মঙ্গলবার (৩ মে) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ এর সহকারী পরিচালক মোঃ কাওসারুল হাসান রনি এর নেতৃত্বে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ১৫ নং জেসি গুহ রোডস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, MOHAMMAD MOTORS নামীয় দোকানের সামনে থেকে ২৪ বোতল ভারতীয় মদসহ রহিম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

উক্ত অভিযানে ১২ বোতল Mcdowells Blended whisky এবং ১২ বোতল Ac Black ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ এবং মাদক ব্যবসা কাজে ব্যবহৃত ১টি মোবাইলসহ আসামী মোঃ আব্দুর রহিম (২১), পিতা- হাবিবুর রহমান, মাতা- মোছাঃ রেসিনা আক্তার, থানা- দূর্গাপুর, জেলা- নেত্রকোনা কে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে কোতোয়ালী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (২ জুন) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে তাদেরকে পুশইন করা হয়। এদের মধ্যে ১২ জন নারী, ৮ জন পুরুষ এবং ২টি শিশু।

বিজিবি জানায়, ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও তিন নারীসহ ১২ জনকে পুশইন করা হয়। অপরদিকে হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও ৯ নারীকে পুশইন করা হয়। দুই জায়গাতেই পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের আটক করে বিজিবি।

আটককৃতদের দাবি, গত ২৪ মে গুজরাট থেকে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করা হয়। এমনকি তাদের কাছ থেকে মোবাইল, আইডিকার্ড, আধার কার্ডসহ যাবতীয় কাগজপত্র ও মালামাল রেখে দেয়।

তারা আরও জানান, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, সিরাজগঞ্জ ও খুলনা জেলায়। ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান তারা। গুজরাটে তারা বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসাবাণিজ্য করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। তবে হুট করেই অভিযান চালিয়ে বস্তি ও বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের আটক করে গুজরাট পুলিশ। কিছুদিন আটকে রেখে সোমবার রাতে মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে।

এ ব্যাপারে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভোর রাতেই বিএসএফের কাছে আমরা প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি। আটককৃতদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মে সকালে তার নিজ বাড়িতে একদল ব্যক্তি প্রবেশ করে তাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয় বলে তিনি থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।

নাজমুস সাকিব তার অভিযোগে জানান, ২৮ মে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে রিপন শেখ (৩৭), হারুন মিয়া (৩৪), রাসেল (৩২), মোছাঃ ছামিরুন নেছা (৬৩) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন ব্যক্তি তার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তারা তার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।

অভিযোগকারীর দাবি, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বহুল তবিয়তে আছে। তারা এলাকার কোনো বিচার-শালিস মানে না এবং বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা শুধুমাত্র তাকে নয়, বরং ইন্টেরিম সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের বিরুদ্ধেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঘটনার পর কিছু সময় পার হয়ে গেলেও, বিষয়টি পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে তিনি জানান। তিনি এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।