শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:০৮ পিএম
আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের

‘দেশ ভালো নেই’ মন্তব্য করে ‘আন্দোলন, কর্মসূচি চলবে’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে।

 

আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমরা মরতে এসেছি, আমরা মরতে চাই, কত মারবে তোমরা আমরা দেখতে চাই।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জিএম কাদের আরও বলেন, আল্লাহ আমাদের প্রটেকশন দিচ্ছেন বলে এখনো বেঁচে আছি, অন্য কারও প্রটেকশনে নয়। বিচারের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্যের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাহলে দেশ কীভাবে চলবে। আমরা একদিনের ডেমোক্রেসি চাই না। সব সময়ের ডেমোক্রেসি চাই। আমরা চাই সরকার হবে- ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’।

 

তিনি বলেন, আমরা দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, সবসময় থাকবো। আমার পরবর্তী প্রজন্ম এলেও জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থাকবে এবং একইভাবে এগিয়ে যাবে। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দুই তারিখের কর্মসূচি চলবে। আমাদের কর্মসূচি ও আন্দোলন সবই চলবে নিয়মতান্ত্রিক এবং অহিংসভাবে।

 

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বিভক্তি করেছিলেন এখন একইভাবে বিভক্তি করা হচ্ছে। এখন হাজার হাজার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উনারা যা বলে তা-ই সঠিক, বাকি সবাই ভুল। উনারা এখন বিচারকার্যেও গিয়ে বাধা দেয়। উনাদের ইচ্ছা হলো আমাদের অফিস ভেঙে দিয়ে গেল। কারও যদি ভুল হয় সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক উপায় আছে, তাই বলে তাকে ধ্বংস করে দেবেন, এটা কেমন হবে।

 

জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা সবসময় সমর্থন জানিয়েছি। তাদের পক্ষে সে সময় অনেক কথা বলেছি, বিবৃতি দিয়েছি। যে কারণে আমার অনেক ক্ষতিও হতে পারতো। কিন্তু এসব কিছুর পরোয়া আমরা করিনি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

‘আমি এখন বলছি, জাতীয় পার্টি একটি জনগণের রাজনৈতিক দল। হয়তো সারাদেশে আমাদের অবস্থান কিছুটা কম আছে, তবুও আমরা টিকে আছি। চাপে গর্তে ঢুকে গেলেও বারবার জাতীয় পার্টি উঠে দাঁড়ায়, এটাই অনেকের সহ্য হয় না। যে কারণে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। জাতীয় পার্টি সবসময় জনবান্ধব দল ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’

 

তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবকে যতই অপবাদ দেওয়া হোক না কেন জনগণ তার পাশে ছিল। অনেকে বলে এরশাদ সাহেবকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নামানো হয়েছে, এটা একদমই ভুল কথা। উনি জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছেন। তবে একানব্বই থেকে উনার (এরশাদ) এবং জাতীয় পার্টির ওপর নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জিএম কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো সময় দলীয়করণ করেনি। জাতীয় পার্টি সবসময় বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে একটি গোষ্ঠী জাতীয় পার্টির নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করছে।

 

তিনি বলেন, সবাই বলে আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দোসর। কিন্তু কীভাবে দোসর হলাম। আমরা শেখ হাসিনার কোনো ধরনের জনবিরোধী কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের জনবিরোধী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের দলীয়করণের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম।

 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলেন ১৫ বছর অবৈধ শাসনামল ছিল। তবে আমরা বলি সেটি ছিল ১০ বছর, ২০১৪-২০২৪ পর্যন্ত সরকারকে আমরা অবৈধ শাসনামল হিসেবে দেখছি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত শাসন আমলকে অবৈধ বলা ঠিক নয়, তবে খারাপ শাসনামল বলতে পারেন।তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সব দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তখন কি সব দল শেখ হাসিনার সরকারকে বৈধতা দেয়নি। এটা কি একা জাতীয় পার্টি দিয়েছিল।

