বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২টি ফসলের ১৩৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা। যা দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে ও উত্তরবঙ্গের মঙ্গা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন বিনার মহাপরিচালক (ডিজি) ড. শরীফুল হক ভুঞা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংলগ্ন বিনা অডিটরিয়ামে শুরু হওয়া ৫ দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শরীফুল হক ভুঞা বলেন, “বিনা বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবিত জাতসমূহ দেশের কৃষি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আগামীতে পরমাণু প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে আরও টেকসই ও ফলপ্রসূ উদ্ভাবন সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে বিনার পরিচালনা কমিটির সদস্য কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, “ফ্যাসিস্টমুক্ত বিনার বিজ্ঞানীরা পরমাণু গবেষণার মাধ্যমে দেশের কৃষি উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। তবে অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পেনশন সুবিধা চালু এখন সময়ের দাবি।”
বিনার পরিচালক (প্রশাসন) ড. আজিজুল হক বলেন, “বিশ্বে কৃষি গবেষণার সফলতায় বিনার অবস্থান অষ্টম। দেশের কৃষি ও কৃষক সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখানে পেনশন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক মেধাবী বিজ্ঞানী চাকরি ছেড়ে চলে যান। মেধা ধরে রাখতে হলে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”
বাকৃবির বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. হাম্মামুর রহমান বলেন, “পেটে ক্ষুধা নিয়ে গবেষণা হয় না। উন্নত গবেষণার জন্য বিনার বিজ্ঞানী ও কর্মীদের আর্থিক নিশ্চয়তা জরুরি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) আবু জুবায়ের হোসাইন বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জিএম মজিবুর রহমান, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ড. আব্দুস সালাম, বিনার পরিচালনা কমিটির সদস্য কৃষিবিদ একেএম আনিসুজ্জামান আনিস, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সালমা লাইজু এবং ড. মো. হোসেন আলী প্রমুখ।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহাবুবুল আলম তরফদার জানান, উদ্বোধনী দিনে বিনার ১৩টি উপকেন্দ্র ও ১টি আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের আওতাধীন ১৪ জন সফল বীজ উদ্যোক্তা কৃষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

ইউটিভি ডেস্ক রিপোর্ট।।