
বুধবার (২৩ জুলাই) ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ সাহেব কাচারি বাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী লেতু মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বহুদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা বিদ্যালয়ের জমি এবার চিহ্নিত ও ব্যবহার উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই কর্মসূচির আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, বরং জমির মালিকানা সংরক্ষণ ও দখল ফিরিয়ে আনতেও প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগম চম্পা, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সাধারণ এলাকাবাসী। সকলে মিলে জমি পরিস্কার, ঝোপঝাড় অপসারণ এবং বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগম চম্পা জানান, ” আমাদের স্কুলের বর্তমান সভাপতি এডিসি(সার্বিক) রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান স্যার স্কুলের সকল বেদখল জমি শনাক্ত করে দিয়েছেন। আজকে আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে জমির আগাছা পরিষ্কার করে সেখানে বিভিন্ন ফলাদি বৃক্ষ রোপন করেছি। আমি অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে পাঁচ জনের একটা টিম গঠন করে দিয়েছি উনারা সার্বক্ষণিক তদারকী করছেন।”
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম জানান, “এই উদ্যোগ শুধু একটি কর্মসূচি নয় বরং বিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের ভীত শক্ত করার একটি প্রচেষ্টা। আমরা চাই বিদ্যালয়ের সব সম্পত্তি যথাযথভাবে সংরক্ষণ হোক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুন্দর ও সুপরিকল্পিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পায়।”
এলাকাবাসীরা জানান, “বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে আমরা শুনে আসছি যে লেতু মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক একরেরও বেশি জায়গা রয়েছে। কিন্তু এসব জায়গা বহুদিন ধরেই বেদখল অবস্থায় পড়ে ছিল। এখন আমরা নিজ চোখে চিহ্নিত জমিগুলো দেখছি। এটা আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।”
এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন, “এডিসি(সার্বিক) রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান স্যার কিছু দিন আগে উপস্থিত থেকে যে জমিগুলো বিদ্যালয়ের নামে চিহ্নিত করেন, তা বাস্তবে আজ দেখতে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি অচিরেই সব সম্পত্তি বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানিয়েছেন, অচিরেই বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশা করি।
পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে এ উদ্যোগ নতুন করে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে এবং পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।