 

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, যখন নির্বাচনে যেতে চাই না, তখন জোর করা হয়। কিন্তু যখন যেতে চাই, তখন বাধা আসে। জাতীয় পার্টি একটি রাজনৈতিক দল, আমাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার, যে কোনো দলের সঙ্গে আমরা যেতে পারি।

 

‘কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি এখন কেমন যেন হয়ে গেছে। আমরা মনে করেছিলাম ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু এখন দেখছি দিন দিন তা বেড়েই চলছে। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না, এটা কোন ধরনের দেশ।’জিএম কাদের বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে অনেক ভালো মন্ত্রী ছিল। তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হতো। যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। জামায়াতেরও অনেক ভালো নেতামন্ত্রী ছিল। তাদের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন- জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের।

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:১৩ পিএম
নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হবে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে র‌্যালি শেষ হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। র‌্যালিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

এদিকে, দলের কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করছেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা।

 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগের প্রতিটা এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা এই র‌্যালিতে যোগ নেবেন। তারা সকাল থেকে মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অভিমুখে আসছেন। ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন।

 

তিনি বলেন, রাতেই নয়াপল্টনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। স্মরণকালের ঐতিহাসিক র‌্যালি হবে আজ।

দুপুর ১টায় সরেজমিনে নয়াপল্টন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। অনেকের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরমধ্যে বড় পরিসরে আজ র‌্যালি বের করবে দলটি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সভা-সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে নানা টালবাহানার মধ্যে পড়তে হয়েছে বিএনপির। নেতাকর্মীরাও দলীয় কর্মসূচিতে আসার ক্ষেত্রে নানারকম বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে একসময় বিএনপি নয়াপল্টন থেকে শান্তিনগর বা মালিবাগ পর্যন্ত র‌্যালি করলেও এবার সেই পথ দীর্ঘ হচ্ছে।

রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৪ পিএম
রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি এবং বাজিতপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ভৈরব বিএমইউজে’র মানববন্ধন

পেশাগত দায়িত্ব পালনে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান,দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর এই ৪ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের এর প্রতিবাদে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী এবং কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ মানিক,দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান খলিল, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান বাংলার প্রতিনিধি আবুল হোসেন,ভোরের কাগজের প্রতিনিধি শেখ জসিম এর উপর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানিয়ে ভৈরবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)’র আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরব- ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরব লোকাল বাসষ্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি ও জিটিভি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম এর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক লাল সবুজের দেশ ও পাক্ষিক অপরাধ জগতের সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অবলম্বন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শামীম আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রাজধানী টিভির জেলা প্রতিনিধি মাসুদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক গণ মানুষের আওয়াজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম আর ওয়াসিম প্রমূখ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব শাখার সহ-সভাপতি ও দৈনিক সময়ের কণ্ঠে ভৈরব প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকা ভৈরব প্রতিনিধি নাঈম মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার কুলিয়ারচর-বাজিতপুর প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জুয়েল মিয়া, মুভি বাংলা টেলিভিশন এর ভৈরব প্রতিনিধি কাউছার আহমেদ, সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম প্রমূখ।

 

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ভৈরব উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ছাবির উদ্দিন রাজু।

 

এ সময় মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই, নেই সুরক্ষা আইন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি লক্ষীপুরের রামগতিতে দুর্নীতির অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিকের ৪ সাংবাদিকদের নামে চাদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান, যায়যায়দিন দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকন্ঠের সাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর। গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকদের অভিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়।

 

এছাড়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার স্বীকার হয়ে আহত হন সাব্বির হোসেন মানিক, আবুল হোসেন, মোঃ খলিল রহমান, শেখ জসিম। দুষ্কৃতিকারীরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, হয়রানি নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার  এবং সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দ্রূত আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান বক্তাগণ।

আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০৬ পিএম
আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

 

অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান।

 

এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রব নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়।