
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ চাঁদাবাজদের ঠাঁই বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনে নেই।চাঁদাবাজদের দায় দল নিবে না। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন কড়া নির্দেশনা থাকার পরও নিয়ন্ত্রণে আসছেনা নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দাবি করছে এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাভ হয়ে উঠেছে। এতে মাট পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মাঝে দলটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি চাঁদা চাইতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাই খেয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ৩ টার দিকে ফুল্লরা শপিং সেন্টার এলাকায় মতিনের চা দোকানের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও থানার দালাল শফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত চাঁদাদাবি করে বিভিন্ন জনের কাছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। অর্ধশত লোকজনের উপস্থিতিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে উত্তমধ্যম দিয়ে দেয়।শফিককে গণধোলাই দেওয়ায় নেতা কর্মীরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ও সদস্য গংরা বলেন, শুনছি তাকে নাকি এলাকার লোকজন গণধোলাই দিয়েছে।শফিকুল ইসলাম তার কোন লজ্জা স্মরম নেই। তাকে বিভিন্ন সময় মানুষ শীলতাহানি করে এবং কিছু দিন আগে তাকে তার শরীর থেকে জামা খুলে পিটিয়েছে। সে চলে পৌর সভার চিহ্নিত চাঁদাবাজদের সাথে।
এই সংবাদটি অন্তরে ফুলবাড়িয়া ও কনটেমপোরারি পলিটিক্স ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে পরিশেষে বিএনপি’র সুনাম নষ্ট হয়েছে। তাকে যারা লালন করে তারাও এই শ্রেণীর লোক।
স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা বলেন, মাইর খাওয়া শফিকের অভ্যাস। শফিকের কাছে টাকা পায় টাকা চাইতে গেলে বলে কিসের টাকা তার পর কিশোর ছেলেরা এসে তাকে উত্তমমধ্যম দেয়। এক পর্যায়ে তাকে শরীরে বিভিন্ন স্থানে মারধর করে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রথম যুগ্ন আহবায়ক ফরহাদ হোসেনকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, বিষয়টি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে উপজেলা বাসী।