।

ধৃত ফারজানা শান্তা (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তার স্বামী পলাতক মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪), পিতা-মোঃ কাজল মিয়া, মাতা-রানী বেগম, সাং-চর বাঘাদাইরা বেপারী বাড়ী, ডাকঘর-সেনবাড়ী, থানা-ত্রিশাল, এপি/সাং-মাসকান্দা মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্র, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ এবং পলাতক মোঃ তন্ময় (২৫), পিতা-সোহরাব উদ্দিন, মাতা-রানী বেগম, সাং-বলাশপুর নয়াপড়া, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয় এবং অজ্ঞাতনামা ১/২ জান আসামীদের নিয়া মৎস খামারে চাকুরীর পাশাপাশি অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় সহ নেশাজাতীয় মাদক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করিনা থাকে। ধৃত এবং পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজোসে অবৈধভাবে বিদেশী/দেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং সামুরাই সুইচগিয়ার চাকু, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, রামদা, ছুড়ি, ঢেগার, দেশীয় চাইনিজ কুড়াল হেফাজতে রাখিয়া ১৮৭ সনের Arms Act এর 19-A/19-(F) ধারায় এবং অবৈধভাবে মাদক দ্রব্য হেফাজতে রাখিয়া ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ২৪ (খ)/১৪(খ)/৩৮/৪১ ধারায় অপরাধ করায় আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা দুইটি তদন্তাধীন।

ময়মনসিংহে শম্ভুগঞ্জে প্রতারক চক্রের কবলে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব : থানায় মামলা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:২১ এম
ময়মনসিংহে শম্ভুগঞ্জে প্রতারক চক্রের কবলে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব : থানায় মামলা

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ীর ২৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে প্রতারক সানি গংরা।

 

মালামাল লুটের অভিযোগে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের পক্ষে তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার নিপু বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা অভিযোগ দায়ের করেছে। কোতোয়ালী থানা মামলা নং ৩২ তাং ১১-১২-২০২৪ ইং।

 

বাদীর অভিযোগে দুইজনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত নামা ৫ জন সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় আসামীরা হলেন, ১/ বদরুদ্দোহা সানি (৩২), পিতা-মোঃ নুরুল হক, মাতামৃত-বিলকিস আক্তার, সাং- দুয়াইন, খানা ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-মযমনসিংহ, এপি/সাং-গজারিয়া পাড়া, থানা-গাজীপুর সদর, জেলা-গাজীপুর এর নেতৃত্বে ২/ মোছাঃ রিংকী আক্তার (৩০), পিতা-আব্দুল সামাদ, স্বামী মোঃ বদরুদোহা সানি, সাং-সাফরভা উয়াশী পাইকপাড়া, খানা-মির্জাপুর, জেলা-টাংগাইল, এপি/সাং-দুম্বাইল, খানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ।

 

মামলার বাদী জানান, আমার স্বামী আহসান হাবিব (৪০) একজন ব্যবসায়ী। তিনি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল খানাধীন শম্ভুগঞ্জ নতুন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন নিজস্ব বিল্ডিং এ বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারশিপ নিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। ০১নং বিবাদী বিগত ৩ বছর পূর্বে আমাদের ডিলার পয়েন্টে ম্যানেজার হিসাবে যোগদান করেন এবং আমার স্বামীর ব্যবসায়িক নিয়ম মোতাবেক প্রতিমাসের হিসাব সম্পন্ন করেন। বিবাদীদ্বয় আমাদের ডিলারশিপের একটি রুমে ভাড়ায় বসবাস করেন। আমার স্বামী নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হইয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নভেম্বর মাসে ব্যবসার কোন খোজখবর নিতে পারননি।

 

এরই সুযোগে গত ০১/১২/২০১৪ ইং তারিখ রবিবার সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমাদের নিজেস্ব বিল্ডিং এর সামনে দিয়া আমার প্রতিবেশী মোঃ আবুল কালাম (৪৫), পিতামৃত-মতি মেম্বার, সাং-রাঘবপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ যাওয়ার সময় দেখতে পায় যে, আমাদের ডিলারশিপ পয়েন্টের সামনে ০১নং ও ০২নং বিবাদীদ্বয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় ট্রাক গাড়ীতে ডিলারশিপের মালামাল উঠাইতেছে। তখন আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম আগাইয়া গেলে ০১নং ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা জনৈক আবুল কালামকে দেখিয়া ট্রাক গাড়ী সহ মালামাল নিয়া দ্রুত চলিয়া যায়। তখন আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম আমার স্বামীকে জানাইলে আমার স্বামী সহ সাক্ষীরা ডিলারশিপ পয়েন্টে যাইয়া দেখে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন আমার স্বামী ডিলারশিদ পয়েন্ট ভাল ভাবে পর্যাবেক্ষন করিয়া দেখে ৭০ কাটুন ওরস্যালাইন, যাহার মূল্য ১,৭৮,৫০০/- (এক লক্ষ আটাত্তর। হাজার পাঁচশ টাকা, ৪০ কার্টুন চকলেট, যাহার মূলা ৭২,০০০/- (বাহাত্তর হাজার) টাকা, ০১টি ফ্রিজ ও ০১টি বক্স খাট, যাহার মূল্য ৮৫,০০০/- (পচাশি হাজার) টাকা এবং নভেম্বর মাসের আমদানীর নগদ ২৫,০০,০০০/ (পঁচিশ লক্ষ) টাকা সহ সর্ব মোট ২৮.৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা নাই। তখন আমার স্বামী ০১নং বিবাদীর মোবাইলে ফোন করিলে তাহার ফোন নম্বরটি বন্ধ পায়। ০১নং বিবাদী আমাদের ডিলারশিপের কর্মচারী হয়েও ০২নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় আমার স্বামীর সরলতা সুযোগ নিয়া অসাধুভাবে সর্ব মোট ২৮,৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা আত্মসাৎ করতঃ প্রতারনা করিয়াছে। আমি উল্লেখিত ঘটনার আমার স্বামী সহ পরিবারের লোকজনদের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করেছি।

 

এব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ জানান, অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পেয়েছি। এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৩২ তাং ১১-১২-২০২৪ ইং রুজু করা হয়েছে।

মাদক ও চোরাচালান দমনে ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে গ্রেপ্তার-০২ 

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৫২ এম
মাদক ও চোরাচালান দমনে ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে গ্রেপ্তার-০২ 

ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান কারবারিদের দমনে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অভিযানে ২০ বোতল ভারতীয় মদ সহ ২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ সহিদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় এসআই মোঃ ফারুক আহম্মেদ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন কালিবাড়ী পুরাতন গোদারাঘাট বেড়ী বাঁধ এলাকা থেকে আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ২০ টি বোতল ভারতীয় মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ ফারুক হোসেন (২৯), পিতা মৃতঃ-আঃ হামিদ, সাং-কড়ইতলী, থানা-হালুয়াঘাট, ২। মোঃ হৃদয় মিয়া (২৬), পিতা-আঃ করিম, সাং-চরঈশ্বরদিয়া, থানা-কোতোয়ালী মডেল, উভয় জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেপ্তার করেন।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ও চোরাচালান কারবারির সাথে জড়িত এবং এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ ফারুক হোসেন (২৯)এর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে ডিবি সুত্র জানান।

 

উদ্ধারকৃত ২০বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় মদ উদ্ধারের বিষয়ে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে আসামী কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।