দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ এবং ভ্রমণ সীমিতকরণের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকার পথ খুলে না দিলে কোনো পর্যটককে দ্বীপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে জাবেদ নামে এক বাসিন্দা বলেন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ এবং ভ্রমণ সীমিতকরণের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকার পথ খুলে দেওয়া হোক। অতীতের কোনো সরকার দ্বীপ নিয়ে এমন তালবাহনা করেনি।
কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার নামে পর্যটন শিল্প ধ্বংস করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। সরকার যদি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে দ্বীপের বাসিন্দারা কোনো পর্যটককে দ্বীপে প্রবেশ করতে দেবে না। ইব্রাহিম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, সেন্ট মার্টিন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পরিবেশের দোহাই দিয়ে দ্বীপবাসীদের মারার ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ এবং ভ্রমণ সীমিতকরণের প্রস্তাব প্রত্যাহার না করলে কোনো পর্যটককে সেন্ট মার্টিনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এদিকে দীর্ঘ ৯ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাহাজ চলাচলের দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও যাত্রী সংকটের কারণে তা পিছিয়ে ১ ডিসেম্বর জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচল করবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।