বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:০৫ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করেছেন ‘থ্রি বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

 

মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

শুক্রবার (২ নভেম্বর) লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।

 

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রু উপস্থিত ছিলেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্ট মাসে, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক পৈশাচিক নৃশংসতার সাক্ষী হয়েছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন ছাত্র আন্দোলনের সূচনা ঘটে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অযৌক্তিক হারে পুনর্বহাল এবং সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। তাদের দাবি ছিল, এই কোটা ব্যবস্থা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অযাচিত অগ্রাধিকার প্রদান করে, যা দেশের মেধাবী এবং যোগ্য প্রার্থীদের জন্য চাকরির পথ রুদ্ধ করে দেয়। আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোটা সংস্কার, তবে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর মতো ঘটনার পর এটি দ্রুতই বৃহত্তর আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। শিক্ষার্থীরা তখন কেবল কোটা সংস্কার নয়, বরং প্রশাসনিক দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হন।

 

 

এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার পর সরকার এর জবাব দেয় অমানবিক সহিংসতার মাধ্যমে উল্লেখ করে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে সরকার পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মতো বাহিনী মোতায়েন করে। এই বাহিনী নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র— যেমন বার্ডশট প্লেট এবং তাজা গুলি— ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়।ইতিহাসের এই বর্বরতম নৃশংসতায় ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

 

বাংলাদেশ সরকারের এই কঠোর ব্যবস্থার ফলে দেশে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং অসংখ্য বিক্ষোভকারী নিখোঁজ হয়েছেন। এই নিষ্ঠুরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এই গুরুতর অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে সক্ষম হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তাই পূর্ববর্তী সরকার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, যা নিরপেক্ষ তদন্তের পথে বড় বাধা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কারণে, নিরপেক্ষ বিচার বা বিচার ব্যবস্থার প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক স্বার্থ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য প্রতারণামূলক হবে। অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনার কারণে স্থানীয় আদালতে ঘোষিত কোনো দণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতায় বাধ্য হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি দাখিল করা হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেছেন ৩ বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’র ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন (যিনি ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ নামেও পরিচিত)।এই মামলার অগ্রগতি নিয়মিত জানানো হবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই মামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা এবং সরকারের অন্যান্য প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবেদনে উল্লিখিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, গোপন বন্দিশালায় নির্যাতন, চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ।

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৩০ এম
খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: সিভিল সার্জন

খাগড়াছড়ির সেই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ। এ ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার কাছে জমা হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সবকটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা করেছি। কিন্তু ধর্ষণের আলামত পাইনি।’

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ জয়া বলেন, আমাদের দলে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।

জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ড প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ওই ছাত্রীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে, সেই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যা একটা অভিযোগ তুলে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এখন তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২ রাজনৈতিক দল

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:১২ পিএম
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২ রাজনৈতিক দল

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধ পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ২২টি দলের তথ্য মাঠে পর্যালোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দুটো দল- এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ তারা নিবন্ধনের জন্য শর্ত পূরণ করেছে।

এর ফলে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

ময়মনসিংহে স্থানীয়দের বাঁধায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ বন্ধ

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:৪৮ এম
ময়মনসিংহে স্থানীয়দের বাঁধায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ বন্ধ

ভূমি অধিগ্রহণ বা কোন প্রকার ক্ষতি পূরণ ছাড়াই মালিকানা জমির উপর দিয়ে ৩৩কেভি পিডিসিপি লাইন সংযোগ স্থাপনে মসিকের ২৫নং ওয়ার্ডে ফকিরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বন্ধ রয়েছে কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অসদাচরণের ফলে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছে মামলায়। বিদুৎ কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের শতচেষ্টায় হচ্ছে না সুরাহা।

সরেজমিনে গেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোফাজ্জল হোসেন জানান, তালতলা মাজার থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত মাত্র ১কিলোমিটার ফাঁকা রাস্তা রেখে অদৃশ্য কারনে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরিয়ে জনবহুল এলাকার বসতবাড়ির ওপর দিয়ে লাইন টানা হচ্ছে।

থার্টপার্টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না দেখিয়ে জোরপূর্বক লাইন টানার চেষ্টা করছে। আমরা বাঁধা দেওয়ায় আমিসহ বেশ কয়েকজনের নামে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানি করছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা দাবী করছেন, ফকিরাকান্দা ছোট একটা গ্রাম, আমরা অল্প জমির মালিক এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, এদিক দিয়ে লাইন টানলে আমরা এলাকাবাসী নিঃস্ব হয়ে পড়ব। মাত্র এক কিলোমিটার ফাঁকা জায়গা থাকার পরেও অদৃশ্য কারনে সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভিতর দিয়ে লাইন টানা হচ্ছে, ঠিকাদারের কাছে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার দেখাতে বললে তিনি তা না দেখিয়ে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড এর ঠিকাদার মোঃ আশিকুল ইসলাম (আইয়ুব আলী) মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী এইচ এম জি সরোওয়ার জানান, এলাকাবাসী এটা কিভাবে নিচ্ছেন, গুজবে কান দিচ্ছেন কি না জানিনা। তারা নানান জনে নানান ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন। এই লাইনটা ত্রিশাল পর্যন্ত যাবে, এগুলোকে সোর্স লাইন বলে। আরেকটা সাব স্টেশনের জন্য এই লাইনটা প্রয়োজন। লাইনের ডিজাইন ড্রয়িং করার সময় রাস্তা ফলো করি আর এখানে একাটা রাস্তা আছে। আমরা সেটেলমেন্টের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, বিষয়টি এখন আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে।