ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু’র আশির্বাদে ঠিকাদার লিটন চায়ের দোকান থেকে হয়েছে সর্বোচ্চ করদাতা। ইতিমধ্যে ঠিকাদার লিটন দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে নগরবাসীর কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
নিজের ঠিকাদারীর লাইসেন্সে কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ঠিকাদারী লাইসেন্সে কাজ হাতিয়ে নিতেন তিনি।
সাবেক মসিক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু’র ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি থাকায় সহজেই কাজগুলো ভাগিয়ে নিতেন তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে।
অভিযোগ রয়েছে, তার দাপটে কোনঠাসা অন্য ঠিকাদাররা। কোন ঠিকাদার কাজ পেলেও কমিশনের ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ ছাড় দিতেন না অনিয়ম দুর্নীতির বরপুত্র ঠিকাদার লিটন। সিটি কর্পোরেশনের সকল কাজই যেন লিটনের মামার বাড়ীর আবদার।
নগরবাসীর অভিযোগ, যে সকল কাজ তিনি করেছেন প্রতিটি কাজেই নিম্ন মানের পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করে ঠিকাদারির কাজ পরিচালনা করেছে। অনেক কাজ অসমাপ্ত রেখেও বিল করে অর্থ হতিয়ে নিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি কর্পোরেশন সুত্র জানিয়েছে।
অপরদিকে ড্রেনেজ ও রাস্তা সংস্কারে একই প্রকল্পে বছরে একাধিক প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করেই অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে লিটনের বিরুদ্ধে।
এসকল অনিয়ম দুর্নীতি করেই সে বনে গেছে টাকার কুমির। হয়ে গেছে ময়মনসিংহের শ্রেষ্ঠ করদাতা। তিনি নৌকা ডোবার পর থেকেই আত্মগোপন করেছেন।
সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন দমনে লিটনের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকল অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে ঠিকাদার লিটনকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোড় দাবী জানিয়েছেন সচেতন নগরবাসী।