আনোয়ার ইব্রাহিমের সফরে খুলবে কি শ্রমবাজারের দুয়ার?
• বারবার বন্ধ হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
• অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে
• শ্রমবাজার খোলার অপেক্ষায় কর্মীরা
৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঝটিকা সফরে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তার এই সফরে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও শ্রমবাজারসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম বৃহৎ বাজার মালয়েশিয়া, ফলে এ বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যে সংকট চলছে সে আলোচনা গুরুত্বের কেন্দ্রে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে রয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু এরপরও দেশটির শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশের কর্মীদের এক ধরনের অনিশ্চয়তা বরাবরই থেকে যায়। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন সময় নানা টানাপোড়েনও সামনে এসেছে। গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বন্ধ ছিল সেখানকার বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার প্রথম দফায় বন্ধ হয় ২০০৯ সালে। আর সবশেষ গত ১ জুন শেষ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময়। শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে চক্র বা সিন্ডিকেটের বিষয়গুলো আলোচনা এসেছে। এসব চক্রের বিরুদ্ধে উঠেছে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ
প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানের প্রথম ঢাকা সফর। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।