শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:০৫ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করেছেন ‘থ্রি বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

 

মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

শুক্রবার (২ নভেম্বর) লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

 

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রু উপস্থিত ছিলেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্ট মাসে, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক পৈশাচিক নৃশংসতার সাক্ষী হয়েছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন ছাত্র আন্দোলনের সূচনা ঘটে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অযৌক্তিক হারে পুনর্বহাল এবং সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। তাদের দাবি ছিল, এই কোটা ব্যবস্থা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অযাচিত অগ্রাধিকার প্রদান করে, যা দেশের মেধাবী এবং যোগ্য প্রার্থীদের জন্য চাকরির পথ রুদ্ধ করে দেয়। আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোটা সংস্কার, তবে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর মতো ঘটনার পর এটি দ্রুতই বৃহত্তর আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। শিক্ষার্থীরা তখন কেবল কোটা সংস্কার নয়, বরং প্রশাসনিক দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হন।

 

 

এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার পর সরকার এর জবাব দেয় অমানবিক সহিংসতার মাধ্যমে উল্লেখ করে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে সরকার পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মতো বাহিনী মোতায়েন করে। এই বাহিনী নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র— যেমন বার্ডশট প্লেট এবং তাজা গুলি— ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়।ইতিহাসের এই বর্বরতম নৃশংসতায় ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

 

বাংলাদেশ সরকারের এই কঠোর ব্যবস্থার ফলে দেশে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং অসংখ্য বিক্ষোভকারী নিখোঁজ হয়েছেন। এই নিষ্ঠুরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এই গুরুতর অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে সক্ষম হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তাই পূর্ববর্তী সরকার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, যা নিরপেক্ষ তদন্তের পথে বড় বাধা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কারণে, নিরপেক্ষ বিচার বা বিচার ব্যবস্থার প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক স্বার্থ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য প্রতারণামূলক হবে। অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনার কারণে স্থানীয় আদালতে ঘোষিত কোনো দণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতায় বাধ্য হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করা হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেছেন ৩ বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন (যিনি ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ নামেও পরিচিত)।এই মামলার অগ্রগতি নিয়মিত জানানো হবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই মামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবেদনে উল্লিখিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, গোপন বন্দিশালায় নির্যাতন, চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ।

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৩ পিএম
নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হবে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে র‌্যালি শেষ হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। র‌্যালিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

এদিকে, দলের কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করছেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা।

 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগের প্রতিটা এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা এই র‌্যালিতে যোগ নেবেন। তারা সকাল থেকে মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অভিমুখে আসছেন। ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন।

 

তিনি বলেন, রাতেই নয়াপল্টনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। স্মরণকালের ঐতিহাসিক র‌্যালি হবে আজ।

দুপুর ১টায় সরেজমিনে নয়াপল্টন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। অনেকের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরমধ্যে বড় পরিসরে আজ র‌্যালি বের করবে দলটি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সভা-সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে নানা টালবাহানার মধ্যে পড়তে হয়েছে বিএনপির। নেতাকর্মীরাও দলীয় কর্মসূচিতে আসার ক্ষেত্রে নানারকম বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে একসময় বিএনপি নয়াপল্টন থেকে শান্তিনগর বা মালিবাগ পর্যন্ত র‌্যালি করলেও এবার সেই পথ দীর্ঘ হচ্ছে।

রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৪ পিএম
রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

পেশাগত দায়িত্ব পালনে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান,দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর এই ৪ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের এর প্রতিবাদে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী এবং কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ মানিক,দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান খলিল, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান বাংলার প্রতিনিধি আবুল হোসেন,ভোরের কাগজের প্রতিনিধি শেখ জসিম এর উপর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানিয়ে ভৈরবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)’র আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরব- ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরব লোকাল বাসষ্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি ও জিটিভি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম এর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক লাল সবুজের দেশ ও পাক্ষিক অপরাধ জগতের সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অবলম্বন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শামীম আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রাজধানী টিভির জেলা প্রতিনিধি মাসুদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক গণ মানুষের আওয়াজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম আর ওয়াসিম প্রমূখ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সহ-সভাপতি ও দৈনিক সময়ের কণ্ঠে ভৈরব প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকা ভৈরব প্রতিনিধি নাঈম মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার কুলিয়ারচর-বাজিতপুর প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জুয়েল মিয়া, মুভি বাংলা টেলিভিশন এর ভৈরব প্রতিনিধি কাউছার আহমেদ, সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম প্রমূখ।

 

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ছাবির উদ্দিন রাজু।

 

এ সময় মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই, নেই সুরক্ষা আইন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি লক্ষীপুরের রামগতিতে দুর্নীতির অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিকের ৪ সাংবাদিকদের নামে চাদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান, যায়যায়দিন দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকন্ঠের সাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর। গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকদের অভিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়।

 

এছাড়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার স্বীকার হয়ে আহত হন সাব্বির হোসেন মানিক, আবুল হোসেন, মোঃ খলিল রহমান, শেখ জসিম। দুষ্কৃতিকারীরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, হয়রানি নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার  এবং সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দ্রূত আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান বক্তাগণ।

আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০৬ পিএম
আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

 

অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান।

 

এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রব নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়।